৩৩ বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি : বঞ্চনার দীর্ঘশ্বাস প্রধান শিক্ষিকা বিলকিসের
Published: 21st, October 2025 GMT
“৩৩ বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি”এমন করুণ আর্তিতে নিজের মনের ক্ষোভ ও বঞ্চনার কথা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি. আর. বিলকিস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি নিজের জীবনের সংগ্রাম, অবহেলা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন,“বেতন-ভাতা নিয়ে কখনো কিছু বলিনি, লিখিনি। কিন্তু আজ মনে হলো লিখি একটু। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় টাইমস্কেল প্রাপ্য ছিলাম। আজ ২০২৫ সাল এর মধ্যে কত কিছুই ঘটে গেল, কিন্তু আমি পাইনি।”
তিনি আরও বলেন,“দেশ একটা, মন্ত্রণালয় এক, অধিদপ্তর এক তবুও কেউ টাইমস্কেল পেলো, কেউ পেলো না। আমি বা আমার মতো অনেক কপাল পোড়া শিক্ষক এখনো অপেক্ষায়।
বিলকিস উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ছিল তাঁর জীবনের এক কালো দিন। দ্বিতীয় শ্রেণির সিল ব্যবহারের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকে তাঁদের জীবন যেন এক দীর্ঘ অপেক্ষা।“
এখন আমরা সবাই মিলে তৃতীয় শ্রেণির কামলা। ৪৫ জন বাদী হয়ে টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ভুলে গেছেন। তারা মর্যাদা চান, টাকার দরকার নেই। কিন্তু আমরা শুধু চেয়ে থাকি আকাশের দিকে।”
তিনি আরও লিখেছেন,“প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার ক্ষয়ে যায়, ভেঙে পড়ে, কিন্তু পদোন্নতির অস্তিত্ব নেই। আমরা যেন একেকটা জড় পদার্থ। তারপরও আশার বাণী শুনিয়েছেন ডিজি স্যার বলেছেন প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির কথা ভাবছেন।”
শেষে নিজের মানসিক অবস্থা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “জীবন যেন এক বোঝা হয়ে গেছে। দুঃখ এখন আমার শিক্ষকতার জীবনের অলংকার। আমি এক আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় শিক্ষক।”
ফেসবুকে প্রকাশের পর থেকেই তাঁর এই পোস্টটি ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। অনেকেই একে “দেশের হাজারো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাস্তব চিত্র” বলে মন্তব্য করেছেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ফ সব ক ন র য়ণগঞ জ র জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
আরও একবার নাকভিকে ট্রফি ফেরত দিতে বলল ভারত, দিল সতর্কবার্তাও
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভির সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) চলমান টানাপোড়েন নতুন মোড় নিয়েছে। এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে বিসিসিআই নতুন করে নাকভিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
অবশ্য এটিকে সতর্কবার্তা না বলে প্রচ্ছন্ন হুমকিও বলা যায়। কারণ, নাকভিকে ই–মেইলে পাঠানো সর্বশেষ চিঠিতে বিসিসিআই লিখেছে, ভারতীয় দলকে ট্রফি না দিলে তাঁকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভি এবং বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুবাইয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সূর্যকুমার যাদবের দল নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ, নাকভি শুধু এসিসির সভাপতিই নন; পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান।
ভারত মনে করে, এপ্রিলে পেহেলগামে যে হামলাকে কেন্দ্র করে মে মাসে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়েছিল, তাতে মদদ ছিল নাকভির। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নেননি সূর্যকুমার–বুমরা–কুলদীপ–অভিষেকরা।
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি ছাড়াই উদ্যাপন করেছে ভারত