মমতাজের ছিল অভাবের সংসার, এখন মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা
Published: 22nd, October 2025 GMT
বিয়ের পর মমতাজ আক্তার জানতে পারেন, তাঁর স্বামী বেকার। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, থাকার ঘরও নেই—বৃষ্টির দিনে ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে, বেড়ায় পলিথিন টাঙানো। এমন দুর্দিনে একসময় তাঁদের সংসার থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়, শুরু হয় অভাব-অনটনের সঙ্গে নিত্য বসবাস।
সেই মমতাজ এখন সফল উদ্যোক্তা। ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরি করে বদলে ফেলেছেন নিজের ভাগ্য। জরাজীর্ণ ঘর থেকে এখন তিনি আধা পাকা বাড়ির সঙ্গে ৫ শতাংশ বসতভিটা ও তিন বিঘা জমির মালিক। আছে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ একটি সমন্বিত কৃষি খামার—সেটির নাম দিয়েছেন ‘মেসার্স আলিফ সমন্বিত কৃষি খামার’। এসব অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রংপুর বিভাগে ‘সফল আত্মকর্ম’ ক্যাটাগরিতে সম্প্রতি জাতীয় যুব পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
মমতাজ আক্তারের (৩৩) বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কালীতলা দুর্গাপুর গ্রামে। গতকাল সোমবার বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মমতাজের কর্মযজ্ঞ। বাড়ির উঠানে চৌবাচ্চায় ভর্তি জৈব সার। মমতাজ একটি চৌবাচ্চা থেকে চালুনি দিয়ে জৈব সার বের করছেন। এসবের ফাঁকে গৃহপালিত পশু-পাখিকে খাবারও দিচ্ছিলেন। এসব কাজে তাঁকে সহায়তা করছিলেন আরেক নারী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে কালিতলা দুর্গাপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামের মশিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বেকার থাকলেও মমতাজের প্রচেষ্টায় বেলাল বর্তমানে ভাঙারি ব্যবসা করছেন। তাঁদের সংসারে একটি ছেলে আছে। এসব সামলে মমতাজ এইচএসসি পাস করেছেন। সম্প্রতি তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়েছেন।
রংপুর বিভাগে ‘সফল আত্মকর্ম’ ক্যাটাগরিতে সম্প্রতি জাতীয় যুব পুরস্কারে ভূষিত হন মমতাজ আক্তার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পেঁয়াজের দাম ডিসেম্বরে কেন বাড়ে
রাজধানীর বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসতে শুরু করেনি। অন্যদিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মেলেনি। তাই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে দোকানিরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। প্রতিবছর কেন নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়ে, তা নিয়ে পর্যালোচনা তৈরি করেছে ট্যারিফ কমিশন। কমিশন বলছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, সংরক্ষণ অভাব, মৌসুমের শেষ ও বৃষ্টিতে ক্ষতি—এসব কারণে দাম বাড়ে।