মতিঝিলে শাকিব খানের শুটিং চলাকালে ভূমিকম্প, যা যা হলো
Published: 21st, November 2025 GMT
ছুটির দিন শুক্রবারে মতিঝিল এলাকায় থাকে নিস্তব্ধতা। কিন্তু আজ সকালটা এর ব্যতিক্রম। দিলকুশায় দেখা মিলল শত শত মানুষের ভিড়। গাড়ির হর্ন নেই, কিন্তু মানুষের কথাবার্তার গুঞ্জন, মোবাইল ক্যামেরার ক্লিক, আর চায়ের দোকানের হাঁকডাক—সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর শব্দের এক অদ্ভুত কোলাহল।
‘সোলজার’ পোস্টারে শাকিব খান। ছবি: ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় আটক মোক্তারের মৃত্যুর বিষয়ে যা
রাজধানীর পল্লবীতে গুলি করে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় আটক মো. মোক্তার হোসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) মোক্তারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিএমপি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ায় অটোচালককে পিটিয়ে হত্যা
ছেলে খুনের ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক
পুলিশ জানিয়েছে, মোক্তার হোসেনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পুনরায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মোক্তারকে খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদস্যরা দ্রুত তাকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, মোক্তারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লবীর একটি দোকানে কয়েকজন অস্ত্রধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে গোলাম কিবরিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী। সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন এবং ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি মোক্তার হোসেনের হেফাজতে আছে বলে জানান। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মোক্তারকে আটক করতে ডিবির একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে কিল-ঘুষি মারেন। পরে মোক্তারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে ডিবি।
ঢাকা/এমআর/রফিক