পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষকদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘ওয়ার্কশপ অন ফিনানসিয়াল ম্যানেজমেন্ট অব হিট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় হিট প্রজেক্টে গবেষণা প্রকল্প জমা দেওয়া শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

চবির হল সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বললেন প্রাধ্যক্ষ

প্রধান উপদেষ্টার আশা, শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। রিসোর্স পার্সন হিসেবে কর্মশালা পরিচালনা করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ রানা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‌“একাডেমিক চাপ যতই থাকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিন শেষে একজন গবেষক। তাকে গবেষণার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। গুণগত শিক্ষা দিতে হলে গবেষণা করতে হবে। নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য গবেষণার বিকল্প নেই।”

তিনি বলেন, “যারা ভালো গবেষক, ভবিষ্যতে তারাই এগিয়ে থাকবেন। গবেষণার মাধ্যমে সীমাবদ্ধতাকে জয় করা যায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক দিক হলো আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষক তরুণ। তরুণরা সবকিছুতে এগিয়ে থাকে। তারুণ্যই পারে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে। সবার সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা। সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আসফাকুর রহমান।

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি

গুম–নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

আজ বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার এটিই প্রথম উদাহরণ। ভুক্তভোগীদের জন্য জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই বিচারিক প্রক্রিয়াজুড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড পুরোপুরি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর মধ্যে রয়েছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা বিধান করা, বিচার কার্যক্রম বেসামরিক আদালতে পরিচালনা করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ আসামির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুন১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের১৩ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

আরও পড়ুনসাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ