জেনারেশন জেড বা ‘জেন–জি’—ভারতে ২৫ বছরের নিচের এ তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা ৩৭ কোটির বেশি, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। তাঁরা জনসংখ্যার শুধু বিশাল অংশই নয়; অস্থির ও ডিজিটালি সংযুক্ত এক প্রজন্ম।

স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই তরুণদের রাজনীতি, দুর্নীতি, বৈষম্য নিয়ে প্রতিনিয়ত খবরের সঙ্গে যুক্ত রাখে। তবু রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা তাঁদের কাছে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ ও দূরের ব্যাপার। ‘দেশবিরোধী’ তকমা পাওয়ার ভয়, প্রাদেশিক ও জাতিভিত্তিক বিভাজন, অর্থনৈতিক চাপ, আর এ বিশ্বাস যে প্রতিবাদ করেও তেমন পরিবর্তন হবে না—সব মিলিয়ে তাঁদের উদ্দীপনা দমে যায়।

এশিয়া ও আফ্রিকার অন্য দেশে কিন্তু একই বয়সের তরুণেরা (১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম) একদম চুপ করে নেই।

নেপালে গত মাসেই তরুণদের বিক্ষোভ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি সরকারকে পতন ঘটিয়েছে। মাদাগাস্কারে তরুণ নেতৃত্বে সরকার বদল হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় চাকরির সংকট ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ তরুণেরা দুর্নীতি ও বৈষম্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে সরকারের কাছ থেকে ছাড় আদায় করেছেন। আর বাংলাদেশে চাকরিতে কোটাব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের ক্ষোভ গত বছর সরকার পতনের দিকে নিয়ে গেছে।

‘দেশবিরোধী’ তকমা পাওয়ার ভয়, প্রাদেশিক ও জাতিভিত্তিক বিভাজন, অর্থনৈতিক চাপ, আর এ বিশ্বাস যে প্রতিবাদ করেও তেমন পরিবর্তন হবে না—সব মিলিয়ে ভারতে জেন–জিদের উদ্দীপনা দমে যায়।

মূলত রাজনৈতিক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নিয়ে হতাশার জেরে এনক্রিপটেড অ্যাপ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সংগঠিত হওয়া এসব আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতে যদিও কিছু অসন্তোষ ক্ষীণভাবে দেখা যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে হিমালয়–সংলগ্ন বিতর্কিত লাদাখ অঞ্চলে রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর অধিকারকর্মী সোনম ওয়াংচুক একে ‘জেন–জিদের অস্থিরতা’ ও দমিয়ে রাখা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে বর্ণনা করেন।

জাতীয় রাজনীতিতেও এ পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘জেন–জি তরুণেরা ভোট জালিয়াতি ঠেকাবেন এবং সংবিধান রক্ষা করবেন।’ কর্ণাটকে ব্যাপক নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। লাদাখ, ভারত.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তর ণ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১৩

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন স্থান হতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

টাঙ্গাইল ও পঞ্চগড়ে পৃথক ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-নাজমা (২৫), সুমি আক্তার শিল্পী (২২), মোবারক (৪০), হাফিজুল (২৭), টিপু (৩০), আশিক (৩০), শ্রাবণ শাওন (২৫), তৈমুর আরিফ (৩৮), রাসেল (২৪), আব্দুল করিম (২২), বিল্লাল (৩২), মনির (৩০) ও হান্নান ইমরান (২০)।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত মামলার আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ