ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বেরোবি শিক্ষার্থীদের
Published: 23rd, October 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মৌন মিছির ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘এ রাইজ ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
কুবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২
চবির হলে মাদকের রমরমা কারবার
প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মৌন মিছিল নিয়ে মিডিয়া চত্বর ঘুরে প্রধান ফটকে গিয়ে মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
ফারহানা তাসনিম ইমি বলেন, “ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না হলে ধর্ষণ ক্রমবর্ধমান চলতেই থাকবে । তাই আমাদের দাবি ধর্ষণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। তবেই ধর্ষণের প্রবণতা কমিয়ে আনা যাবে। শাস্তির অভাবে এটা বেড়ে যাচ্ছে।”
রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানিয়ে এ রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাশেম বাঁধন বলেন, “কেন আপনারা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছেন না? প্রশাসনের নাকের ডগায় ধর্ষকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কেন আমরা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না?”
তিনি ধর্ষকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় সাতক্ষীরায় ১৮ সংগঠনের মানববন্ধন
প্রাণসায়ের খাল রক্ষা, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানির অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রাণসায়ের খালের পশ্চিম পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইয়ুথ অ্যালায়েন্স, প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ ১৮টি যুব সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এস এম বিপ্লব হোসেন।
বক্তারা বলেন, একসময় সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খাল জেলার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত একটি জলাধার। ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরী ১৮৬০ সালের দিকে শহরের উন্নয়ন, নৌযান চলাচল ও কৃষিকাজের সুবিধার্থে এই খাল খনন করেন। তাঁর নামানুসারেই খালের নাম হয় ‘প্রাণসায়ের খাল’। একসময় খালটি মরিচ্চাপ নদী থেকে বেতনা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং নৌযান চলাচল, সেচ ও স্থানীয় বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শহরের পানি নিষ্কাশন, কৃষি উৎপাদন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায়ও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।
কিন্তু বর্তমানে খালটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে খালের দুই পাশে থাকা এল্লারচর ও খেজুরডেঙ্গীর স্লুইসগেট অপসারণ এবং খালে ময়লা–আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে খালকে বাঁচাতে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা জানান।
মানববন্ধনে খালের নান্দনিকতা ফিরিয়ে আনতে দুই পাড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপণ ও সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম হাতে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি যথাযথ স্থানে ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন স্থাপন, নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ, ড্রেনেজব্যবস্থার সংস্কার, অবৈধ দখল উচ্ছেদ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চালুর দাবি জানানো হয়।