যমুনা রেলসেতুর পিলারে ফাটলের ছবি ভাইরাল, যা বলল কর্তৃপক্ষ
Published: 24th, October 2025 GMT
যমুনা রেল সেতুর পিলারে ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে রেলসেতু সংশ্লিষ্টরা জানান, এগুলো আসল ফাটল নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে ‘হেয়ারক্রাক’ বা চিরচির ফাঁকা সৃষ্ট হয়েছে। সেতুর ৮ থেকে ১০টি পিলারের নিচের স্থানে হেয়ারক্রাক শনাক্ত দেখা দেওয়ায় ওই স্থানেগুলোতে বিশেষ আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের কাজ চলছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী নাইমুল হক এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
৬ বছরেও মেরামত হয়নি ব্রিজ, ৩০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
‘যেভাবে রাস্তা হচ্ছে, মানুষকে কবর দেওয়ার জন্যও জায়গা থাকবে না’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল থেকে একাধিক ফেসবুক পেজে রেল সেতুর পিলারের কয়েকটি স্থানে ফাটলের ছবি ভাইরাল হয়।
যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী নাইমুল হক বলেন, “এটি নির্মাণ কাজের কোনো ত্রুটি নয়, আবার হানিকম্ব হয়েছে সেটাও নয়। মূলত প্রচণ্ড গরম বা বৈরী আবহাওয়ায় সেতুর পিলারে শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র আকৃতির হেয়ারক্রাক বা চিরচির ফাঁকা সৃষ্টি হয়েছে। এটা সেতুর কংক্রিটের অবকাঠামোর স্থাপনার জন্য ক্ষতিকর না। ফলে ট্রেন চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
তিনি বলেন, “ফেসবুকে কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চিরচির স্থানের ছবি বড় আকারে দেখিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন।”
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি বছরের ১৮ মার্চ বেলুন উড়িয়ে যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এতে রেলপথের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার এক নতুন দ্বার উন্মোচন হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাইকা এবং বাকি অর্থ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর এ সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতু। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে রয়েছে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান। সেতুটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এই রেলসেতুর দুটি লাইন (ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক) রয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন সেতুর একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লস ত দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে মাজার ভেঙ্গে মালামাল লুট, লাশ তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ
রূপগঞ্জে পূর্বাচলে মাইজভান্ডারি অনুসারী সৈয়দ শফিউদ্দিন ও তার স্ত্রীর কবরকে ঘিরে গত ৪৫ বছরের পুরনো মাজার ভেঙ্গে, নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে গেছে দূবৃত্তরা।
এ সময় কবর থেকে লাশ তুলে নেয়ার চেষ্টা করে কবর খুড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাপূর্ব রাতের কোন এক সময় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২০ নং সেক্টরে এমন ঘটনা ঘটে।
মরহুম সৈয়দ শফিউদ্দিন মাইজ ভান্ডারীর ছেলে ফজর আলী বলেন, তার বাবা ১৯৮০ সালে মারা গেলে তৎকালীন গোবিন্দপুর গ্রামে বর্তমানে পূর্বাচল ২০ নং সেক্টরে কবর দেয়া হয়। সৈয়দ শফিউদ্দিন মাইজভান্ডারি জীবদ্দশায় স্থানীয় একটি মসজিদের ১৯ বছর ইমামতি করেছেন। তিনি ছিলেন কুরআনে হাফেজ।
পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের সুফীবাদ মতাদর্শী। তাই তার কবরকে মাজার হিসেবে রাখতে ৩০ শতক জমি ওয়াকফ করা হয়। কিন্তু একটি মহল মাজারের জমি ও কবর দুটি তুলে নিতে নানাভাবে চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে দূর্বৃত্তরা হামলা করে মাজার ভেঙ্গে, মালামাল লুটে নিয়ে যায়। কবর খুড়া দেখে মনে হচ্ছে লাশ তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
মরহুম পীর শফিউদ্দিনের পরিবারের সদস্য এডভোকেট শাহ্ আলম অভি বলেন, “ রাতের আধারে পূর্বাচলে মাজার ভাঙচুর, গাছ-পালা-সহ দূর্বৃত্তরা গুড়িয়ে দিল ৪৬ বছরের পুরোনো সৈয়দ সফিউদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারির মাজার।
অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন মাজারের বাউন্ডারি ওয়াল, সীমানা প্রাচীর, ২২টি বিভিন্ন গাছ, কালেমা খচিত ৪ টি নিশান-সহ রক্ষিত নির্মাণসামগ্রী ভাংচুর, লটপাট, ধ্বংস এব্ং চুরি করিয়া অনুমান ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ ঘটনায় এডভোকেট শাহ্ আলম অভি রূপগঞ্জ থানায় জিডি করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ ডায়েরি সূত্রে ঘটনায় তদন্ত চলমান। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।