এনসিপিতে আছি, সরকার গঠন পর্যন্ত দলের সাথেই থাকব: নাসীরুদ্দীন
Published: 24th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী পদত্যাগের বিষয়টি গুজব বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, তিনি এনসিপির সাথেই আছেন এবং সরকার গঠন পর্যন্ত এনসিপির সাথেই থাকবেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ শুধু কাগজে নয়, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা থাকতে হবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির বৈঠক চলছে
পদত্যাগের গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “এসব গুজব ছড়িয়ে থাকে। অনেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে ভুল জায়গায় মিসাইল ছুঁড়ে থাকে।”
তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে আমাদের যেটা প্রয়োজন, আগের আমলে দুর্নীতির যে ধারাবাহিকতা ছিল, বর্তমান সরকারও একই সাথে সচিবালয় থেকে শুরু করে আমলাতন্ত্র সবাই মিলে একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে, আমাদের মিলিটারি, পুলিশে যে সংস্কারগুলো রয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের যে রিপোর্ট এসেছে, সেখানে কোথায় ব্যতয় হয়েছে, এগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা উচিত।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে রাতের মধ্যে একটা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অপসাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “একটা ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যাদের নিজস্ব পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, ওই জায়গাতে যারা সুস্থ সাংবাদিকতা করতে চাচ্ছেন, তারাও অপসাংবাদিকতার শিকার হচ্ছেন।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানান।
এর আগে, গতকাল রাতে এনসিপির এই নেতা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, এমন একটি সংবাদ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টিকে গুজব বলে উল্লেখ করে এনসিপি।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প এনস প র ব দ কত
এছাড়াও পড়ুন:
আট দশক পর দেশের মাটিতে ফিরে যাওয়া
জাপানের টোকিওর নগরকেন্দ্রের ব্যস্ত এক জায়গাজুড়ে আছে বিতর্কিত একটি শিন্তো মন্দির। জাপানে যেটা ইয়াসুকুনি মন্দির নামে পরিচিত। ১৮৬৯ সালে যাত্রা শুরু করা শিন্তো ধর্মের এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল মূলত এক বছর আগে গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সামন্ত্রতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে আধুনিক জাপানের ভিত্তি তৈরি করে নেওয়া মেইজি পুনরুত্থানের সময় গৃহযুদ্ধে নিহত বিজয়ী পক্ষের সৈন্যদের ‘দেবতুল্য’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার উদ্দেশ্যে। ফলে বিজয়ী পক্ষের নিহত সব সৈনিকের নাম সেখানে দেবতার সারিতে সন্নিবেশিত আছে, পরাজিতদের নয়।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে পাওয়া এ রকম প্রতিদানের মধ্যে বিতর্কের কিছু থাকার কথা নয়। দীর্ঘকাল ধরে এটা নিয়ে কোনো রকম বিতর্কও ছিল না। তবে সেই হিসাব পাল্টে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা পাওয়া জাপানের সেই সময়ের কয়েকজন নেতাকে ১৯৭০–এর দশকের শেষ দিকে ইয়াসুকুনির দেবতার তালিকায় যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালানোর মধ্য দিয়ে।
ফলে যুদ্ধের পুরো সময় ধরে জাপানের যে কয়েক লাখ তরুণ দেশপ্রেমে নিবেদিত থেকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, ইয়াসুকুনির সেই ঘটনার আলোকে তাঁদেরও এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে। জাপানের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের বাইরে অন্য একটি মর্মান্তিক দিক হচ্ছে এটা।
যেকোনো যুদ্ধের বলি সর্বাগ্রে হতে হয় যুদ্ধে জড়িত কোনো একটি দেশের তরুণদের। নিজেরা না চাইলেও দেশপ্রেমের দোহাই দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে যাঁদের সাধারণত বাধ্য করা হয়। এর পরোক্ষ ফলশ্রুতিতে নেতৃত্বের স্খলনের জন্য নেতারাই কেবল নয়, সেসব তরুণকেও চিহ্নিত করা হয় ‘খলনায়ক’ হিসেবে।
এমনটাই সম্ভবত ঘটেছে আট দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত জাপানের কয়েকজন তরুণ সৈনিকের জীবনে। তাঁদের অনেকেরই সম্ভবত জানা ছিল না কেন তাঁরা যুদ্ধে জড়িত। আর যাঁরা তাঁদের যুদ্ধের ময়দানে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সেই তরুণদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী ঘটে, তা নিয়ে খুব বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করার দরকার সম্ভবত নেই।
সমাধিতে চিরনিদ্রায় শায়িত জাপানিদের নামফলক