জ্বরের রোগীর জন্য ভালো ‘আনারসের ফ্রাইড রাইস’
Published: 25th, October 2025 GMT
জরায়ু, স্তন, ফুসফুস ভালো রাখতে সহায়তা দিতে পারে আনারসে থাকা খাদ্য উপাদান। এই ফল শরীরের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। থাইরয়েড গ্রন্থির স্ফীত হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। আনারস জ্বর ও জন্ডিস রোগীর জন্য বেশ উপকারী।এই উপকারী ফল দিয়ে রান্না করতে পারেন ফ্রাইড রাইস। জানিয়ে দিচ্ছি রেসিপি।
উপকরণ
আনারস কুচি: আধা কাপ
তেল: ২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি: ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি: ২টি
মুরগির মাংসের টুকরো: ১ কাপ
চিংড়ি (খোসা ছাড়ানো): আধা কাপ
পোলাও চালের ভাত: ৩ কাপ
৮.
কচি পেঁয়াজ কুচি: ২টি
ফিশ সস: ২ টেবিল চামচ
সয়া সস: ১ টেবিল চামচ
পুদিনা পাতা: ১০টি
শুকনো মরিচ: ২টি
কাঁচা মরিচের ফালি: ১টি
আরো পড়ুন:
তিন ধাপে রান্না করুন প্রোটিনে ভরপুর ‘দই মাটন’
লুচির সঙ্গে থাকুক ‘নারকেল ছোলার ডাল’
প্রথম ধাপ
ফুটানো পানিতে চিংড়ি মাছ ৩ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। বড় একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ৩-৪ মিনিট ভাজুন। এবার মুরগির মাংস ভেজে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে চিংড়ি এবং ভাত দিয়ে ভেজে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
ভাত ভাজা হলে আনারস, কাজুবাদাম ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। একটু নেড়ে ফিশ সস এবং সয়া সস দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। হয়ে গেল ফ্রাইড রাইস।
এ পর্যায়ে সার্ভিং বলে ঢেলে পুদিনা পাতা, শুকনো মরিচ ও কাঁচা মরিচ উপরে ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আট দশক পর দেশের মাটিতে ফিরে যাওয়া
জাপানের টোকিওর নগরকেন্দ্রের ব্যস্ত এক জায়গাজুড়ে আছে বিতর্কিত একটি শিন্তো মন্দির। জাপানে যেটা ইয়াসুকুনি মন্দির নামে পরিচিত। ১৮৬৯ সালে যাত্রা শুরু করা শিন্তো ধর্মের এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল মূলত এক বছর আগে গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সামন্ত্রতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে আধুনিক জাপানের ভিত্তি তৈরি করে নেওয়া মেইজি পুনরুত্থানের সময় গৃহযুদ্ধে নিহত বিজয়ী পক্ষের সৈন্যদের ‘দেবতুল্য’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার উদ্দেশ্যে। ফলে বিজয়ী পক্ষের নিহত সব সৈনিকের নাম সেখানে দেবতার সারিতে সন্নিবেশিত আছে, পরাজিতদের নয়।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে পাওয়া এ রকম প্রতিদানের মধ্যে বিতর্কের কিছু থাকার কথা নয়। দীর্ঘকাল ধরে এটা নিয়ে কোনো রকম বিতর্কও ছিল না। তবে সেই হিসাব পাল্টে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা পাওয়া জাপানের সেই সময়ের কয়েকজন নেতাকে ১৯৭০–এর দশকের শেষ দিকে ইয়াসুকুনির দেবতার তালিকায় যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালানোর মধ্য দিয়ে।
ফলে যুদ্ধের পুরো সময় ধরে জাপানের যে কয়েক লাখ তরুণ দেশপ্রেমে নিবেদিত থেকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, ইয়াসুকুনির সেই ঘটনার আলোকে তাঁদেরও এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে। জাপানের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের বাইরে অন্য একটি মর্মান্তিক দিক হচ্ছে এটা।
যেকোনো যুদ্ধের বলি সর্বাগ্রে হতে হয় যুদ্ধে জড়িত কোনো একটি দেশের তরুণদের। নিজেরা না চাইলেও দেশপ্রেমের দোহাই দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে যাঁদের সাধারণত বাধ্য করা হয়। এর পরোক্ষ ফলশ্রুতিতে নেতৃত্বের স্খলনের জন্য নেতারাই কেবল নয়, সেসব তরুণকেও চিহ্নিত করা হয় ‘খলনায়ক’ হিসেবে।
এমনটাই সম্ভবত ঘটেছে আট দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত জাপানের কয়েকজন তরুণ সৈনিকের জীবনে। তাঁদের অনেকেরই সম্ভবত জানা ছিল না কেন তাঁরা যুদ্ধে জড়িত। আর যাঁরা তাঁদের যুদ্ধের ময়দানে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সেই তরুণদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী ঘটে, তা নিয়ে খুব বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করার দরকার সম্ভবত নেই।
সমাধিতে চিরনিদ্রায় শায়িত জাপানিদের নামফলক