মেসির জোড়া গোলে নাশভিলকে হারিয়ে মায়ামির দারুণ সূচনা
Published: 25th, October 2025 GMT
লিওনেল মেসির জাদুতে আবারও মাঠ কাঁপালো। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে তার জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামি ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ন্যাশভিল এসসিকে। এর মাধ্যমে ইস্টার্ন কনফারেন্সের সেরা তিনের প্রথম ম্যাচে এগিয়ে গেল মেসির দল।
দলটির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন তাদেও আয়েন্দে। আর সেই গোলের পেছনেও ভূমিকা ছিল মেসির। দ্বিতীয়ার্ধে মেসির নিখুঁত পাস থেকে ইয়ান ফ্রাই বল বাড়ান বক্সে। আর সেখান থেকে আয়েন্দে সহজ হেডে গোলটি করেন। এখন সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা ইন্টার মায়ামির সামনে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সুযোগ। ১ নভেম্বর নাশভিলের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে ৮ নভেম্বর ফোর্ট লডারডেলে হবে তৃতীয় ও নির্ধারণী ম্যাচ।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে মেসি চেনা ছন্দে গোলের খাতা খোলেন। রক্ষণভাগের ফাঁক গলে হেডে বল পাঠান জালে। অতিরিক্ত সময়ে তিনি দ্বিতীয় গোলটি করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল ফিরে আসে তার সামনে। আর তিনি সহজ ট্যাপে গোলটি করেন।
মেসি গত মৌসুমের এমভিপি (সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়) ছিলেন এবং এবারও সেই পুরস্কারের সবচেয়ে বড় দাবিদার। যদি তিনি আবার জেতেন তবে এমএলএস ইতিহাসে টানা দুই বছর এমভিপি জেতা প্রথম খেলোয়াড় হবেন। ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে প্রেকি দুইবার এই পুরস্কার জিতেছিলেন। তবে মাঝে ব্যবধান ছিল ছয় বছর।
চলতি মৌসুমে মেসির গোল সংখ্যা ২৯। যা লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির ডেনিস বুয়াঙ্গা ও ন্যাশভিলের স্যাম সারিজের চেয়ে পাঁচটি বেশি। ১৯টি অ্যাসিস্টসহ তার মোট গোল অবদান ৪৮, যা কার্লোস ভেলার ২০১৯ সালের ৪৯ গোল অবদানের রেকর্ড ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি।
এমএলএস কমিশনার ডন গারবার মেসির প্রসংশা করে বলেন, “মেসি এই লিগে এসে যেন নতুন ইতিহাস লিখছেন। তার আগেও আমরা ভালো করছিলাম। কিন্তু এখন যেন এক নতুন দিগন্তে পৌঁছেছি। আগামী তিন বছর তার থাকা মানে আমাদের জন্য এক চলমান উপহার।”
ম্যাচের আগে গারবার নিজ হাতে মেসিকে তুলে দেন মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট ট্রফি। তিনি আরও বলেন, “আমি গর্বিত যে এমন সময়ে আমি এই লিগ পরিচালনা করছি, যখন ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় এখানে খেলছেন। মাঝে মাঝে আমরা এমন মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বুঝতেই পারি না কত বড় কিছু ঘটছে। আমাদের উচিত, একটু থেমে তা উপভোগ করা।”
মেসির নতুন চুক্তি অনুযায়ী, তিনি চাইলে চল্লিশের কোঠায় পৌঁছেও ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলতে পারেন। তার আগমনের পর ক্লাবটির বাজারমূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে পৌঁছেছে আনুমানিক ১.
গারবার বলেন, “মেসি আসলে ইউনিক। একেবারে ইউনিকদের মধ্যেও সবচেয়ে বিরল। ফুটবল নিয়ে তার চিন্তাভাবনা অন্য সবার থেকে আলাদা। তার জয়ের ক্ষুধা, মনোযোগ, আর নেতৃত্বই তাকে সর্বকালের সেরা করেছে।”
তিনি আরও প্রশংসা করেন ইন্টার মায়ামির। কীভাবে তারা মেসির চুক্তির ঘোষণাটা করেছিল। একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিডিওতে দেখা যায় মেসি চুক্তিতে সই করছেন, পরে ক্যামেরা পেছনে সরতেই বোঝা যায় তিনি বসে আছেন ক্লাবের নতুন স্টেডিয়ামের ঠিক সেই মাঠে। যা আগামী বছর উদ্বোধন হওয়ার কথা।
গারবারের ভাষায়, “এটা তাদের বুদ্ধিমত্তা আর সৌন্দর্যের দারুণ প্রমাণ। এক কথায়, ক্লাসি।”
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ট র ম য় ম গ রব র
এছাড়াও পড়ুন:
এমএলএস কাপ জিতে কত টাকা পেলেন মেসিরা
ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জিতেছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। রোববারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভ্যাঙ্কুভার হোটয়াইটসক্যাপসকে মায়ামি উড়িয়ে দেয় ৩-১ গেলে। চেজ স্টেডিয়ামে হওয়া এই ফাইনাল শেষে শুরু হওয়া উদ্যাপনে এখনো মেতে আছেন মায়ামির খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা। প্রথমবারের মতো এমএলএসের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের পর উদ্যাপনটা অবশ্য এমন বাঁধভাঙাই হওয়ার কথা।
এমএলএস কাপ জিতে অবশ্য শুধু ট্রফিই নয়, বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। সর্বশেষ অফিশিয়াল প্লে-অফ পুরস্কারের কাঠামোয় ২০২৫ সালের এমএলএস কাপ জেতা দল ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) অর্থ পুরস্কার পাবে, আর রানার্সআপ দল পাবে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের অর্থ পুরস্কার।
ফাইনালিস্টদের বাইরে, এমএলএস এমন দলগুলোকেও পুরস্কৃত করে, যারা প্লে-অফের আগের রাউন্ডে আসতে পারে। যেমন কনফারেন্স ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পেয়েছে ১ লাখ ডলার করে। আর কনফারেন্স সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দলগুলোর ঝুলিতে গেছে ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।
আরও পড়ুনক্যারিয়ারের ৪৭তম শিরোপা জিতে মেসি, ‘এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম’০৭ ডিসেম্বর ২০২৫উত্তীর্ণ হওয়া সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে প্লে-অফ পুরস্কার হিসেবে প্রায় ১০ লাখ ডলার বিতরণ করে এমএলএস। এই অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া পোস্ট সিজন রাউন্ডের (প্লে-অফের ধাপগুলো) আর্থিক গুরুত্বকে আরও মজবুত করে, যেখানে প্রতিটি জয় একটি দলকে।
স্ত্রী ও পুত্রদের সঙ্গে নিয়ে মেসির আরেকটি শিরোপা উদযাপন