Prothomalo:
2025-10-25@08:22:35 GMT

অ্যাকশন ছাড়া আর কী আছে

Published: 25th, October 2025 GMT

‘একটি খুন তোমার তিন গুণ ধৈর্যশক্তি বাঁচায়’, যাঁরা জনপ্রিয় অ্যাকশন-রিভেঞ্জ সিনেমা ‘কিল বকসুন’ দেখেছেন, তাঁদের সংলাপটি মনে থাকার কথা। এই সংলাপ দিয়েই ‘খুনিদের জগৎ’ সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছিলেন পরিচালক। ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় সিনেমাটি। তবে অনেকের মতে, বাউন সাং-হিউন পরিচালিত এ সিনেমা ‘জন উইক’ ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত। সিনেমার অ্যাকশন, হ্যান্ড টু হ্যান্ড লড়াই থেকে ক্যামেরার ছুটে চলায় কিয়ানু রিভসের সিনেমাগুলোর কথা মনে পড়ে ভালোভাবেই। যদিও ‘কিল বকসুন’ সিনেমায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সম্পর্কের দিক, তবে খুনিদের গোপন সমাজ ও নিয়মের অনেকটাই জন উইকের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।

একনজরে
সিনেমা: ‘ম্যান্টিস’
পরিচালক: লি তায়ে-সাং
অভিনয়: ইম সি-ওয়ান, পার্ক গিউ-ইয়ং, জো উ-জিন, চোই হিউন-উক
লেখক: বিউন সাং-হিউন, লি তায়ে-সাং, লি জি-সিওন
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
ধরন: অ্যাকশন থ্রিলার
দৈর্ঘ্য: ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘কিল বকসুন’-এর  স্পিন–অফ সিনেমা ‘ম্যান্টিস’। অক্টোবরের ২ তারিখে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। নেটফ্লিক্সের ইংরেজিবিহীন ভাষার সিনেমার তালিকায় শীর্ষ–৫–এ রয়েছে সিনেমাটি। কোরীয় নির্মাতা বাউন সাং-হিউনের ‘খুনিদের দুনিয়া’র নতুন সংযোগ এই সিনেমা। তবে সাং-হিউন ‘ম্যান্টিস’ পরিচালনা করেননি, আছেন সহলেখক হিসেবে। ‘ম্যান্টিস’ পরিচালনা করেছেন লি তায়ে-সাং।

গল্প যেহেতু পেশাদার খুনিদের নিয়ে, তাই শুরুতেই চমক দেখান পরিচালক। ঠান্ডা মাথায় হতে থাকে একের পর এক খুন। নিজের দক্ষতা দেখিয়ে খুন করতে থাকেন হান-উল (ইম সি-ওয়ান) নামের এক তরুণ, যিনি ম্যান্টিস নামেও পরিচিত। এরপর তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এমকে এন্টারটেইনমেন্টের প্রধান নির্বাহী চা মিন-কিওকে (সোল কিউং-গু)।

‘ম্যান্টিস’–এর দৃশ্য। ছবি: নেটফ্লিক্স.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য কশন পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জেন–জি প্রজন্ম কোথায় বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে

বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জগতে ঘটছে এক বড় প্রজন্মগত পরিবর্তন। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে জেন–জি (জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২) ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের (জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬) বিনিয়োগকারীরা। বিশেষত্ব হলো, তাঁরা বিনিয়োগ শুরু করছেন কম বয়সে; নিয়মিত ঘেঁটে দেখছেন পোর্টফোলিও। সেই সঙ্গে আগের যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় তাঁরা বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ছেন আরও দ্রুতগতিতে।

এই পরিবর্তনের সবচেয়ে স্পষ্ট চিত্র দেখা যাচ্ছে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে। সেখানে তরুণ, শিক্ষিত ও সম্পদশালী জনগোষ্ঠীর দ্রুত বিস্তারের কল্যাণে পুরো আর্থিক দৃশ্যপট নতুন রূপ নিচ্ছে।

এই পরিবর্তনের মূল কারণ এই প্রজন্মের বিনিয়োগ বিষয়ক মানিসকতার ভিন্নতা। বেবি বুমার (জন্ম ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সাল) প্রজন্ম যেখানে অবসর, মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষা বা ভবিষ্যতের নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে বিনিয়োগ করত, সেখানে নতুন প্রজন্মের লক্ষ্য অনেক বেশি তাৎক্ষণিক ও গতিশীল।

নতুন প্রজন্ম বিনিয়োগ করছে নতুন আয়ের উৎস তৈরির জন্য—ভ্রমণ, পরিবারের সহায়তা কিংবা নিজের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার জন্য। তাঁদের লক্ষ্য যেমন ভিন্ন, তেমনি সম্পদ গঠনের ধরনও আলাদা। এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গির মূলে আছে এক অদৃশ্য কিন্তু শক্তিশালী বিষয়। সেটি হলো আত্মবিশ্বাস।

আত্মবিশ্বাসের অনুঘটক

এই আত্মবিশ্বাস কীভাবে জন্ম নিচ্ছে, তা বোঝা জরুরি। কারণ, এটাই তরুণদের আচরণ প্রভাবিত করছে। এটি নিছক আশাবাদ নয়; বরং অর্থনীতি, সমাজ ও প্রযুক্তির মিলিত প্রভাবে তৈরি আত্মনির্ভর মানসিকতা। তাঁদের এই আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠার পেছনে তিনটি অনুঘটক সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। সেগুলো হলো—

১. আশাবাদ, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস ও দ্রুত পদক্ষেপ

তরুণ বিনিয়োগকারীরা অনেক বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। তাঁরা ঝুঁকি নিতে ভয় পান না। তাই তাঁরা বাজারে সুযোগ দেখলেই ব্যবস্থা নেন, যেখানে আগের প্রজন্ম ছিল অনেক বেশি সতর্ক ও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তায় আবদ্ধ।

২. দ্রুত প্রাথমিক মূলধন লাভ

এই প্রজন্ম আগের তুলনায় অনেক অল্প বয়সেই মূলধন পাচ্ছে। ফলে তারা তরুণ বয়সেই সাহসী ও উদ্ভাবনী বিনিয়োগ কৌশল গ্রহণ করতে পারছে।

৩. গতিশীল আর্থিক লক্ষ্য

এই তরুণদের আর্থিক আকাঙ্ক্ষা শুধু অবসরের জন্য সঞ্চয়ে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তাঁরা এখনই পছন্দের জীবন গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ করছে—বর্তমান জীবনযাত্রার উন্নতিই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।

এই মানসিক আত্মবিশ্বাস তাঁদের জ্বালানি। সেই সঙ্গে এই বিপ্লবের চালিকাশক্তি হলো প্রযুক্তি। বাস্তবতা হলো, প্রযুক্তিগত উন্নতির কল্যাণে বিনিয়োগ নতুন মাত্রা পেয়েছে। ফলে বিনিয়োগ এখন সবার নাগালে চলে এসেছে, যদিও একসময় তা ছিল শুধু ধনীদের খেলা।

সহজ বৈচিত্র্য

একসময় বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে বড় অঙ্কের টাকা প্রয়োজন হতো। প্রয়োজন হতো পরামর্শদাতা আর নানা জটিল কাগজপত্রের, কিন্তু এখন তা স্মার্টফোন অ্যাপের কয়েকটি ট্যাপেই সম্ভব হচ্ছে। এই পরিবর্তন বিনিয়োগকারী ও বৈশ্বিক বাজারের সম্পর্কের ভারসাম্য বদলে দিয়েছে।

যেকোনো সময়, যেকোনো দেশ, যেকোনো বাজার—এই নতুন বাস্তবতা তরুণ প্রজন্মের জন্য বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। সময় ও স্থানের বাধা তাদের জন্য আর প্রাসঙ্গিক নয়।

তথ্যের বিস্তৃত উৎস

তরুণেরা এখন শুধু প্রচলিত বাজার বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করছেন না; বরং এআইভিত্তিক বিশ্লেষণ, অনলাইন বিনিয়োগ কমিউনিটি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। প্রযুক্তি–নির্ভরতা বাড়লেও তরুণ বিনিয়োগকারীরা মানবিক পরামর্শের গুরুত্ব একেবারে অস্বীকার করছেন না।

প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মুহূর্তে মানবিক পরামর্শের প্রয়োজন ততই বাড়ছে। তরুণ বা প্রবীণ—দুই ধরনের বিনিয়োগকারীই সংকটময় সময়ে বিশেষজ্ঞ বা সম্পর্ক বিশারদদের কাছ থেকে পরামর্শ চান। এই প্রবণতা এশিয়া অঞ্চলে বিশেষভাবে দেখা যাচ্ছে।

বিনিয়োগকারীরা ব্যক্তিগত পরামর্শ ও ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ—দুটিই একসঙ্গে চান। তাই হাইব্রিড মডেল জনপ্রিয় হচ্ছে, যেখানে উচ্চমানের মানবিক সেবা সহজ ডিজিটাল অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে গেছে।

এই মডেল থেকে বিনিয়োগকারীরা উভয় দিকের সেরা সুবিধা পাচ্ছেন—প্রয়োজনে মানবিক অন্তর্দৃষ্টি, সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির স্বাচ্ছন্দ্য। এমন একসময় এটি হচ্ছে যখন আমরা ইতিহাসের বৃহৎ সম্পদ হস্তান্তরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। সম্পদ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলট্রাটার তথ্যানুসারে, আগামী এক দশকে হস্তান্তর হবে ৩১ লাখ কোটি ডলারের সম্পদ।

প্রজন্মের সেতুবন্ধ

এই আসন্ন সম্পদ হস্তান্তর কেবল একমুখী প্রক্রিয়া নয়, এটি পরস্পর থেকে শেখার অসাধারণ সুযোগ। বয়স্ক প্রজন্ম তরুণদের কাছ থেকে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা শিখতে পারে—অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ, বৈশ্বিক বাজারে অংশগ্রহণ ও নতুন বিনিয়োগের সাহস সঞ্চয় করতে পারে। অন্যদিকে তরুণেরা প্রবীণদের কাছ থেকে মূলধন সংরক্ষণ ও ঝুঁকি বণ্টনের চিরন্তন শিক্ষা নিতে পারেন। এই দ্বিমুখী শিক্ষা যেকোনো দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের ভিত্তি হতে পারে।

সংবাদে বলা হয়েছে, এই দুই প্রজন্মের মধ্যে অর্থনৈতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ের মধ্য দিয়ে আরও টেকসই বিনিয়োগ ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ