তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০
Published: 25th, November 2025 GMT
রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিন ও মনোনয়নবঞ্চিত সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে মশাল মিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা তাতে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সুলতানুল ইসলাম তারেক সাংবাদিকদের বলেছেন, “তারা দল করে, আমরাও করি। প্রার্থী পছন্দ না হলে সারা দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে, আমাদের এখানেও হচ্ছে। আমার অনুসারীরাও সন্ধ্যায় প্রার্থী বদলের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন। এতে শরীফ সাহেবের অনুসারীরা হামলা করেছে।”
তিনি বলেন, “শরীফ সাহেব তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে নির্দেশ দিয়েছেন, এলাকায় যেন কোনো বিক্ষোভ না হয়। তাই, মিজানের লোকজন এ হামলা করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে অবশ্যই থানায় অভিযোগ দায়ের করব।”
সুলতানুল ইসলাম তারেক অভিযোগ করেছেন, তার অনুসারীদের বহনকারী অন্তত ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব অটোরিকশায় চড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে গিয়েছিলেন। গাড়িগুলো ভাঙচুরের পর চাবি নিয়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফোন ধরেননি তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনও।
গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর্জা মো.
ঢাকা/কেয়া/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র অন স র র স ঘর ষ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ও মাথায় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির এক পক্ষের নেতা–কর্মীরা।
আসনটিতে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ। একই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিকের পক্ষের নেতা–কর্মীরা আজ এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া–রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী উপজেলার জিলাপিতলা বাজার থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খোকসার মোড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শেষ হয় এ কর্মসূচি। এতে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।
কুমারখালী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, দলের ত্যাগী নেতা–কর্মীদের বাদ দিয়ে মেহেদী আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় অখুশি তৃণমূল নেতা–কর্মীরা।
নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মেহেদীকে পরিবর্তন করে নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করা সম্ভব হবে না। এখানে মেহেদী থাকলে জামায়াত জিতে যাবে। সে জন্য পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।’