নাচে-গানে মুখরিত ঠাকুরগাঁওয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মেলা
Published: 25th, October 2025 GMT
ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী-পুরুষসহ সবাই পার করল একটি অন্যরকম দিন। অনুষ্ঠিত ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক মেলা–২০২৫’ উপলক্ষে সেখানে তারা তুলে ধরেছেন তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও ঐতিহ্যের বর্ণিল রূপ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী সাঁওতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রত্যেক জাতি সত্তার ভাষা, কৃষ্টি, সাহিত্য রক্ষা ও চর্চার অধিকার রয়েছে’।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীর সেই পাহাড়িয়াদের কথা শুনলেন মানবাধিকারকর্মীরা
ডাকসু নির্বাচন: শিবিরের প্যানেলে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সর্ব মিত্র
মেলায় স্থান পায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জীবনের বহুমাত্রিক শিল্প ও সাংস্কৃতিক উপাদান। নিজেদের ভাষায় ছড়া ও গল্প বলা, ঐতিহ্যবাহী গান, ঢোল চর্চা, নাচ, তীর ছোড়ার মতো প্রাচীন খেলাধুলা—সবকিছুই যেন সময়কে পেছনে ফেলে নিয়ে যায় সেই প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারায়। প্রদর্শিত হয় হাতে তৈরি পোশাক, শিকারের সরঞ্জাম, গৃহস্থালির ব্যবহার্য সামগ্রী এবং নানা ধরনের হস্তশিল্প।
মেলায় অংশ নেওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীরা আনেন তাদের রান্না করা ঐতিহ্যবাহী খাবার—যা শুধু রসনা বিলাস নয়, বরং তাদের সংস্কৃতির গভীর পরিচয়ের প্রতীকও বটে।
এ মেলার আয়োজন করে ‘আদিবাসী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, গোবিন্দনগর, ঠাকুরগাঁও’। সহযোগিতা করে ১৭৬ নম্বর সাঁওতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদিবাসী ওরাঁও সংঘ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী। মেলা ঘিরে পুরো এলাকা পরিণত হয় এক উৎসবে, নাচ-গান, হাসি-আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে গোবিন্দনগর।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন, “এই ধরনের আয়োজন শুধু বিনোদনের জন্য নয়; এটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা এগিয়ে যাবে—এই বিশ্বাসই আমাদের অনুপ্রেরণা।”
মেলায় অংশ নেওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণীরা জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন তাদের কৃষ্টি-কালচার হারিয়ে না যায়, সেই আশায়ই তারা এই মেলার মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরছেন।
আদিকা তিরকি, সুরভি কেরকেটা ও সুবর্ণা টুনু জানান, এমন আয়োজন তাদের উৎসাহিত করে—তারা তাদের সংস্কৃতি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে গর্ব অনুভব করেন।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি দামনিক টিক্কা বলেন, “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচার রক্ষা, সাংস্কৃতিক অধিকার আদায় এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিবছর এই আয়োজন করে থাকি।”
ঢাকা/হিমেল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাচে-গানে মুখরিত ঠাকুরগাঁওয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মেলা
ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী-পুরুষসহ সবাই পার করল একটি অন্যরকম দিন। অনুষ্ঠিত ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক মেলা–২০২৫’ উপলক্ষে সেখানে তারা তুলে ধরেছেন তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও ঐতিহ্যের বর্ণিল রূপ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী সাঁওতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রত্যেক জাতি সত্তার ভাষা, কৃষ্টি, সাহিত্য রক্ষা ও চর্চার অধিকার রয়েছে’।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীর সেই পাহাড়িয়াদের কথা শুনলেন মানবাধিকারকর্মীরা
ডাকসু নির্বাচন: শিবিরের প্যানেলে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সর্ব মিত্র
মেলায় স্থান পায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জীবনের বহুমাত্রিক শিল্প ও সাংস্কৃতিক উপাদান। নিজেদের ভাষায় ছড়া ও গল্প বলা, ঐতিহ্যবাহী গান, ঢোল চর্চা, নাচ, তীর ছোড়ার মতো প্রাচীন খেলাধুলা—সবকিছুই যেন সময়কে পেছনে ফেলে নিয়ে যায় সেই প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারায়। প্রদর্শিত হয় হাতে তৈরি পোশাক, শিকারের সরঞ্জাম, গৃহস্থালির ব্যবহার্য সামগ্রী এবং নানা ধরনের হস্তশিল্প।
মেলায় অংশ নেওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীরা আনেন তাদের রান্না করা ঐতিহ্যবাহী খাবার—যা শুধু রসনা বিলাস নয়, বরং তাদের সংস্কৃতির গভীর পরিচয়ের প্রতীকও বটে।
এ মেলার আয়োজন করে ‘আদিবাসী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, গোবিন্দনগর, ঠাকুরগাঁও’। সহযোগিতা করে ১৭৬ নম্বর সাঁওতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদিবাসী ওরাঁও সংঘ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী। মেলা ঘিরে পুরো এলাকা পরিণত হয় এক উৎসবে, নাচ-গান, হাসি-আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে গোবিন্দনগর।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন, “এই ধরনের আয়োজন শুধু বিনোদনের জন্য নয়; এটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা এগিয়ে যাবে—এই বিশ্বাসই আমাদের অনুপ্রেরণা।”
মেলায় অংশ নেওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণীরা জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন তাদের কৃষ্টি-কালচার হারিয়ে না যায়, সেই আশায়ই তারা এই মেলার মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরছেন।
আদিকা তিরকি, সুরভি কেরকেটা ও সুবর্ণা টুনু জানান, এমন আয়োজন তাদের উৎসাহিত করে—তারা তাদের সংস্কৃতি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে গর্ব অনুভব করেন।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি দামনিক টিক্কা বলেন, “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচার রক্ষা, সাংস্কৃতিক অধিকার আদায় এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিবছর এই আয়োজন করে থাকি।”
ঢাকা/হিমেল/মেহেদী