ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে আরো একটি পরিবার। পরিবারটির বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মৃত কিস্তি ক্রেতা সুরুজ্জামানের স্ত্রী মোছা. সাহিদা বেগম।

ওয়ালটন প্লাজা সূত্র জানিয়েছে, গাড়িচালক মো.

সুরুজ্জামান ভূঞাপুরের বাহাদুর টুকনা কোনবাড়ি গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে। তিনি গত ২৪ এপ্রিল ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ৭২ হাজার ৪১৫ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কেনেন। কিস্তির মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন।

আরো পড়ুন:

তিন জাতি নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন লিফট

ওয়ালটন পণ্য কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি

গত ৫ নভেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকার আর্থিক সুবিধা পেল তার পরিবার।

সম্প্রতি ভূঞাপুর ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে মোছা. সাহিদা বেগমের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার সাহাদৎ হোসেন, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার ওবায়দুর রহমান তালুকদার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার হাসান উল আউয়াল, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আমির হোসেন এবং প্লাজা ম্যানেজারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার সাহাদৎ হোসেন বলেছেন, “কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।”

না চাইতেই ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মৃত সুরুজ্জামানের পরিবার।

সুরুজ্জামানের স্ত্রী মোছা. সাহিদা বেগম বলেছেন, পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় ওয়ালটন প্লাজা সহায়তা করায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ওয়ালটন প্লাজা থেকে ১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছি। কিস্তিতে পণ্য কেনার পর আমাদের একটি সুরক্ষা কার্ড দিয়েছিল ওয়ালটন প্লাজা। সে সময় ওই কার্ডটির গুরুত্ব বুঝিনি। তবে, আজ সেটির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের বিপদের দিনেও পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ওয়ালটন। এটি ওয়ালটন প্লাজার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এভাবেই দেশের এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন রাইজিংবিডি ডটকমের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি কাওছার আহমেদ।

মাহফুজ/পলাশ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ব র পর ব র র আর থ ক স স রক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পথেই কাটে ওদের শৈশব

একপর্যায় মারামারি শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে। তাদের থামাতে এগিয়ে আসে আরেক শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ