জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, “আগামী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। সে লক্ষ্যে ডিসেম্বের মধ্যে জেলা, উপজেলাসহ সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি গঠন করা হবে।”

তিনি বলেছেন, “এনসিপিকে যদি শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি একইসঙ্গে ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে। আমরা মনে করি, এ নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্বাচন হতে হলে নিরপেক্ষ অবস্থানটা তার কাজে এবং কথার মাধ্যমে ব্যক্ত করতে হবে। যেটা এখন পর্যন্ত তারা করছে না।”

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সারজিস আলম। সমন্বয় সভা শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, “আমরা মনে করি, আগামীর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারবে না। তাই, নতুন প্রজন্মের তরুণদের দল এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। জুলাই সনদ প্রশ্নে আমরা এখনো আপসহীন। অন্যান্য দল শুধু নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে ও প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আদেশ জারি করা হবে এবং গণভোটে যদি জুলাই সনদের পক্ষে রায় আসে, সেদিন এনসিপি স্বাক্ষর করবে।”

নির্বাচনে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এনসিপি তার জায়গা থেকে শুধু কয়েকটি আসনকে সামনে রেখে সংসদে যাওয়ার জন্য, জোট করার জন্য চিন্তা করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতি কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে সম্পন্ন করার প্রতি কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপাত্যবাদীর বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কমিটেড থাকে, তাহলে এই নির্বাচনে ওই কমিটমেন্টের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে জোট হতে পারে। কিন্তু, জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে এক পাশে রেখে শুধু সিট পাওয়ার জন্য কোনো জোট এনসিপি করবে না। আমরা মনে করি, এনসিপি তার জায়গা থেকে যদি কোনো জোট করেও ওই কমিটমেন্টের ভিত্তিতে, তারপরেও জাতীয় নাগরিক পার্টির নামে করবে এবং শাপলা প্রতীকেই করবে।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাঈদ উজ্জ্বল ও কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ্সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/রুমন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট ড থ ক জ ল ই সনদ র জন য এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

 ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা অন্তর্গত ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার ( ২৬ অক্টোবর ) বিকেল চারটায়  ১১নং ওয়ার্ডের পানির কল এসিআইর সামনে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

পরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হাবিবুর রহমান মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক নাজমুল হক।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুল, সহ- সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ- সভাপতি মীর ইয়ামিন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাবু, সোহেল গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম দিপু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রেজা, প্রচার সম্পাদক সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সুমন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম হারুন, সোহেল, সুমন, রিপন, পলাশ, মানিক, রতন, রবিউল ইসলাম, নান্টু, আরিফুল ইসলাম নয়ন, রতনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মিজানুর রহমান শামীম, সহ- সভাপতি মীর ইয়ামিন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাবু, সোহেল গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম দিপু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রেজা, প্রচার সম্পাদক সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সুমন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম হারুন, সোহেল, সুমন, রিপন, পলাশ, মানিক, রতন, রবিউল ইসলাম, নান্টু, আরিফুল ইসলাম নয়ন, রতনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ