ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কতটি, জানা যাবে আগামীকাল
Published: 26th, October 2025 GMT
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা আগামীকাল সোমবার প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
গতবারের চেয়ে এবার ভোটকেন্দ্র বাড়ছে, খসড়া তালিকায় ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল। চূড়ান্ত হওয়ার পর তা কতটিতে দাঁড়াচ্ছে, তা আগামীকালই জানা যাবে।
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। এর ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ওটা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল, সেটাও করা হয়েছে। কাল সকালে ব্রিফ করে দেব।’
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮টি। আখতার আহমেদ গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, এবার মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। গড়ে প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র হবে, তাতে কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪২ হাজার ৬১৮টি।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া এই সপ্তাহে শেষ হবে
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দল নিবন্ধনের ব্যাপারে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য এসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এই সপ্তাহের ভেতর করে দেওয়া হবে। কারণ, আমাদেরও তো একটা দায় আছে, আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাইয়ে ২২টি দল টিকেছিল, যেগুলোর বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাই করে ইসি। গত সেপ্টেম্বরে ইসি জানিয়েছিল, দুটি দল শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। তিনটি দলের বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করা হবে। ৯টি দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে।
ইসির শর্ত পূরণ করলেও প্রতীকের প্রশ্নে ঝুলে আছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নিবন্ধন। এনসিপি শাপলা প্রতীক চাইলেও তালিকায় নেই বলে তা দিতে না পারার কথা বলছে ইসি।
এনসিপির প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, সাংবাদিকেরা তা জানতে চাইলে আখতার আহমেদ সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতীকের ব্যাপারটি আমরা পরে জানাব।’
‘সবকিছু ১০০% করা সম্ভব নয়’
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অগ্রগতি কতদূর, সাংবাদিকেরা তা জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘সবকিছু ১০০ পারসেন্ট (শতাংশ) করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু জায়গায় অ্যাডজাস্টমেন্ট, কিছু বিষয় আগেই কমপ্লিট (শেষ) করেছি। কিছু বিষয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছুই নিক্তিতে মেপে সময় ও দিনক্ষণ-তারিখ অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। এই অ্যাডজাস্টমেন্ট আমাদের রাখতে হবে।’
তবে এখন পর্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো কারণ বা পরিস্থিতি হয়নি, বলেন আখতার আহমেদ। তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচন ভবনের দক্ষিণ পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসি মামলা করবে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। এটা বাইরে ফেটেছে। ইসিকে যদি মামলা করতে হয়, করব।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বিকেলে কমনওয়েলথের একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসি সচিব। এই বৈঠক প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, তাঁরা নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন, প্রযুক্তির অপব্যবহার, নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুনত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা২৮ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখত র আহম দ ভ টক ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কতটি, জানা যাবে আগামীকাল
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা আগামীকাল সোমবার প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
গতবারের চেয়ে এবার ভোটকেন্দ্র বাড়ছে, খসড়া তালিকায় ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল। চূড়ান্ত হওয়ার পর তা কতটিতে দাঁড়াচ্ছে, তা আগামীকালই জানা যাবে।
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। এর ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ওটা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল, সেটাও করা হয়েছে। কাল সকালে ব্রিফ করে দেব।’
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮টি। আখতার আহমেদ গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, এবার মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। গড়ে প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র হবে, তাতে কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪২ হাজার ৬১৮টি।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া এই সপ্তাহে শেষ হবে
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দল নিবন্ধনের ব্যাপারে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য এসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এই সপ্তাহের ভেতর করে দেওয়া হবে। কারণ, আমাদেরও তো একটা দায় আছে, আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাইয়ে ২২টি দল টিকেছিল, যেগুলোর বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাই করে ইসি। গত সেপ্টেম্বরে ইসি জানিয়েছিল, দুটি দল শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। তিনটি দলের বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করা হবে। ৯টি দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে।
ইসির শর্ত পূরণ করলেও প্রতীকের প্রশ্নে ঝুলে আছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নিবন্ধন। এনসিপি শাপলা প্রতীক চাইলেও তালিকায় নেই বলে তা দিতে না পারার কথা বলছে ইসি।
এনসিপির প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, সাংবাদিকেরা তা জানতে চাইলে আখতার আহমেদ সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতীকের ব্যাপারটি আমরা পরে জানাব।’
‘সবকিছু ১০০% করা সম্ভব নয়’
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অগ্রগতি কতদূর, সাংবাদিকেরা তা জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘সবকিছু ১০০ পারসেন্ট (শতাংশ) করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু জায়গায় অ্যাডজাস্টমেন্ট, কিছু বিষয় আগেই কমপ্লিট (শেষ) করেছি। কিছু বিষয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছুই নিক্তিতে মেপে সময় ও দিনক্ষণ-তারিখ অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। এই অ্যাডজাস্টমেন্ট আমাদের রাখতে হবে।’
তবে এখন পর্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো কারণ বা পরিস্থিতি হয়নি, বলেন আখতার আহমেদ। তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচন ভবনের দক্ষিণ পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসি মামলা করবে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। এটা বাইরে ফেটেছে। ইসিকে যদি মামলা করতে হয়, করব।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বিকেলে কমনওয়েলথের একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসি সচিব। এই বৈঠক প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, তাঁরা নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন, প্রযুক্তির অপব্যবহার, নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুনত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা২৮ আগস্ট ২০২৫