মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের শামুরবাড়ি গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, রাতে এবং ভোরে পদ্মা নদী থেকে কুমির উঠে আসছে। 

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন বলেন, “উজান থেকে আসা পানির তোরে কুমিরটি আসতে পারে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি বনবিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

উখিয়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ

কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে ৭ সাপ, আতঙ্কে স্বাস্থ্যকর্মীরা

শামুরবাড়ি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে একটি কুমির দেখা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কৌতুহলী হয়ে পুকুর পাড়ে ভিড় করছেন স্কুলশিক্ষার্থী ও আশপাশের এলাকার বহু মানুষ।

স্থানীয় যুবক মো.

হায়াৎ হোসেন বলেন, “গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পথচারীরা পুকুর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় গোঁয়ালঘরের কাছে একটি কুমির দেখতে পান। আতঙ্কিত হয়ে তারা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে টর্চলাইটের আলোতে কুমিরটির ছবি তোলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় কুমিরটি পুকুর পাড় থেকে নদীর দিকে চলে যায়।”

গৃহবধূ সালিনা বেগম বলেন, “রাতে গোঁয়ালঘরের পাশে কুমির দেখতে পাই। ছবি তুলতে গেলে সেটা পুকুর পাড় থেকে সরে যায়।”

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন বলেন, “উজান থেকে আসা পানির তোরে কুমিরটি আসতে পারে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি বনবিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আতঙ ক উপজ ল আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে ধানখেতে কম্বলে মোড়ানো ছিল নবজাতকটি

ইসলামপুর-মোশারফগঞ্জ সড়কের পাশে ধানখেতের আলে পড়ে ছিল নবজাতকটি। তার শরীরে জড়ানো ছিল কম্বল। গতকাল সোমবার সকালে হাঁটতে গিয়ে শিশুটিকে দেখতে পান শিক্ষার্থী শাহ জামাল। পরে তিনি শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যান।

ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুটিকে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে আবারও শাহ জামালের বাড়িতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক নির্ধারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলার মোশারফগঞ্জ এলাকায় শাহ জামালের বাড়ি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। সড়কের পাশে ধানখেতের আলে একটি নতুন কম্বল দেখতে পাই। কাছে গিয়ে দেখি, কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো একটি শিশু। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো মৃত। ঠান্ডার মধ্যেও শিশুটি একদম চুপচাপ ছিল। পরে ভালোভাবে দেখি, শিশুটি নড়াচড়া করছে। এরপর বাড়ি নিয়ে যাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানাই। তারা শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে আবার আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শাহ জামাল জানান, ‘শিশুটি একদম সুস্থ। এখন আমাদের বাড়িতেই আছে। সে একদম চুপচাপ থাকে।’

শিশুটি দেখাশোনা করছেন শাহ জামালের মা রিক্তা বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটি অনেক সুন্দর। তেমন কান্নাকাটি করে না। আল্লাহ এত মানুষের মধ্যে শিশুটিকে আমার বুকে দিয়েছেন। আমরা শিশুটিকে রাখতে চাই। শুনেছি, আরও অনেকেই নিতে চাচ্ছেন। শিশুটি আমার কাছে ভালো আছে, তাই আমি নিজের কাছে রাখার দাবি করছি।’

শিশুটির অভিভাবক নির্ধারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসাইন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগ্রহী দম্পতিদের আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।

এ বিষয়ে ইউএনও নাজমুল হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কে বা কারা সেখানে রেখে গেছেন, তা জানা যায়নি। শিশুটিকে দত্তক (অভিভাবকত্ব) দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই আবেদনের মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের মৌখিক সাক্ষাৎ গ্রহণের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দত্তক দেওয়া হবে, যাতে শিশুটি সুরক্ষিত থাকে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবাগত সদর ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
  • বাগমারায় স্নাতকের শিক্ষার্থীকে ‘চিকিৎসক’ বানিয়ে চোখের অস্ত্রোপচারের চেষ্টা, বাবা-ছেলের দণ্ড
  • কৃষিজমি ক্ষতির শঙ্কায় ভেকুসহ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
  • জামালপুরে ধানখেতে কম্বলে মোড়ানো ছিল নবজাতকটি