খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণ, নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার এক আসামি
Published: 27th, October 2025 GMT
খাগড়াছড়ি সদরের ভাইবোন ছড়ায় পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. সোহেল ইসলাম (২৬)। গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ভাইবোন ছড়া এলাকায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে চলতি বছরের ১৬ জুলাই খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে এ ঘটনার পর তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। মামলা হওয়ার পর সেদিনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। তবে এ ঘটনার পর ওই কিশোরী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ১৬ জুলাই রাতে ঘটনাটি জানতে পারে তার পরিবার। এরপর ওই রাতেই কিশোরীর বাবা খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরমান হোসেন (৩২), সদস্য ইমন হোসেন (২৫) ও এনায়েত হোসেন (৩৫), শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৩২), ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুনির ইসলাম (২৯) ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল ইসলামকে (২৩) আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই আরমান, ইমন, এনায়েত ও সাদ্দামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গতকাল গ্রেপ্তার হন সোহেল ইসলাম। মো. মুনির ইসলাম এখনো পলাতক।
আরও পড়ুনকিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ, ধর্ষকদের বিচার দাবি১৭ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর সদর থ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় স্বামীর সহযোগিতায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহায়তায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানার পর ওই তরুণীর স্বামীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানি এলাকা থেকে আটক করা হয়। আজ সকালে ওই তরুণী তাঁর স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই তরুণীর স্বামীর (২৬) বাড়ি নোয়াখালীতে। গ্রেপ্তার অপর চারজনও একই এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন বেলাল হোসেন (৩৫), হৃদয় (২৫), মহিন উদ্দিন (২৬) ও আবুল কালাম (৪৫)। তাঁরা সবাই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই পারিবারিকভাবে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই বছর তিনি স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। তবে স্বামীর মাদকাসক্তি ও অসদাচরণের কারণে ছয় মাস আগে তিনি বাবার বাড়ি ফিরে যান। পরে সালিসের মাধ্যমে প্রায় ১০ দিন আগে আবার স্বামীর বাড়িতে ফেরেন ওই তরুণী। ১৫ অক্টোবর তাঁকে শহরে রাখার কথা বলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি ইটভাটায় নিয় আসেন স্বামী। ওই দম্পতিকে থাকার ব্যবস্থা করেন আসামি বেলাল হোসেন। ১৬ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে বেলাল হোসেন ও আবুল কালামকে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামী। এরপর স্বামীর সহায়তায় ওই দুজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এমন ঘটনারও পরও ভয় আর লজ্জায় চুপ ছিলেন তরুণী। ১৮ অক্টোবর মধ্যরাতে একইভাবে স্বামীর সহায়তায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০ অক্টোবর রাতে হৃদয় আবারও এসে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার করেন ওই তরুণী। ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করেন স্বামী এবং মুখ খুললে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার তরুণীকে উদ্ধার করেন তাঁর বাবা।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, গতকাল রাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিত তরুণী। পরে সেই মামলায় তাঁর স্বামীসহ পাঁচজনকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে ওসি বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।