সিআইএ-এর সঙ্গে কাজ করেছিল ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলাকারী
Published: 27th, November 2025 GMT
ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই জাতীয় রক্ষী সদস্যের উপর হামলাকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধের সময় সিআইএ-সমর্থিত সামরিক ইউনিটের সাথে কাজ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
রহমানউল্লাহ লাকানওয়াল (২৯) নামে পরিচিত অভিযুক্ত বন্দুকধারী ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অপারেশন অ্যালিস ওয়েলকাম প্রোগ্রামের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে মার্কিন সরকারের জন্য কাজ করা কিছু আফগানকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিয়েছিল।
আফগানিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে লাকানওয়ালের সম্পর্ক বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গুলি চালানোর সন্দেহভাজন ব্যক্তি আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি মার্কিন সরকারি সংস্থার জন্য কাজ করেছিলেন, যার মধ্যে তালেবানদের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে সিআইএ-সমর্থিত একটি ইউনিটও রয়েছে।
র্যাটক্লিফ ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন, “বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অভিযুক্ত বন্দুকধারীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনার ন্যায্যতা প্রমাণ করেছিল। কারণ আগে তার সিআইএ সহ মার্কিন সরকারের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ল ক জ কর আফগ ন স আইএ
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন, পেনশনসহ অন্য প্রাপ্যতা রিভিজিট করতে কেন নির্দেশ নয়: হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইন প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন দুটি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন, পেনশনসহ অন্যান্য প্রাপ্যতা রিভিজিট (পুনরায় দেখা) করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য বিদ্যমান গবেষণা সুবিধা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনসচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন এবং ২০২৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেনসহ ১৩ আইনজীবী ও আইন শিক্ষার্থী চলতি মাসে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাংলাদশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন ধাপে রয়েছে। যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতির বেতন প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, পাকিস্তানে ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা, ভুটানে ১ লাখ ৯১ হাজার থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, মালদ্বীপে প্রায় ৭ লাখ টাকা, সেখানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পান। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতিও সাংঘর্ষিক।
রিট আবেদনকারীপক্ষের ভাষ্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত সুরক্ষিত একটি অধিকার। তবে ২০২১ ও ২০২৩ সালের উল্লিখিত আইন দুটি বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার—এমনভাবে নির্ধারণ করেছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন রছে। ফলে আইন দুটি সংবিধানের পরিপন্থী।