সোমেশ্বরী নদীর সেই কাঠের সেতুর আয় মসজিদ-মন্দির-গির্জাসহ ৭১ প্রতিষ্ঠানে বিতরণ
Published: 27th, October 2025 GMT
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ ঘাটে সোমেশ্বরী নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সেই কাঠের সেতুর আয় থেকে ৭১টি ধর্মীয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে সেতু পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে চেকের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। আজ সোমবার সন্ধ্যায় আরও চারটি প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করার কথা আছে।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এ জিন্নাহ, সদস্য মুফতি আবদুর রব, কুল্লাগড়া রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র সাহা এবং খ্রিষ্টান মিশনারিজের প্রতিনিধি পংকজ সাংমা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সেতু পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার গাঁকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, কাকৈইগড়া ও বিরিশিরি ইউনিয়নের আংশিক এলাকার প্রায় ৮০ হাজার মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল না। সোমেশ্বরী নদীর ৯০০ মিটার প্রশস্ত অংশ ওই এলাকার মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করত। এই দুর্ভোগ লাঘবে কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের উদ্যোগে ও স্থানীয় লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রমে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ ঘাটে ৭৫০ ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ১৫ লাখ টাকা। সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় লোকজনের যাতায়াত সহজ হয়, পর্যটকদেরও সুবিধা হয়। রানীখং টিলার ক্যাথলিক মিশন, হাজংমাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধ কিংবা সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ জলধারা দেখতে ভিড় বাড়ে স্থানীয় ও দূর থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের।
সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল পরিচালনা কমিটির। যাত্রী, গবাদিপশু ও রিকশা-ভ্যান পারাপারে নামমাত্র ভাড়া নেওয়া হতো, তবে সাইকেল পারাপার ছিল বিনা মূল্যে। সংগৃহীত টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয় হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের যৌথ নামে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সেতু পরিচালনা কমিটির লোকজন চেকের মাধ্যমে এই সেতুর আয়ের ১২ লাখ টাকা বিতরণ করেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব তরণ কর স ম শ বর কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ–পাকিস্তান বাণিজ্য সহযোগিতার আহ্বান উপদেষ্টার
বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। এখন সময় এসেছে এই সম্পর্ককে অর্থনৈতিক পর্যায়ে আরো মজবুত করার।”
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার দপ্তরে সফররত পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া বিদ্যমান বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে দেড় দশক ধরে অকার্যকর থাকা বাংলাদেশ–পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করা হয়েছে।”
এ সময় তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সীমাবদ্ধতা দূর করে বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তা পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি।”
তিনি বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করে এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি