ক্যাবলসকে বলা চলে একটি অত্যাধুনিক ভবনের ব্যাকবোন। ভবন নির্মাণে নিরাপদ ও গুণগতমানের ক্যাবলস ব্যবহার না করলে আবাসস্থল হয় অনিরাপদ এবং জীবনও হবে ঝুঁকিপূর্ণ। কোয়ালিটি এবং সেফটি—দুই দিকেই ওয়ালটন ক্যাবলস এখন বাজারের সেরা। তাই ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব শহর-নগরের স্থাপনা সজ্জিত হবে ওয়ালটন ক্যাবলসে। এমনই এক অসাধারণ গল্প নিয়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে টেক জায়ান্ট ওয়ালটন ক্যাবলসের বিজ্ঞাপন।

জানা গেছে, ঢাকার নাইন এন’ হাফ স্টুডিওতে শুটিং হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনের। এতে অভিনয় করেছেন ওয়ালটন ক্যাবলসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদ। স্থপতি হিসেবে সিয়ামের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। মূলত, এই দুজনের কথোপকথনেই এগিয়ে যায় বিজ্ঞাপনটি। ওয়ালটনের নিজস্ব প্রোডাকশন টিম সম্পূর্ণ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছে। 

আরো পড়ুন:

ভেঙে যাচ্ছে তারকা দম্পতির ১৪ বছরের সংসার?

শতবর্ষে নিভে গেল অভিনেত্রীর জীবনপ্রদীপ

ওয়ালটন ক্যাবলস প্রোডাক্টটি ওয়ালটনের প্রোডাকশন লাইনে সর্বশেষ সংযোজন। সর্বশেষ এই প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেনতনতা তৈরিই এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। গল্পচ্ছলে তুলে ধরা হয়েছে ওয়ালটন ক্যাবলসের নানান বৈশিষ্ট্য। ওয়ালটন ক্যাবলসের টার্গেট অডিয়েন্স বিবেচনায় রেখে গল্পটি লিখেছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম। 

উল্লেখ্য, ওই বিজ্ঞাপনের শুটিং শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞাপনটি ইতোমধ্যেই ওয়ালটনের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ সব ধরনের অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ৩০ সেকেন্ড দৈঘ্যের বিজ্ঞাপনটির পরিচালনায় ছিলেন চিত্রপরিচালক আশিক আলম। চিত্রগ্রহণে ছিলেন সিনেমাটোগ্রাফার তাহসিন রহমান। বিজ্ঞাপনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল (২৬ অক্টোবর) সব ধরনের প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হওয়ার পর দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। 

বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ বলেন, “আমাদের পৃথিবীকে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়তে নিরাপদ বিদ্যুৎ সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ‘নিরাপদ আগামীর সংযোগ’—স্লোগানে দারুণ গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ওয়ালটন ক্যাবলসের বিজ্ঞাপন। যে গল্পে ওয়ালটন ক্যাবলস সংযোগের মাধ্যমে আমরা একেকটি উন্নত, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন শহরের স্বপ্ন দেখি। গল্পের ধারাবাহিকতায় ওয়ালটনের ক্যাবলস প্রোডাক্টটি গুরুত্বসহ উঠে এসেছে। বিজ্ঞাপনটি দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে জেনে আমাদের ভালো লাগছে। এই ক্রিয়েটিভ কার্যক্রম নিশ্চয়ই দর্শকদের মনের খোরাক যোগাবে।” 

সিয়াম আহমেদ বলেন, “দেশীয় কারখানায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ওয়ালটন পণ্য নিয়ে এটি আমার একটি প্রিয় কাজ। পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের সঙ্গে সবসময় আমাদের টার্গেট থাকে দেশকে তুলে ধরা। ওয়ালটনকে তুলে ধরতে গিয়ে মূলত দেশকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দর্শকদের মুগ্ধ করতে আমরা সবসময় সচেষ্ট থাকি। আশা করি, ক্রেতা-দর্শকদের ভালো লাগবে এই বিজ্ঞাপন। দেশের নাম্বার ওয়ান ব্র্র্যান্ড ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমার ভালো লাগছে।”  

ক্যাবলসের চিফ বিজনেস অফিসার রাজু আহমেদ জানান, ওয়ালটন ক্যাবলস এখন হাউজহোল্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং কমিউনিকেশন ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারিং এর পাশাপাশি টেইলরমেইড ক্যাবলসসহ সকল ধরনের ক্যাবলস সফলভাবে উৎপাদন করছে। বাজারে আমরা ওয়ালটন ইলেক্ট্রিক সল্যুশন প্লাজা, ওয়ালটন প্লাজা এবং ডিলার–ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে ক্যাবলসের বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ওয়ালটন ক্যাবলস ৯৯.

৯৯% এলএমই (LME) সার্টিফাইড বিশুদ্ধ কপার থেকে তৈরি হওয়ায় এর বৈদ্যুতিক প্রবাহ অন্যান্য সকল ক্যাবলস থেকে উন্নত। ওয়ালটন ক্যাবলস এর নিজস্ব তৈরিকৃত ভার্জিন ও এফআর গ্রেড পিভিসি শতভাগ অগ্নি নিরোধক ও উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ক য বলস র ব ব জ ঞ পনট ন র পদ আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নারীসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আহত পুলিশ সদস্য জনী (৩৫)কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।  বর্তমানে সে বন্দর থানার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩০) একই এলাকার মৃত মনির হোসেনের মেয়ে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী মুন্নি আক্তার (২৭) সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার নুরুল আমিন মিয়ার মেয়ে  ফারজানা আক্তার (২৫) ও একই এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী সুমা (২২)।

এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক সৈয়দ জাকির হোসেন  বাদী হয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৪ হামলাকারিসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও  আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (১৬ অক্টোবর)  রাত ১০টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  রোববার রাতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা কালে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামা মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর লক্ষ করে অতর্কিত হামলা চালায়।  ওই সময় হামলাকারিরা পুলিশ সদস্য জনীক বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।  তারা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ অক্টোবর   রাত ৮টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে শওকত  মিয়া কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন দড়ি সোনাকান্দা বেপারীপাড়া সাকিনস্থ ধৃত লেডী সন্ত্রাসী  মুন্নী বেগমের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র বিবাদী মুন্নীসহ অন্যান্য বিবাদীগন পথ গতিরোধ
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শওকতের নিকট  ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আমি বিবাদীদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগন আমাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ