চুল ঘন, মজবুত ও বড় করতে বেশ ধৈর্য দরকার নিঃসন্দেহে। তবে কিছু উপায় মানলে তুলনামূলকভাবে দ্রুত বড় করা সম্ভব। গড়ে আমাদের চুল মাসে প্রায় আধা ইঞ্চি করে বাড়ে। অর্থাৎ বছরে প্রায় ছয় ইঞ্চি।
তবে ব্যক্তিভেদে এর কমবেশি হতে পারে। অন্যদিকে গবেষণা অনুসারে, আমরা প্রতিদিন ৫০-১০০টি চুল হারিয়ে ফেলি। তাই নিচের নিয়মগুলো মেনে চলুন, চুলের বৃদ্ধি করুন দ্রুততর।
নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটুননিয়মিত চুল ছাঁটাই আপনার চুলের সুস্থ-স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চুল ছাটলে ডগা ফাটার সমস্যা থাকবে না। চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা গোড়ার দিকে ছড়িয়ে পড়বে না।
চুলের ডগা ফাটা বা ভেঙে যাওয়া মানেই চুল শ্রীহীন হয়ে পড়া এবং চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া। কোঁকড়ানো, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের আগা ছেটে দিলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝরঝরে হবে। চুল বাড়বে দ্রুত।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খানসুন্দর চুলের গঠন শুরু হয় শরীরের ভেতর থেকে। তাই চুল মজবুত করতে প্রতিদিন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন ডিম, তেলযুক্ত মাছ, শিম, বরবটি, বাদাম, গোটা শস্য, মুরগির মাংস ইত্যাদি। আপনার প্রতিটি চুলই কেরাটিন দিয়ে তৈরি।
কেরাটিন মূলত কঠিন ধরনের প্রোটিন, যা আপনার নখ ও ত্বক তৈরির উপাদান। যদি আপনি প্রোটিন কম খান, তাহলে শরীর আরও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে প্রোটিন শোষণ করবে। আপনার চুল হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুনডার্মা রোলার ট্রিটমেন্ট কী, এতে কি সত্যিই চুল গজায়? ২২ আগস্ট ২০২৫চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুনপ্রোটিন নেওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন নিতে পারেন। এমন ভিটামিন বেছে নিতে পারেন, যেটি বিশেষভাবে ত্বক, নখ ও চুলের জন্য উপকারী। চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া রোধে এসব ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান বিশেষভাবে জরুরি—
ভিটামিন এ
ভিটামিন সি
ভিটামিন ই
জিংক
আয়রন
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
ভালো মানের হেয়ার সেরাম চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পর রাতে টিএসসি চত্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মিছিল বের করেন তাঁরা।
সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
টিএসসি থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদলের মিছিলটি ভিসি চত্বর ও হলপাড়া হয়ে আবার টিএসসিতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা ‘তারেক রহমানের সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’, ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন’, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’সহ নানা স্লোগান দেন।
পরে টিএসসির ডাস চত্বরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘বিগত চারটি নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছিল। আমরা ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন দেখেছি, ২০১৮ সালে রাতের ভোট দেখেছি এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন দেখেছি। বিগত সময়ে আমরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাইনি। এবার ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে আবার ভোট দেওয়ার সুযোগ এসেছে। আমরা যোগ্য প্রার্থী ও মার্কা দেখে ভোট দেব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম ভুঁইয়া ইমনসহ অনেকে।