লাল ঝুটি টিয়া বা red-capped parrot  প্রধানত সবুজ রঙের হয়। একটি  টিয়া প্রায় ২২ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং এর ওজন ৯৮ থেকে ১২০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এদের শরীর মূলত সবুজ রঙের হয়, ডানার বাইরের অংশ ও লেজের প্রান্তের পালকগুলি নীল রঙের হয়।

পুরুষ পাখির কপাল, মাথা এবং কানের ওপরের অংশে উজ্জ্বল লাল রঙ থাকে। যা স্ত্রী পাখির থাকে না। স্ত্রী পাখির মাথায় হালকা নীল আভা থাকতে পারে এবং কানের কাছে বাদামী রঙের ছোপ থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় মাথায় কম লাল রঙ থাকে।

আরো পড়ুন:

প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে হামিং বার্ড

দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারে এই পাখি

লাল ঝুটি টিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিল, পূর্ব প্যারাগুয়ে এবং উত্তর-পূর্ব আর্জেন্টিনার আটলান্টিক বনাঞ্চলে বা এর কাছাকাছি অঞ্চলে বাস করে। এটি সাধারণত আর্দ্র বনভূমিতে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৫০০ মিটার উচ্চতর জনপদে দেখা যায়। তবে আরাওকারিয়া অধ্যুষিত তুলনামূলক শুষ্ক ও আংশিকভাবে পরিষ্কার করা অঞ্চলেও এদের পাওয়া যায়। এই পাখি বিভিন্ন ধরণের ফল, বীজ এবং ইউক্যালিপটাস গাছের ছাল খায়। এরা সাধারণত ছোট দল বা জোড়ায় চলাচল করে। খাওয়াদাওয়ার সময় এরা বেশ শান্ত থাকে, যদিও পাহারাদার পাখি উঁচু স্থানে বসে নজর রাখে। 

উড়ার সময় এরা তীক্ষ্ণ স্বরে ডাকে। বসা অবস্থায়, তারা একই ধরণের স্বরে বিভিন্ন ধরনের শব্দ করে। বিরক্ত হলে এরা কাছের গাছের চূড়ায় উঠে যায় এবং সাধারণভাবে সোজা ভঙ্গিতে বসে জোরে ডাকে। এরা গাছের কোটরে বাসা বাঁধে। বন্য পরিবেশে সাধারণত দুটি ডিম পাড়ে, তবে আবদ্ধ অবস্থায় ৩-৪টি ডিম পাড়তে দেখা যায়। স্ত্রী পাখি একাই ডিমে তা দেয় এবং ডিম ফুটতে প্রায় ২৪ দিন সময় লাগে। 

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (IUCN) এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। যদিও বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে এদের সংখ্যা কমছে, তবে এখনও যেসব অঞ্চলে বনাঞ্চল বিস্তৃত, সেখানে এদের মোটামুটি ভালো সংখ্যায় দেখা যায়। 

সূত্র: বার্ড সিনব্যাক ইয়ার্ড অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরবেন শ্রীলঙ্কার দুই ক্রিকেটার

পাকিস্তানে টি–টোয়েন্টি সংস্করণে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আজ। স্বাগতিক পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি এ টুর্নামেন্টের অন্য দল জিম্বাবুয়ে। গতকাল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) জানায়, ত্রিদেশীয় এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারছেন না শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা ও পেসার আসিতা ফার্নান্দো। অসুস্থতার কারণে এই দুই ক্রিকেটার দেশে ফিরবেন বলে জানায় এসএলসি।

এসএলসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা ও ফাস্ট বোলার আসিতা ফার্নান্দো অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরবেন। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে পারবেন না এই দুই খেলোয়াড়। এ সতকর্তামূলক পদক্ষেপের কারণে ভবিষ্যৎ দায়িত্বে ফেরার আগে তাঁরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও সময় পাবেন।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসালাঙ্কার অনুপস্থিতিতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব করবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা। বদলি হিসেবে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার পবন রত্নায়েকেও দলে নেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা

সম্পর্কিত নিবন্ধ