যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের পরিবর্তনসহ একগুচ্ছ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক মো.

 আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসাইন আল মামুন সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে আবাসিক হল পরিদর্শন করেন। তারা আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের চিকিৎসা, মানসিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।

আরো পড়ুন:

‘উদাসীনতায়’ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সংকটে যবিপ্রবি

গবেষণায় সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাচ্ছে যবিপ্রবির এনএএমই ল্যাব

আবাসন ও নিরাপত্তা বিষয়ে উপাচার্য আব্দুল মজিদ হল প্রাধ্যক্ষদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়।

আহত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বিভাগীয় প্রধানদের ক্লাস টেস্ট পুনরায় নেওয়া এবং হাজিরার বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের আশেপাশের মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় মেস মালিক ও বাজার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর পরিবর্তন করে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ইমরান খানকে। সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মো. নাভীদ আঞ্জুম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. হামিদুর রহমানকে।

সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টোরিয়াল বডির পক্ষ থেকে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে।

প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় উপাচার্য সংঘর্ষের ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীকে এক দোকানদার উত্ত্যক্ত করায় স্থানীয়দের সঙ্গে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় অন্তত ২৭ শিক্ষার্থী আহত হন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

ঢাকা/ইমদাদুল/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র উপ চ র য প রক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষের পর প্রক্টর বদলসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় জোর যবিপ্রবির

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের পরিবর্তনসহ একগুচ্ছ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসাইন আল মামুন সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে আবাসিক হল পরিদর্শন করেন। তারা আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের চিকিৎসা, মানসিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।

আরো পড়ুন:

‘উদাসীনতায়’ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সংকটে যবিপ্রবি

গবেষণায় সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাচ্ছে যবিপ্রবির এনএএমই ল্যাব

আবাসন ও নিরাপত্তা বিষয়ে উপাচার্য আব্দুল মজিদ হল প্রাধ্যক্ষদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়।

আহত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বিভাগীয় প্রধানদের ক্লাস টেস্ট পুনরায় নেওয়া এবং হাজিরার বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের আশেপাশের মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় মেস মালিক ও বাজার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর পরিবর্তন করে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ইমরান খানকে। সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মো. নাভীদ আঞ্জুম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. হামিদুর রহমানকে।

সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টোরিয়াল বডির পক্ষ থেকে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে।

প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় উপাচার্য সংঘর্ষের ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীকে এক দোকানদার উত্ত্যক্ত করায় স্থানীয়দের সঙ্গে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় অন্তত ২৭ শিক্ষার্থী আহত হন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

ঢাকা/ইমদাদুল/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ