চাইলে আপনাদের চাটমোহর থেকে বিতাড়িত করতে পারি: হীরা
Published: 28th, November 2025 GMT
পাবনা চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেছেন, “আমরা আজকেও শুনেছি, আপনারা আমাদের লোকজনকে বাধার সৃষ্টি করছেন। আপনাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, যদি ভদ্রভাবে থাকতে চান ভদ্রভাবে থাকুন। তা না হলে আগামীতে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “আপনাদের একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, আমরা যদি চাই, আপনাদের চাটমোহর থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে বিতাড়িত করতে পারি। আমাদের বাধ্য করবেন না। আমরা চাইলে বহিরাগত কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে চাটমোহর থেকে বিতাড়িত করতে পারি।”
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ
বাউল আবুল সরকারের শাস্তি দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে আয়োজিত মশাল মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। এই আসনে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিএনপি।
এর আগে, চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের হয়। সেটি পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বালুচর খেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, চাটমোহর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল।
হাসাদুল ইসলাম হীরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, “গত শনিবার আপনারা সারা বাংলাদেশ থেকে পাঁচ ছয় হাজারের বেশি লোক জমায়েত করতে পারেননি। বালুচর মাঠে সমাবেশ করার কথা থাকলেও করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা গিয়েছেন বাসস্ট্যান্ডে। যেখানে আজকে আমার মশালের সংখ্যা যত ছিল, সেদিন আপনার নেতাকর্মীর সংখ্যা তত ছিল। আপনাদের মনে রাখতে হবে, পাবনা-৩ এর মানুষ আপনাদের ধিক্কার জানিয়েছে, আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। তাই বেশি আকাশে উড়বেন না, বেশি বড়াই করবেন না, কারণ আপনারা বহিরাগত।”
হীরা বলেন, “আমি সেন্ট্রাল নেতাদেরকে বলব, এর আগেও বলেছি, বারংবার বলছি- আপনারা মাঠ জরিপ দেখুন। তৃণমূলে নেতাকর্মীদের অবস্থানের কথা বিবেচনা করুন। বহিরাগত প্রার্থীকে এখান থেকে প্রত্যাহার করে পাবনা-৩ এর স্থানীয় সন্তানকে মনোনয়ন দিন। তা না হলে, আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদেরকে বাধ্য করবেন না, সারা বাংলাদেশ থেকে চাটমোহর কে যেন বিচ্ছিন্ন করতে না হয়। অনেক জায়গায় ট্রেন পথ বন্ধ করেছে, রাজপথ বন্ধ করেছে। আমরা ট্রেন পথ রাজপথ বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তি বাড়াতে চাই না। আমরা যদি চাই, ২০ হাজার ৫০ হাজার লোক নিয়ে ওই ট্রেন পথ অবরোধ করতে পারি। প্রয়োজন হলে সেখানেই রান্না হবে, সেখানেই খাওয়া-দাওয়া হবে। আমরা সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করছি। আমাদেরকে বাধ্য করবেন না।”
হীরা আরো বলেন, “সেন্ট্রাল নেতারা যে ভুল করেছেন, আশা করি আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান সেই ভুল করবেন না, করতে পারেন না। তাকে অনুরোধ করব, আবারো তৃণমূলের মাঠ জরিপ করে দেখবেন। তা না হলে আমি আগেও বলেছি, বহিরাগত যে প্রার্থীকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের কাছে হেরে যাবে। তার দায়ভার সেন্ট্রাল নেতাদেরকেই বহন করতে হবে। যদি তাকে প্রত্যাহার না করেন তাহলে আমরা বাধ্য হবো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়াতে।”
পথ সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য কে এম মানোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি থেকে কি বলা হয়েছিল, বলা হয়েছিল- এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে যিনি এলাকায় জনপ্রিয়, মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখেন, যার জনসম্পৃক্ততা আছে, গ্রহণযোগ্যতা আছে। পাবনা-৩ আসনে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি কি এলাকায় জনপ্রিয়? জনসম্পৃক্ত? না নাই। চাটমোহর ভাঙ্গুরা ফরিদপুরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছে। আমরা চাই, আমাদের এলাকা থেকে একজনকে মনোনয়ন দেবার জন্য। চাটমোহরে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ত্যাগী নেতা থাকেন তাকে মনোনয়ন দেয়া হোক। আজ চাটমোহর ভাঙ্গুরা ফরিদপুরে একই কথা। সবাই স্থানীয় প্রার্থী চায়। তাই আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমাদের নেতা তারেক রহমানের কাছে চাই, সবার শান্তির লক্ষ্যে আমাদের স্থানীয় মাটির সন্তানকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দ ল ইসল ম ব এনপ র স করব ন ন আপন দ র আম দ র আপন র ত করত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ফুল পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দুটি ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকার পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা ফুলের তোড়া পৌঁছে দেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফুল গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৩ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুনখালেদা জিয়া সিসিইউতে১৫ ঘণ্টা আগে