পদ্মায় ধরা পড়া ১৬ কেজির বোয়াল বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
Published: 11th, January 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া কুশাহাটা এলাকার পদ্মা নদীতে জেলে মিরাজ শেখের বড়শিতে বোয়াল ধরা পড়েছে। আজ শনিবার সকালে ১৬ কেজি ওজনের মাছটি ধরা পড়ে।
পরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট মাছের আড়তে আনা হলে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বোয়ালটি কিনে অর্ধলক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেন। ডাকে অংশ নিয়ে ওই ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নেন।
স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী জানান, বর্তমানে নদীতে জালে খুব একটা মাছ ধরা পড়ছে না। জেলেরা বিকল্প হিসেবে জালের পাশাপাশি বড়শি দিয়েও মাছ শিকার করছেন। শনিবার সকালে পাবনা জেলার কাছাকাছি রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী দৌলতদিয়া কুশাহাটা এলাকার স্থানীয় মিরাজ শেখ পদ্মা নদীতে হাজারি বড়শি ফেলেন। ওই বড়শি তুলতে গিয়ে দেখতে পান, বড় এক বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি বিক্রির জন্য তিনি নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট মাছবাজারের কেছমত মোল্লার আড়তঘরে। সেখানে বোয়ালটি ওজন দিয়ে দেখতে পান, মাছটি ১৬ কেজির মতো। পরে প্রকাশ্যে ডাকে তোলা হলে ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ৩ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৯ হাজার ৬০০ টাকায় এটি কিনে নেন।
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো.
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে মাঝেমধ্যে বোয়াল, কাতলা, বাগাড়–জাতীয় বড় বড় মাছের দেখা মেলে। তবে অনেক দাম হওয়ায় আমাদের দেখে মানসিক সান্ত্বনা নেওয়া ছাড়া এর স্বাদ ভোগ করার ক্ষমতা বা সামর্থ্য নেই। এ ধরনের মাছ টাকাওয়ালাদের জন্য আল্লাহ তৈরি করেছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-স্ত্রী হত্যা: যোগেশ চন্দ্রকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হত্যার শিকার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাহিমাপুর খিয়ারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আনা হয়।
পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে স্থানীয় রহিমাপুর চাকলা সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
গৃহকর্মী বোরকা পরে ঢুকে বের হন স্কুল ড্রেসে
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত হত্যা
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর খিয়ারপাড়া গ্রামের নিজে বাড়িতে যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তার স্ত্রী সুর্বণা রায়কে (৬০) কুপিয়ে খুন করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ছেলে সুবেন্দ্র রায় বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
গার্ড অব অনার দেওয়ার সময় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন, তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক ডা. আলী হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা, উপজেলার কর্মরত শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত এ দম্পতির দুই ছেলে রাজেশ রায় ও সুবেন্দ্র রায় তখন উপস্থিত ছিলেন। তাদের একজন বাংলাদেশ পুলিশে ও অন্যজন র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে কর্মরত আছেন।
পরে বাড়ির পাশের শ্মশানে যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘‘নিহত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যারা হত্যায় জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’’
ঢাকা/আমিরুল/বকুল