2025-06-15@21:29:38 GMT
إجمالي نتائج البحث: 71

«উপসর গ»:

    শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হলে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকেই সেসব লক্ষণকে পাত্তা দেন না। ধীরে ধীরে এসব সমস্যা বড় আকার নেয়। তাই যেকোন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জেনে রাখা জরুরি। শরীরে হজমজনিত সমস্যা হওয়া মানে অন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়া। তাই জটিল রোগ হওয়ার আগেই কিছু লক্ষণ জেনে রাখা দরকার। যেমন- বদহজমের সমস্যা থাকলে সারাক্ষণই পেটে একটা চিনচিনে ব্যথা, অস্বস্তি হতে পারে। কিছু খেলেই মনে হবে পেটে ব্যথা হচ্ছে। এক্ষুনি বাথরুমে দৌড়াতে হবে। বদহজমের সমস্যা মানেই হচ্ছে খাবার সঠিক ভাবে হজম না হওয়া। এর ফলে অস্বস্তিকর ঢেকুর উঠতে পারে। তাই সারাক্ষণ ঢেকুর উঠতে থাকলে সাবধান হওয়া জরুরি।   যারা অনেকদিন ধরে বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন পানি খেলেও তাদের মনে হয় অ্যাসিডিটি হচ্ছে। এমন হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।  সামান্য কিছু খেলেও অনেকেরই...
    ঋতু পরিবর্তনের সময় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এ সময় মুখ বেঁকে যাওয়া রোগে (বেলস পলসি) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি হয়। ভাইরাসের আক্রমণজনিত এ রোগে যে কোনো বয়সী লোক আক্রান্ত হতে পারেন। তবে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের এ রোগ বেশি হয়। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় ঠান্ডা বাতাস লাগলে, বেশি রাত জাগলে হঠাৎ এ রোগ দেখা দিতে পারে। উপসর্গ: এ রোগটি সহজেই নির্ণয় করা যায়। বেশির ভাগ রোগীই কানের গোড়ায় বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। কুলি করতে গেলে আক্রান্ত অংশের পাশ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। চোখ বন্ধ করতে পারেন না। কথা বলতে বা হাসতে গেলে মুখ একদিকে বেঁকে যায়। খাবার মুখের ভেতরের আক্রান্ত অংশে জমা হয়ে থাকে। হঠাৎ এসব উপসর্গ দেখা দিলে উল্লিখিত রোগটি হয়েছে ধরে...
    ঋতু পরিবর্তনের সময় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এ সময় মুখ বেঁকে যাওয়া রোগে (বেলস পলসি) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি হয়। ভাইরাসের আক্রমণজনিত এ রোগে যে কোনো বয়সী লোক আক্রান্ত হতে পারেন। তবে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের এ রোগ বেশি হয়। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় ঠান্ডা বাতাস লাগলে, বেশি রাত জাগলে হঠাৎ এ রোগ দেখা দিতে পারে। উপসর্গ: এ রোগটি সহজেই নির্ণয় করা যায়। বেশির ভাগ রোগীই কানের গোড়ায় বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। কুলি করতে গেলে আক্রান্ত অংশের পাশ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। চোখ বন্ধ করতে পারেন না। কথা বলতে বা হাসতে গেলে মুখ একদিকে বেঁকে যায়। খাবার মুখের ভেতরের আক্রান্ত অংশে জমা হয়ে থাকে। হঠাৎ এসব উপসর্গ দেখা দিলে উল্লিখিত রোগটি হয়েছে ধরে...
    কিডনি নিয়ে লিখতে বসে সজীবের কথা মনে পড়ে গেল। ২৬ বছরের টগবগে তরুণ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসিতে মাস্টার্স করে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কাজ করত। একদিন মাথা নিচু করে সামনে বসে বলল, ‘স্যার, খুব দ্রুত হাঁপিয়ে যাই। মাত্র বিয়ে করেছি, শ্বশুরবাড়ির এত দাওয়াত, কিন্তু খেতে পারি না, বমি বমি লাগে।’পরীক্ষা করে দেখি রক্তচাপ অনেক বেশি, ফ্যাকাসে চেহারা, রক্তশূন্যতা। পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে দেখা গেল, ৯৫ ভাগ কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। সে টেরই পায়নি। ঘাতক ব্যাধি নীরবে তার কিডনি শেষ করে দিয়েছে।তেমন কোনো উপসর্গ ছাড়াই নীরবে বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কিডনি রোগ ক্রমাগত বেড়ে চলছে। কিডনি রোগের কারণে শুধু ব্যক্তিগত জীবনই বিপর্যস্ত হয় না, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপরও বিশাল অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হয়।কিডনি রোগের কারণকিডনি রোগের সবচেয়ে সাধারণ...
    দেশে বেশ কিছু কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকার আবার সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ করছে। সাম্প্রতিক এই কোভিড করোনার একটি উপধরন। এ–সম্পর্কিত সতর্কতা ও নির্দেশিকাগুলো জানা জরুরি।  কোভিড–১৯–এর এই নতুন উপধরন অমিক্রন এক্সবিবি দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বলা হচ্ছে, এই রূপটি পূর্ববর্তী রূপগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক। অনেক ক্ষেত্রে এটি সাধারণ লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ করে না, কিন্তু ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অমিক্রন এক্সবিবি হলো একটি রিকম্বিন্যান্ট সাবভেরিয়েন্ট, যা দুটি অমিক্রন স্ট্রেনের সংমিশ্রণে গঠিত।উপধরনটি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে—* পূর্ববর্তী রূপগুলোর তুলনায় দ্রুত ছড়াতে পারে।* কখনো কখনো প্রচলিত পরীক্ষায় ধরা পড়ে না, মানে ফলস নেগেটিভ টেস্ট আসে।* ক্ল্যাসিক্যাল লক্ষণ বা উপসর্গ নাও হতে পারে। যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবেঅনেক রোগীর কাশি বা জ্বরের মতো সাধারণ লক্ষণ দেখা যায় না। পরিবর্তে গিঁটে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলাব্যথা,...
    ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম, করা হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, শুরু হয়েছে মাস্কের ব্যবহার। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বসানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ আছে কিনা তা হেল্থ স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করছেন। ইমিগ্রেশনে সকলেই মাস্ক ব্যবহার করছে। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত পাসপোর্ট ধারী যাত্রী এবং কাস্টমস ও সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরাও মাস্ক ব্যবহার করছেন। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত ওসি আবু তালেব বলেন, ‘‘করোনার বিষয়ে আমরা হিলি ইমিগ্রেশন সচেতন আছি। পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম...
    নভেল করোনা ভাইরাস আবারো নতুন রূপে ফিরে আসছে। পাঁচ বছর আগে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়া এই ভাইরাস এখনো থেমে নেই। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। ঈদুল আজহার সময় মানুষজনের চলাচল ও ভিড় বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে নতুন করে তাগিদ দিয়েছে সরকার। নতুন ধরন: সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, সাম্প্রতিক নমুনা পরীক্ষায় করোনার যেসব ধরন পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো—এনবি.১.৮.১, এনএফ.৭, ও জেএন.১। এরা সবাই ওমিক্রনের উপধরন। আইইডিসিআরের এক কর্মকর্তা জানান, এই উপধরণগুলো দ্রুত ছড়ালেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণ হালকা থাকে— যেমন হালকা জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা বা সর্দি হতে পারে। তবে যাদের আগেই শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস আছে; তাদের জন্য এসব ধরণ বিপজ্জনক...
    ভারতের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় বেনাপোল বন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারত ফেরত আফজাল হোসেন বলেন, ১৩ দিন আগে মেডিকেল ভিসায় ভারত গিয়েছিলাম। ভারতের কোথাও করোনা পরীক্ষা করেনি। সীমা রানী নামে একজন বলেন, একমাস ভারতে চিকিৎসার পর দেশে ফিরলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে, শুনিনি। তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে...
    ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ওমিক্রনের একটি নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সতর্কতা জারি করা হয়। আরো পড়ুন: জাবিতে ছাত্রদলের হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম করোনার টিকা ক্রয়‘২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে’ সালমান গংয়ের বিরুদ্ধে নামছে দুদক এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং...
    সাম্প্রতিক সময়টা একেভারেই ভালো যাচ্ছেন না ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রের। এর মধ্যেই আবার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। রবিবার (৮ জুন) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব সান্তোস। সান্তোসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে একটি ভাইরাল অসুস্থতায় ভোগার পর, নেইমার জুনিয়রকে ক্লাবের মেডিকেল টিম পর্যবেক্ষণ করে ল্যাব পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। পরীক্ষার ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, নেইমার বৃহস্পতিবার থেকেই ক্লাবের সব কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন, যেদিন থেকে তার উপসর্গ দেখা দেয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিশ্রামে আছেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩৩ বছর বয়সী এই তারকার জন্য এটি আরো একটি ধাক্কা, কারণ তার সান্তোসে ফিরে আসার যাত্রা মোটেই সুখকর হয়নি। সৌদি ক্লাব আল-হিলালের হয়ে চোটজর্জরিত অধ্যায়...
    কয়েক দিন ধরে প্রায়ই মাথাটা ব্যথা করছে। মনে হলো, অনেক প্রশ্নের উত্তরই তো গুগলে পাওয়া যায়, এ বিষয়ে একটু সার্চ করে দেখি তো। উপসর্গ লিখে অনুসন্ধান করতেই সব কারণ, লক্ষণ বিশদভাবে তুলে ধরল গুগল। আসতে থাকল একের পর এক রোগের বর্ণনা। মাথাব্যথার একটি অন্যতম কারণ ব্রেন টিউমার—এটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মাথায় ঢুকে গেল, নিশ্চয় ব্রেন টিউমার হয়েছে। অন্যান্য উপসর্গ পড়তে পড়তে দেখেন, আরে, সব তো মিলে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেল। দুর্বল লাগতে থাকল। আতঙ্কে কোনো কাজ করতে আর ভালো লাগে না, খেতে ইচ্ছে করে না, কোনো কাজে আগ্রহ পাওয়া যায় না। ওজন কমে যাচ্ছে। নতুন সৃষ্ট সমস্যাগুলোকে আরও বেশি ক্যানসারের সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে। জীবন শেষ, এই হতাশা পেয়ে বসল।তারপর এসব সমস্যা নিয়ে আপনি চিকিৎসকের কাছে গেলেন। চিকিৎসক...
    বরিশাল বিভাগে ডায়রিয়া ও ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রকোপের মধ্যেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (অমিক্রনের উপধরন) বিস্তার নিয়ে উদ্বেগে আছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর বিস্তার মোকাবিলায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে বিভাগের ৪০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্তকরণ, চিকিৎসায় কোনো প্রস্তুতি না থাকায় আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখছে স্বাস্থ্য বিভাগ।বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে অনলাইন সভায় করোনা রোগীর জন্য আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষ প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছি, যা ঈদের পরে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো সুবিধা নেই। দুই বছর আগের কিট দিয়ে পরীক্ষা সম্ভব...
    রাজশাহীতে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই চিকিৎসক। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে রাজশাহীতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। সোমবার (২ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নয়জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেছেন, “কয়েক দিন ধরেই নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে। সোমবার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তাদের মধ্যে ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সম্ভবত সাতজন চিকিৎসক। সবাই হালকা উপসর্গে ভুগছেন, কিন্তু শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং...
    রোগটির সংক্ষিপ্ত নাম লুপাস। পুরো নাম সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস (এসএলই)। এটি একটি ‘অটোইমিউন’ রোগ। এই রোগে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে কিডনি লুপাস বা লুপাস নেফ্রাইটিস অন্যতম। ২০ থেকে ৭৫ শতাংশ লুপাস রোগীর কিডনি আক্রান্ত হতে পারে। কিডনির পাশাপাশি শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র, রক্তরোগ, চামড়ার ক্ষত, গিরা, মাংসপেশি, ফুসফুস, হৃদ্‌যন্ত্র এমনকি চুল পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে।লুপাস সাধারণত ১১–১২ বছর বয়সে দেখা দিতে পারে। তবে পাঁচ বছরের নিচে এই রোগ কম হতে দেখা যায়। এই রোগে ছেলে বা মেয়েশিশু উভয়ই আক্রান্ত হয়, তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।কারণলুপাস রোগের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না। তবে কিছু বিষয় যেমন বংশগত ও পরিবেশগত প্রভাব, ভাইরাস সংক্রমণ এবং হরমোনজনিত প্রভাব রোগের বিস্তার ও তীব্রতাকে প্রভাবিত করে। মূলত এটি অটোইমিউন...
    ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে করোনাভাইরাসে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডে’ আজ শনিবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে ভাইরাসটিতে মোট তিনজন মারা গেছেন।মৃত ব্যক্তিদের একজন ৬০ বছর বয়সী নারী। তিনি পেটে অস্ত্রোপচারের পর গুরুতর অন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। পরে তাঁর দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। অন্যজন ৭১ বছর বয়সী পুরুষ, যিনি নিউমোনিয়া, সেপটিক শক এবং তীব্র কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সেপটিক শক হলো একটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা, যা সাধারণত রক্তে মারাত্মক সংক্রমণ (সেপসিস) থেকে সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে।ড্যাশবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দিল্লিতে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭৫। গতকাল শুক্রবারের পর থেকে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৮১...
    আমাদের গলার নিচের দিকে প্রজাপতি আকৃতির একটি অতি প্রয়োজনীয় গ্রন্থি থাকে, যা থেকে নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন। থাইরয়েড হরমোন মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শরীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতি প্রয়োজনীয় এ হরমোনের পরিমাণ কম বা বেশি হলে শরীরে দেখা দেয় নানা জটিলতা। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ কোটিরও বেশি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত। বাংলাদেশের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয় প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছেন। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে থাইরয়েডজনিত সমস্যা হার বেশি দেখা দেয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবে থাইরয়েডের রোগী চিকিৎসকের কাছে কম আসে। বয়স ও লিঙ্গভেদে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ ও জটিলতা দেখা যায়। অনেক সময় উল্লেখযোগ্য কোনো উপসর্গ...
    বিশ্বে প্রবীণদের যত ধরনের ক্যানসার হয় তার প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ ব্লাড ক্যানসার। শিশুদের ক্ষেত্রে এই হার প্রায় ২৫ শতাংশ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১০ বছরে বিশ্বে ব্লাড ক্যানসারের হার ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।ব্লাড ক্যানসার কীরক্তে তিন ধরনের কণিকা থাকে। এগুলো হলো লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। কোনো কারণে অস্থিমজ্জার ভেতরের ব্লাড স্টিমসেলের (মাদার সেল) মিউটেশন বা অন্য কোনো পরিবর্তন হলে ক্যানসার সেল (ব্লাস্ট) বা অপরিপক্ব কোষ তৈরি হয়, যা অস্থিমজ্জার ভেতরে অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অস্থিমজ্জার ভেতরে এই রক্তকণিকাগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিই ব্লাড ক্যানসার। মোটাদাগে ব্লাড ক্যানসার হয় তিন ধরনের—লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ও মায়েলোমা।কারণ ও উপসর্গব্লাড ক্যানসারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায় না। তবে রেডিয়েশন, শিল্পের রাসায়নিক, কীটনাশক, ভেজাল খাবার, লুব্রিকেন্টস, বার্নিশ, কেমোথেরাপির ওষুধ ও...
    ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার নারীদের একটি মারাত্মক রোগ। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এটি নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকায় ডিম্বাশয়ের ক্যানসারকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার বা নীরব ঘাতক।কেন হয়ডিম্বাশয় হচ্ছে নারীর প্রজনন অঙ্গের একটি অংশ, যা ডিম্বাণু উৎপন্ন করে। এ অঙ্গে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ফলে ক্যানসার হয়। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের ঝুঁকি বেশি। তবে এর চেয়ে কম বয়সেও হতে পারে।এর পেছনে যেসব কারণ রয়েছে:● পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ পরিবারের কারও ক্যানসার থাকা (বিশেষ করে ব্রেস্ট বা ওভারিয়ান ক্যানসার)।● বংশগত জেনেটিক মিউটেশন (যেমন বিআরসিএ১ ও বিআরসিএ১ জিন)।● বয়স, বন্ধ্যত্ব বা দীর্ঘ মেয়াদে হরমোন থেরাপি।● অতিরিক্ত ওজন।লক্ষণ ও উপসর্গওভারিয়ান ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ সাধারণত অস্পষ্ট থাকে এবং সহজেই উপেক্ষিত হয়। ফলে প্রায়ই রোগটি দেরিতে ধরা পড়ে। তবে...
    দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সমস্যাগুলোকে অনেকে গুরুত্ব দেন না। এগুলো হতে পারে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের লক্ষণ।  সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ম কিন্তু কেবল বড়দের জন্য প্রযোজ্য নয়, কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। সুইডেনের এক দল বিজ্ঞানী সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে সব কিশোর-কিশোরী রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুমায়, তাদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাকিদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। এর জন্য দায়ী রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে আনগোনা। এই অভ্যাস কিন্তু বড়দেরও রয়েছে। এই রোগ খুব বেশি পরিচিত নয়। কী এই রোগ, উপসর্গই বা কী? দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথাঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিক ভাবে এ ধরনের সমস্যাগুলো অনেকে গুরুত্ব দেন না। এ ধরনের সমস্যা মাল্টিপল...
    বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে একটি সাধারণ ক্যানসার হলো ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যানসার। যার প্রধান কারণ হিসেবে বর্তমান জীবনযাত্রাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের ডিম্বাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৮৭ জন নারীর মধ্যে একজনের ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে এর হার ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এই ক্যানসারে বেঁচে থাকার হার ৮৮ শতাংশ।সবার মধ্যে ক্যানসারবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে এসকেএফ অনকোলোজি আয়োজন করে ‘বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা। সেখানে এসব কথা উঠে আসে। এটি গত মঙ্গলবার (২০ মে) প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।নাসিহা তাহসিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আহছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের...
    পাইলস বা হেমোরয়েড হলে পায়ুপথে বিদ্যমান রক্তনালি ফুলে যায় বা প্রদাহ হয়। অর্শরোগের উপসর্গ এর ধরনের ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত অভ্যন্তরীণ অর্শরোগের ক্ষেত্রে মলদ্বারে রক্তপাত হয়, যা বেদনাবিহীন। আর বাহ্যিক অর্শরোগ হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে, থ্রমবোজড হলে তা মলদ্বার অঞ্চলে ব্যথা ও স্ফীতির কারণ হতে পারে। অনেকে পায়ুপথের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলেই তা ‘হেমোরয়েডস’ ভেবে ভুল করেন, আসলে সব সমস্যাই পাইলস নয়।উপসর্গঅভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হেমোরয়েডস আলাদাভাবে দেখা দিতে পারে; আবার অনেকের দুটিই থাকতে পারে। থ্রমবোজড বা রক্তনালিতে গঠিত হলে হেমোরয়েডস অত্যন্ত বেদনাদায়ক হতে পারে। হেমোরয়েডস বড় আকারের ও অস্বাস্থ্যকর হলে চারদিকের ত্বকে অস্বস্তি ও চুলকানি হতে পারে। অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস হলে সচরাচর বেদনাহীন থাকে, উজ্জ্বল লাল রঙের রক্তপাত বা রেকটাল ব্লিডিং হতে পারে। মল রক্ত দ্বারা আবৃত থাকতে পারে, যে...
    একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য ঠিক কতটা প্রোটিন প্রয়োজন, তা তাঁর ওজনের ওপর নির্ভর করে। ধরা যাক, একজনের ওজন ৫০ কেজি। তাহলে তাঁর জন্য প্রতিদিন ৫০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। সহজে, সাধারণভাবে হিসাব করা যায় এভাবে—আপনার ওজন যত কেজি, প্রতিদিন তত গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে বলছিলেন ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।কোন খাবারে পাবেন প্রোটিনযাঁর ৫০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন, তিনি ৫০ গ্রাম মাংস খেলেই যে তাঁর দেহের চাহিদা মিটে যাবে না, সে তো বুঝতেই পারছেন। কারণ, কোনো খাবারই কেবল একটি পুষ্টি উপাদান দিয়ে তৈরি নয়। প্রতিটি খাবার থেকেই নানা পুষ্টি উপাদান পাই আমরা। আবার সব প্রাণীর মাংস থেকে যে একই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়, তেমনটাও নয়। তেমনিভাবে বিভিন্ন ধরনের মাছ, ডিম ও...
    জিহ্বার নিচে খানিকটা ফোলা, যেন একটা থলি। একে বলে রেনুলা। রেনুলা মূলত মিউকাসপূর্ণ একটি সিস্ট, যা মুখের মেঝের মিউকাস গ্রন্থি থেকে উৎপত্তি লাভ করে। রেনুলা সাবলিঙ্গুয়াল গ্রন্থিগুলোর সঙ্গে যুক্ত সাধারণ ক্ষত। উৎপত্তিএটি জিহ্বার নিচের লালাগ্রন্থি থেকে উৎপত্তি হয়। আঘাতের কারণে মুখের মেঝেতে থাকা সূক্ষ্ম নালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মুখগহ্বরের সাবলিঙ্গুয়াল গ্রন্থি থেকে লালা নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটায়।এটি জেলির মতো তরল দিয়ে গঠিত হয়।কার হয়শিশু–কিশোরেরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। নারী ও পুরুষ উভয়েরই এ রোগ হতে পারে।জিহ্বার নিচে খানিকটা ফোলা, যেন একটা থলি। একে বলে রেনুলা। রেনুলা মূলত মিউকাসপূর্ণ একটি সিস্ট, যা মুখের মেঝের মিউকাস গ্রন্থি থেকে উৎপত্তি লাভ করে।শনাক্তকরণস্বচ্ছ, নীল ফোলা হিসেবে মুখের মেঝেতে দেখা যায়। এটি সাধারণত জিহ্বার ফ্রেনুলারের এক পাশে হয়। আকৃতিতে গোলাকার ও গম্বুজ আকারের হয়ে থাকে।...
    কারপাল টানেল সিনড্রোম একটি স্নায়বিক সমস্যা। আমাদের কবজির মধ্য দিয়ে যাওয়া ‘মিডিয়ান নার্ভ’-এর ওপর চাপ পড়লে এই সমস্যা দেখা দেয়। হাতের মিডিয়ান নার্ভ হাতের তালু, আঙুল ও আরও কিছু অংশের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই নার্ভ যদি কবজির সরু ‘কারপাল টানেল’ নামক পথের মধ্যে কোনো কারণে চাপে পড়ে, তখন হাতে ব্যথা, অবশভাব বা ঝিঁঝি ধরার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কেন হয়আগেই বলা হলো যে মিডিয়ান নার্ভে অতিরিক্ত চাপ পড়াই এ রোগের কারণ। এই চাপ নানাভাবে সৃষ্টি হতে পারে। যেমন বারবার একই ধরনের কাজ করা, যেমন দীর্ঘ সময় ধরে টাইপ করা, মাউস ব্যবহার করা বা হাতের কবজিকে একইভাবে বারবার নাড়ানো। কবজিতে কোনো আঘাত বা প্রদাহ।গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে নার্ভের চারপাশে পানি জমে এই রোগ হতে পারে। ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি যাঁদের...
    শরীরের অ্যালার্জির মতো চোখেও অ্যালার্জি হয়। অ্যালার্জি চোখের একটি অতিপরিচিত রোগ। চোখের অ্যালার্জি মৃদু থেকে গুরুতর হতে পারে। এই রোগ শিশু বয়স থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত যে কোনো বয়সে হতে পারে। এই রোগের উপসর্গ সাধারণত চোখ চুলকানো, পানি পড়া, আলোভীতি, চোখ লাল হওয়া ইত্যাদি। প্রাথমিক অবস্থায় দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত না ঘটলেও উপসর্গগুলো অনেক কষ্টের কারণ হয়। এই রোগের উপসর্গ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে কমবেশি হয়। দীর্ঘকাল স্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে গুরুতর ধরনের জটিলতা হতে পারে। যেমন: দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত, নেত্রস্বচ্ছের অস্বচ্ছতা, উচ্চ চোখের চাপ এবং চোখের পাতার বিকৃতি। অ্যালার্জির কারণ পরিবেশের উপাদানই মূলত চোখের অ্যালার্জির প্রধান কারণ। তবে বংশানুক্রমের প্রভাব অবশ্য রয়েছে। যার কারণে একই পরিবেশে অবস্থানের ফলেও কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন, আবার কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন না। যার সংস্পর্শে এলে চোখে এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি...
    ডিপথেরিয়া কীডিপথেরিয়া মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা নাক, গলা ও শ্বাসনালিতে তীব্র প্রদাহ সৃষ্টি করে। এর জন্য দায়ী করনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি নামের এক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া এমন কিছু বিষাক্ত রস বা টক্সিন তৈরি করে, যার ফলে গলায় অস্বাভাবিক আস্তরণ সৃষ্টি হয়। এই আস্তরণের কারণে শ্বাসরোধ পর্যন্ত হতে পারে। তা ছাড়া টক্সিন রক্তে মিশে গিয়ে হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুকেও আক্রান্ত করতে পারে। কখনো কখনো চোখ, ত্বক ও দেহের অন্য অংশও এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। রোগীর দেহে প্রকাশ পায় নানা উপসর্গ।কিছু উপসর্গডিপথেরিয়া রোগের প্রাথমিক উপসর্গ খানিকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। সর্দি, জ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ ছলোছলো করা, গলার ব্যথা, কথা বলতে ও গিলতে কষ্ট, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক সময় শিশুদের মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে, শ্বাসকষ্ট হয়, গলায় ঘা দেখা দেয়।...
    অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন সরকার, বক্ষব‍্যাধি বিশেষজ্ঞ ও সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্টারভেনশনাল পালমনোলজি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড স্লিপ সোসাইটি (বিপস)আজ বিশ্ব অ্যাজমা দিবস। অ্যাজমা বা হাঁপানি নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে প্রতিবছরের মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাজমা ডে’। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইনহেলার চিকিৎসা সবার নাগালে রাখুন’।হাঁপানি শ্বাসনালির দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। পৃথিবীতে প্রায় ২৬ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর এ রোগে ভুগে সাড়ে চার লাখ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি মানুষ হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে।হাঁপানিতে ১ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। হাঁপানি চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইনহেলার। এককভাবে স্টেরয়েড ইনহেলার বা উপশমকারী ওষুধের মিশ্রণে ইনহেলার অ্যাজমা চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা।হাঁপানি...
    গরম এবং ঘনবসতিপূর্ণ দেশে থাকি আমরা। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা পরজীবী প্রাণীসংক্রান্ত নানা অসুখ, ছোঁয়াচে রোগব্যাধি লেগেই থাকে। এমনই এক সংক্রামক রোগ হলো স্ক্যাবিস। এ ক্ষেত্রে বাচ্চার দু’আঙুলের ভাঁজে, গায়ের চামড়ায় ক্ষত (লিসন) বেরিয়ে যায় এবং সে ক্রমাগত চুলকাতে থাকে। বিশেষত, রাতে সমস্যা এতটাই বাড়ে যে, বাচ্চা ঘুমোতে পারে না। সন্তানের কষ্ট দেখে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন বাবা-মা। কোনো জটিল সমস্যা হলো কিনা, কীভাবে বাচ্চা সারবে তা নিয়ে বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্ক্যাবিস পরজীবী প্রাণীঘটিত রোগ। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়ায়। কখনও তা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে হয়। কখনও গামছা, পোশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলেও হতে পারে। কিছু স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চললে একে রুখে দেওয়া সম্ভব। উপসর্গ lখোসপাঁচড়া হলে সারা শরীর চুলকাতে থাকে। তবে আঙুলের ফাঁকে,...
    ক্যানসার স্ক্রিনিং কী? সব ক্যানসার কি স্ক্রিনিং করা যেতে পারে? কার কার ক্ষেত্রে ক্যানসার স্ক্রিনিং প্রয়োজন? এ ধরনের অনেক প্রশ্ন রয়েছে ক্যানসার স্ক্রিনিং নিয়ে। ক্যানসার আছে বা হতে পারে কি না, তা কীভাবে বুঝবেন এবং কী পরীক্ষা করাবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন অনেকে।কোনো উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে যেসব পরীক্ষা করে ক্যানসারের আশঙ্কা বা উপস্থিতি যাচাই করা যায় তা–ই হলো ক্যানসার স্ক্রিনিং।কোনো উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে যেসব পরীক্ষা করে ক্যানসারের আশঙ্কা বা উপস্থিতি যাচাই করা যায় তা–ই হলো ক্যানসার স্ক্রিনিং। স্ক্রিনিংয়ের প্রথম দিকে ক্যানসার ধরা পড়লে এর চিকিৎসা বা নিরাময় করা সহজ হয়। আর একবার ক্যানসার লক্ষণীয় হয়ে ওঠার পর দশের মধ্যে নয়টি ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে সব ধরনের ক্যানসার আসলে স্ক্রিনিং করা যায় না। তবে দুটি পরিচিত এবং...
    এপ্রিল মাসকে ‘অ্যাডিনোমায়োসিস সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ মাসে বিশ্বজুড়ে মানুষকে অ্যাডিনোমায়োসিস নামক নারীদের বিশেষ এক গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যার ব্যাপারে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালানো হয়।অ্যাডিনোমায়োসিস কীঅ্যাডিনোমায়োসিস হলে জরায়ুর ভেতরের স্তরের (এন্ডোমেট্রিয়াম) কোষগুলো জরায়ুর পেশিতে (মায়োমেট্রিয়াম) অস্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে। এর ফলে জরায়ুর দেয়াল মোটা হয়ে যেতে পারে এবং হতে পারে মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা ও ভারী রক্তপাত।লক্ষণমাসিকের সময় তীব্র ব্যথা।ভারী বা অনিয়মিত রক্তপাত।তলপেটে চাপ বা ভারী অনুভব।যৌনমিলনের সময় ব্যথা। ঝুঁকিঅ্যাডিনোমায়োসিসের কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যেমন:বয়স: সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।জরায়ুসম্পর্কিত পূর্ববর্তী অস্ত্রোপচার: সিজারিয়ান সেকশন করার পর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।চিকিৎসাপদ্ধতিচিকিৎসাপদ্ধতি রোগীর উপসর্গ ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেঅ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ: ইবুপ্রোফেন মাসিকের ব্যথা ও অতিরিক্ত রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।হরমোনাল চিকিৎসা: ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন কমবাইন্ড পিল, প্যাচ বা ভ্যাজাইনাল...
    ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে কণ্ঠের ওঠানামা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কথা কী প্রভাব সৃষ্টি করবে, তার ৩৮ শতাংশ নির্ভর করে কণ্ঠের ওঠানামার ওপর। পেশাগত কণ্ঠ ব্যবহারকারী মানুষ যেমন গায়ক, অভিনেতা, শিক্ষক, উকিল, ধারাভাষ্যকার, বিক্রয়কর্মী, কলসেন্টারের কর্মী, কণ্ঠশিল্পীদের জন্য কণ্ঠই সবকিছু।কণ্ঠনালির প্রদাহএ প্রদাহ দুই ধরনের। সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি ল্যারিনজাইটিস। ভাইরাস, আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশদূষণেও কণ্ঠনালির প্রদাহ হতে পারে। পাকস্থলীর অ্যাসিড রিফ্লাক্সের জন্য কণ্ঠনালির দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত চা বা পানীয় পান করলে, হাঁপানির জন্য ইনহেলার ব্যবহার করলে বা যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের দীর্ঘমেয়াদি ল্যারিনজাইটিস হতে পারে।কণ্ঠস্বরের অতিব্যবহারঅতিরিক্ত চিৎকারের কারণে যেমন স্বর ভেঙে যায়, তেমনি আবার মৌসুম বদলের সময়ও এমন সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাপমাত্রার তারতম্যের সময় কণ্ঠনালি বা টনসিলের প্রদাহের উপসর্গ হিসেবে স্বর ভেঙে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রোগী সুস্থ...
    ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হলে এ রোগের চিকিৎসা করা সহজে সম্ভব হয়। পাশাপাশি এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনাও অনেকাংশে বেড়ে যায়। ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গের ব্যাপারে সবাই একটু সচেতন হলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়। ক্যান্সারের সাধারণত যেসব উপসর্গ আছে, সেগুলোর ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নন, এমনকি অবগতও নন। অনেক সময় দেখা যায়, একজন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্যান্সার ধরা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ আগেই দেখা দিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেগুলো গুরুত্ব দেননি। পরে দেখা গেল, ক্যান্সার ইতোমধ্যে তাঁর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তখন আর রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং এসব প্রাথমিক...
    গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে জিবিএস নামটি একটু অপরিচিত হলেও রোগটির প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে নেহাত কম নয়। যেকোনো বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে জীবাণু–প্রতিরোধী ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক আচরণের ফলে এ রোগের উৎপত্তি হয়।‘ক্যাম্পাইলো ব্যাকটর জেজুনি’ নামের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত ডায়রিয়ার রোগী বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সর্দি-জ্বরের রোগীরা ইমিউন সিস্টেমের জটিলতার কারণে পরবর্তী সময়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।কীভাবে বুঝবেনডায়রিয়া বা ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের প্রায় দুই সপ্তাহ পর রোগী হঠাৎ দুই পায়ে দুর্বলতা বোধ করেন। এ দুর্বলতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে ওপরের দিকে বিস্তার লাভ করে মেরুদণ্ড, দুই হাত, বুকের মাংসপেশি, এমনকি মুখের মাংসপেশিতে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো দুবলর্তা এত বেশি হয় যে রোগী হাত–পায়ের আঙুলও সামান্য পরিমাণ নাড়াতে পারেন না।বুকের মাংসপেশির দুবর্লতার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে...
    মাসিকের সময় মেয়েদের তলপেট ও পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হয়। ব্যথা নামতে পারে পায়ের দিকেও। কারও কারও ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি হয় যে তিনি রোজকার স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন। এমন তীব্র ব্যথা অবশ্য তুলনামূলক কম বয়সেই হয়ে থাকে। পেট বা পিঠের ব্যথা ছাড়া মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব কিংবা পাতলা পায়খানাও হতে পারে কারও কারও। কেউ আবার হরমোনের প্রভাবে অল্পেই বিরক্ত হয়ে ওঠেন এই সময়। মাসিক চলাকালীন ব্যথাবেদনা সামলেই জীবনের পথে এগিয়ে চলেন নারীরা। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এমন ব্যথার সঙ্গে লড়াই করাটা সহজ হয়—নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। কৈশোরে এমন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকা ভালো, যাতে শারীরিক শ্রম হয়। মাসিকের সময়ও খেলাধুলা বা শরীরচর্চা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, যদি না অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম করা হয়।খাদ্যাভ্যাসটাও...
    ফাইব্রোমাইলজিয়া একটি ক্রনিক অবস্থা, যেখানে রোগীর শরীরে বিস্তৃত ব্যথা, ক্লান্তি ও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। রোগীর মধ্যে প্রায়ই মানসিক অসুস্থতা যেমন উদ্বেগ ও বিষণ্নতা থাকে। এই রোগ সাধারণত নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। অবশ্য পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন।ফাইব্রোমাইলজিয়া একটি দীর্ঘস্থায়ী, জটিল ব্যথা ও ক্লান্তিজনিত অসুস্থতা, যা সাধারণত শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা ও সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে।কেন হয়ফাইব্রোমাইলজিয়ার সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি শনাক্ত হয়নি। তবে গবেষণায় কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত হয়েছে—ব্যথাপ্রক্রিয়া: মস্তিষ্কে ব্যথার সংকেতপ্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা থাকলে এই রোগ দেখা দিতে পারে।জেনেটিক প্রভাব: পরিবারের ইতিহাস থাকলে রোগটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।পরিবেশগত ও মানসিক চাপ: শারীরিক আঘাত, মানসিক চাপ অথবা দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস রোগের উদ্রেক ঘটাতে পারে।উপসর্গব্যথার ধরন: ফাইব্রোমাইলজিয়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়া ব্যথা, যা সাধারণত পেশি ও সংযোগস্থলে (জয়েন্ট) অনুভূত হয়।অতিমাত্রায় ক্লান্তি:...
    থাইরয়েড হরমোন মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শারীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম বা বেশি হলে শরীরে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। এগুলো হরমোনের কার্যগত সমস্যা।  থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ হয়। থাইরয়েডজনিত সমস্যার মধ্যে হাইপোথাইরেডিজম রোগীর সংখ্যা বেশি। এটি থাইরয়েডের সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা।  সাধারণত মহিলারা এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি। প্রতি আটজন মহিলার মধ্যে একজন হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যায় ভুগে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউন কারণে এটি দেখা দেয়। এছাড়া থাইরয়েডে অস্ত্রোপচার, থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ, আয়োডিনের ঘাটতি, রেডিয়েশন ও কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে পরিলক্ষিত হয় বলে বেশির ভাগ রোগী সমস্যা বুঝতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে রুটিন পরীক্ষার সময় থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। হাইপোথাইরোডিজম আক্রান্ত ব্যক্তির অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ,...
    রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের গাজী খাঁ দক্ষিণ সোনারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গতকাল রোববার ১০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে অনেক গার্মেন্ট কর্মী কর্মস্থলে ফিরতে না পেরে বিপদে রয়েছেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় গাজী খাঁ দক্ষিণ সোনারপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার বাড়িতে ছেলের আকিকার আয়োজন করা হয়। খাবার খেয়ে বিকেল থেকে অনেকের জ্বর, বমি, পেটব্যথা ও ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। শুরুতে সবাই বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও শনিবার থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অসুস্থদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি গার্মেন্টে চাকরি করেন। তারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সপ্তাহের শুরুতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু অসুস্থতার  কারণে অনেকে ফিরতে পারেননি। ফলে...
    মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একধরনের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ভেতর স্নায়ুরজ্জুকে আক্রমণ করে। এতে ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে স্নায়ুতন্তুগুলোর প্রতিরক্ষামূলক আবরণকে আক্রমণ করে থাকে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস তাই একধরনের অটোইমিউন ডিজিজ।এ রোগে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, পেশিতে অসহ্য ব্যথা, মাথাব্যথা-মাইগ্রেন, খাদ্যনালি-মূত্রনালিতে সংক্রমণ, সঙ্গে হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। কোনো কিছু চিন্তা করার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা, অবসাদ, বিষণ্নতা, একাকিত্বে ভোগেন রোগী। নারীদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পুরুষের থেকে কয়েক গুণ। ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এ স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। পরিবেশ, জিন ও বংশগত কারণে এটি হতে পারে।আরও পড়ুনমস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন২৫ অক্টোবর ২০২২উপসর্গমাল্টিপল স্ক্লেরোসিসে পেশির ওপর চাপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশির দুর্বলতা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। পেশিতে ব্যথা হয়। হাত-পা নাড়ানো যায় না।...
    বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খেলার মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারকা এই ক্রিকেটারের জন্য হেলিকপ্টার আনা হলো। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। নিকটস্থ কেপিজে ফজিলাতুন্নেছা বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কার্ডিয়াক টিম তাঁকে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে পরবর্তী সময়ে হার্টে দুটি রিং পরায়। আমি নিজে চিকিৎসক। বর্ণনা থেকে বুঝলাম, তামিম ইকবাল ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক বা অ্যাকিউট করোনারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে যে চিকিৎসাটি প্রদান করা হয়েছে, চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় তাকে বলা হয় প্রাইমারি পিসিআই। এতে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত ক্যাথল্যাবে নিয়ে গিয়ে অ্যানজিওগ্রাম করে কালপ্রিট ভ্যাসেল, মানে আক্রান্ত রক্তনালিতে রিং বা স্টেন্ট পরিয়ে দেওয়া হয়।উন্নত বিশ্বের এ চিকিৎসাটি এখন বাংলাদেশে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। এই প্রাইমারি পিসিআইয়ের মাঝখানে তামিম ইকবালকে লম্বা সময় সিপিআর, মানে বুকে...
    ছবি: পেক্সেলস
    মেয়েদের মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা বা যন্ত্রণার পেছনে একটি কারণ বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যমান, তা হলো এন্ডোমেট্রিওসিস। এতে জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আস্তরণের মতো টিস্যু (এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু) জরায়ু ছাড়াও অন্যত্র—যেমন ডিম্বাশয়, জরায়ু বা তলপেটে (পেলভিক অঞ্চলে) বিকশিত হতে থাকে। মাসিকের সময় জরায়ুর পাশাপাশি এসব জায়গায়ও রক্তক্ষরণ হতে থাকে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ধীরে ধীরে এসব জায়গার টিস্যু বা কলাগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে লেগে যায়। পরে দেখা দেয় নানা জটিলতা। এন্ডোমেট্রিওসিসের সঠিক কারণ এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।এন্ডোমেট্রিওসিস সম্পর্কে সচেতনতাএন্ডোমেট্রিওসিসের উপসর্গ সম্পর্কে অনেক নারী জানেন না, জানলেও কী করতে হবে, কীভাবে এটি নির্ণয় বা চিকিৎসা করা হয়, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। এন্ডোমেট্রিওসিসের কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে, যেমন—মাসিকের সময় বা তার আগে ও পরে পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিক...
    হাড়ের ইনফেকশনকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে অস্টিওমাইলাইটিস। এক্ষেত্রে হাড় ও অস্থিমজ্জায় সংক্রমণ ও প্রদাহ হয়। সংক্রমণ রক্তের মাধ্যমে বা নিকটবর্তী টিস্যু থেকে ছড়াতে পারে। আবার সংক্রমণ হাড় থেকেও হতে পারে, যদি হাড়টি আঘাত পেয়ে জীবাণুর সংস্পর্শে আসে।  যেসব লোক ধূমপান করেন এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে যেমন ডায়াবেটিস বা কিডনির বিকলতায় ভুগছেন, তাদের অস্টিওমাইলাইটিসে আক্রান্ত হবার বেশি আশঙ্কা থাকে।  একসময় অস্টিওমাইলাইটিসের চিকিৎসা সহজ ছিল না। বর্তমানে সফলভাবে চিকিৎসা দওয়া হয়। যেসব লোকের হাড় মরে যায়, তাদের অপারেশনের মাধ্যমে মৃত হাড় অপসারণের প্রয়োজন হয়।  উপসর্গ  অস্টিওমাইলাইটিসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে – lইনফেকশনের স্থান ফুলে যাওয়া, গরম হওয়া ও লাল হয়ে যাওয়া lইনফেকশনের স্থানে ব্যথা হওয়া  lঅবসন্নতা lজ্বর  অস্টিওমাইলাইটিসে কখনও কখনও কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। আবার কখনও কখনও উপসর্গগুলো অন্য সমস্যা থেকে আলাদা করা...
    কিডনির রোগ বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত বেড়েই চলছে। বাংলাদেশেও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এটি। কিডনির রোগের কারণে শুধু ব্যক্তিগত জীবনই বিপর্যস্ত হয় না; বরং এটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপরও বিশাল অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে।কিডনির রোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বিশ্বে প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনির রোগে আক্রান্ত। এ দেশে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ লোক এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার রোগী ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল হন। আরও ২৪ থেকে ৩০ হাজার রোগী হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে সাময়িক ডায়ালাইসিসের শরণাপন্ন হন। অন্য সব রোগের তুলনায় কিডনি বিকল হওয়ার চিকিৎসাব্যয় বেশি।কিডনির রোগের কারণকিডনির রোগের প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রাইটিস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার, জন্মগত ও বংশগত কিডনির রোগ, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ ও...
    ডাস্ট অ্যালার্জি হলো এক ধরনের পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া। ঠান্ডা, সর্দি বা রাইনাইটিস, কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা, চর্মরোগ, অ্যাকজিমা বা দাদ, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট এ সবই ধুলার অ্যালার্জির কারণে দেখা দিতে পারে। এই ডাস্ট অ্যালার্জির জন্য দায়ী ধুলাবালির এক ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকামাকড়। এই পোকাগুলোকে ডাস্ট মাইটস বা ধুলার পোকা বলা হয়ে থাকে। এরা আকারে আণুবীক্ষণিক আকৃতির হয়ে থাকে। লক্ষণ আর উপসর্গগুলো ডাস্ট অ্যালার্জির অ্যালার্জেন বাড়িতে আর্দ্র পরিবেশে বড় হয় এবং ভেতরের পরিবেশের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নেয়। যদি আপনার মধ্যে ডাস্ট অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে, তাহলে আপনার শরীরে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি বা একসঙ্গে অনেক উপসর্গ দেখা দিতে পারে– lহাঁচি lসর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখে জ্বালা বা চুলকানি এবং চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা lচামড়ায় জ্বালা বা চুলকানি lনাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। ডাস্ট অ্যালার্জির...
    কিছু রোগ আছে পুরুষের হয় না, নারীর হয়। শুধু নারীদের হয়, এমন ১২ ধরনের রোগে দেশে প্রায় ৪ কোটি ৩৫ লাখ নারী ভুগছেন। প্রতিবছর এর সঙ্গে আরও কয়েক লাখ নারী যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন তাঁরা। নারীর চিকিৎসা ও সুরক্ষায় পৃথকভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগও জরুরি।বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য–উপাত্ত ও যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক রোগতাত্ত্বিক পরিস্থিতি নজরদারি ও বিশ্লেষণ করছে আইএইচএমই। তাদের প্রকাশিত গবেষণার তথ্য থেকে বাংলাদেশের নারী স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী আহমেদ এহসানূর রহমান।শুধু নারীর হয় এমন রোগ বা সমস্যার তালিকায় আছে...
    বিশ্বজুড়ে যেসব জীবাণু নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে, জিকা ভাইরাস সেসবের অন্যতম। বাংলাদেশে অবশ্য হরহামেশা জিকা ভাইরাস সংক্রমণের সংবাদ পাওয়া যায় না। তাতে নিশ্চিন্ত থাকার জো নেই। জিকা ভাইরাস এমন এক জীবাণু, যা সুস্থ একজনের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এ জীবাণুর সংক্রমণ হলে গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক গঠন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ভয়টা সেখানেই। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর যদি জিকা ভাইরাস সংক্রমণ হয়, তাহলে তাঁর গর্ভে বাড়তে থাকা শিশুটির মাথার আকার হতে পারে স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট। তাতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিকতার ব্যত্যয় ঘটবে। শিশুর মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বে। বেঁচে থাকলেও হয়তো শিশুটি স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হতে পারবে না। বাংলাদেশে সংক্রমণবাংলাদেশে ২০২৩ সালে শনাক্ত হওয়া জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ ব্যক্তির নমুনা থেকে সম্প্রতি ভাইরাসটির জিনগত পরীক্ষা করা হয়েছে। জিকা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ থাকা ১৫২ ব্যক্তির নমুনা...
    প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে জরায়ুমুখ ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় যেসব উপসর্গ থাকে, সেসব জানা থাকলে একজন নারী দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন। ফলে বহু অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুর্বিষহ জটিলতা থেকে বেঁচে যেতে পারেন তিনি। জেনে নিন এমন কিছু লক্ষণ। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদেরও এ সম্পর্কে সচেতন করে তুলুন। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণদুবার মাসিকের মাঝের সময়টায় রক্তক্ষরণ হওয়া অস্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবেই নারীর মাসিক চক্রের সময়টা একেবারে নির্দিষ্ট থাকে না। দু-তিন দিন এদিক-ওদিক হতেই পারে। কিন্তু এ রকম দুটি চক্রের মাঝের কোনো সময় রক্তক্ষরণ হলে সেটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। মেনোপজের পর যেকোনো সময় রক্তক্ষরণ হওয়াটাও অস্বাভাবিক। অস্বাভাবিক স্রাবজরায়ুমুখ থেকে অস্বাভাবিক স্রাব নিঃসরণ হওয়াও হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ। এই ক্যানসারে গোলাপি, লালচে, বাদামি কিংবা মলিন বর্ণের স্রাব দেখা দিতে পারে। বিশেষত...
    ঘন ঘন ভুলে যাচ্ছেন? ডিমেনশিয়ার উপসর্গ মনে হলেও আদতে ভিটামিনের ঘাটতি নয় তো? ভিটামিন বি১২ শরীরের অতিপ্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। কিন্তু মানবদেহ সরাসরি এই ভিটামিন উৎপাদন করতে না পারায় এর ঘাটতি দেখা যায়। মানবদেহের একটি অতিপ্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভিটামিন বি১২। রক্তের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। মানবদেহ এই ভিটামিন সরাসরি উৎপাদন করতে পারে না। এর জন্য আমাদের শরীরকে নির্ভর করতে হয় যথাযথ খাবার ও ফুড সাপ্লিমেন্টের ওপর। বিশেষ করে নিরামিশাষীদের মধ্যে এ ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। কারণ, এটি ‘প্লান্টবেজড ভিটামিন’ নয়। তবে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি বুঝতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। এর উপসর্গগুলো অনেকটা ডিমেনশিয়ার উপসর্গের মতো। lকোনো বিষয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে? এর কারণ, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। এই ভিটামিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা...
    রাতে শাশুড়ি ও স্বজনদের নিয়ে স্বামীর জন্মদিনের কেক কাটেন আঞ্জুমান মায়া। এরপর মধ্যরাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে পদ্মা নদীতে তাঁর ভাসমান লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালোয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।দুপুরে সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় নৌ পুলিশ। আঞ্জুমান মায়া ওই এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আসিফ শেখের (১৮) স্ত্রী। আসিফ কয়া মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও একটি বেসরকারি কোম্পানির খাদ্য পরিবেশক। আঞ্জুমান কুষ্টিয়া পৌরসভার ত্রিমোহনী এলাকার আজিম উদ্দিনের একমাত্র মেয়ে।শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্য, আঞ্জুমান প্রায়ই রাতের বেলা আনমনা হয়ে বের হয়ে যেতেন। শুক্রবার রাতে বের হলে আর পাওয়া যায়নি। তবে বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ব্যবসার টাকা না পেয়ে আঞ্জুমানকে...
    রাতে শাশুড়ি ও স্বজনদের নিয়ে স্বামীর জন্মদিনে কেক কাটেন আঞ্জুমান মায়া (১৬)। এরপর মধ্যরাত থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে পদ্মা নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালোয়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত আঞ্জুমান মায়া ওই এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আসিফ শেখের (১৮) স্ত্রী। আসিফ কয়া মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও একটি বেসরকারি কোম্পানির খাদ্য পরিবেশক। তিনি কুষ্টিয়া সদরের ত্রিমোহনী বারখাদা এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্য, ‘আঞ্জুমানের উপসর্গজনিত রোগ ছিল। উপসর্গ রাতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে নদীতে ফেলে মেরেছে।’  তবে বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ‘ব্যবসায়ীর টাকা না পেয়ে আঞ্জুমানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে স্বামী আসিফ।’ দুপুরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন...
    রাতে শাশুড়ি ও স্বজনদের নিয়ে স্বামীর জন্মদিনের কেক কাটেন তরুণী আঞ্জুমান মায়া (১৬)। এরপর মধ্যরাত থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে পদ্মা নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালোয়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। দুপুরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে নৌপুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মনির উদ্দিন। নিহত আঞ্জুমান মায়া ওই এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আসিফ শেখের (১৮) স্ত্রী। আসিফ কয়া মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও একটি বেসরকারি কোম্পানির খাদ্য পরিবেশক। তিনি কুষ্টিয়া সদরের ত্রিমোহনী বারখাদা এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্য, ‘আঞ্জুমানের উপসর্গজনিত রোগ ছিল। উপসর্গ রাতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে...
    রাতে শাশুড়ি ও স্বজনদের নিয়ে স্বামীর জন্মদিনের কেক কাটেন তরুণী আঞ্জুমান মায়া (১৬)। এরপর মধ্যরাত থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে পদ্মা নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালোয়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। দুপুরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে নৌপুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মনির উদ্দিন। নিহত আঞ্জুমান মায়া ওই এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আসিফ শেখের (১৮) স্ত্রী। আসিফ কয়া মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও একটি বেসরকারি কোম্পানির খাদ্য পরিবেশক। তিনি কুষ্টিয়া সদরের ত্রিমোহনী বারখাদা এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্য, ‘আঞ্জুমানের উপসর্গজনিত রোগ ছিল। উপসর্গ রাতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে...
    ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, দুনিয়ায় প্রায় ৭২ কোটি মানুষ প্রি–ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় জানা গেছে, ৮০ শতাংশই জানেন না যে তাদের প্রি–ডায়াবেটিস আছে। কোনো উপসর্গ না হওয়ায়, অধিকাংশের ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা ছাড়া এটি চিহ্নিত করা যায় না। তবে আগেই নির্ণয় করা গেলে ডায়াবেটিস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।প্রি–ডায়াবেটিস কীসুস্থ–স্বাভাবিক একজনের রক্তে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার গ্লুকোজ বা শর্করা থাকে। গাইডলাইন অনুযায়ী, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা একটা নির্দিষ্ট ধাপ অতিক্রম করলে তাকে বলে ডায়াবেটিস। এই দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থাকে বলা হয় প্রি–ডায়াবেটিস। তার মানে যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ের থেকে বেশি হয়, কিন্তু ডায়াবেটিসের নির্ধারিত মাত্রায় পৌঁছায় না, সে পর্যায়কে বলে প্রি–ডায়াবেটিস।খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন জীবনধারা, বংশগত ত্রুটি, স্থূলতা—এসব কারণেই মূলত প্রি–ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব কারণে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়। ইনসুলিন আমাদের রক্তের...
    অনেক শিশুই মুখে খাবার দেওয়ামাত্র বের করে দেয় বা উগরে দেয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে একে ‘রুমিনেশন ডিজঅর্ডার’ বলা হয়। সচরাচর শিশুর ৩ থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যে এ জটিল রোগ প্রকাশ পায়। খাবার ওগরানো প্রায় প্রতিদিন ঘটে। মাঝখানে সুস্থ থেকে একনাগাড়ে কমপক্ষে এক মাস ধরে এমন উপসর্গ চলতে থাকে। তবে ঘুমানো অবস্থায় তা হয় না।লক্ষণএ রোগে আক্রান্ত শিশুর না থাকে কোনো পেটের অসুবিধা, না কোনো বমিভাব। প্রধান বৈশিষ্ট্য, অনবরত খাবার গ্রহণের পর জাবর কাটার মতো প্রক্রিয়ায় উগরে দেওয়া খাদ্যাংশ আবার চিবোতে থাকা। আক্রান্ত শিশুর ওজন কমে যায়। তার বৃদ্ধি-বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। কখনো মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে।কার্যকারণএ অসুখে দুই ধরনের আক্রান্ত শিশু দেখা যায়। প্রথমটা ‘সাইকোজেনিক’। এ শ্রেণিতে যাদের অবস্থান, তারা বাকি সব দিকে ভালো থাকে, যেমন তাদের দৈহিক বৃদ্ধি-মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক থাকে। এখানে...
    ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হে ফিভারে আক্রান্ত হন অনেকে। বিশেষ করে বসন্তে যখন ফুল ফোটে, তখন এর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। যাঁদের অ্যালার্জির মাত্রা বেশি, তাঁদের হে ফিভারে ভোগান্তিও বেশি। তবে এ বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হে ফিভার প্রতিরোধ করা সম্ভব।হে ফিভার কীহে ফিভার শুনলে মনে হয় এটি একধরনের জ্বর। এটি ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’–এর আরেক নাম। হে ফিভারে মূলত ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন— ১.নাক দিয়ে পানি পড়া২. নাক বন্ধ৩. হাঁচি-কাশি৪. নাক ও গলা চুলকানো৫. শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া বা লাল হওয়া৬. ক্লান্তি ও অবসাদ৭. নাকের শ্লেষ্মা গলায় চলে আসাহে ফিভার কেন হয়আগেই বলেছি, এটি একধরনের অ্যালার্জিক সমস্যা। যাঁদের অ্যালার্জির মাত্রা বেশি, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি বেশি দেখা যায়। পরিবেশ...
    হৃদ্‌রোগ নির্ণয়ে ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। আমাদের ধারণা, ইসিজি স্বাভাবিক মানে কোনো হৃদ্‌রোগ নেই। কিন্তু ইসিজি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও হৃদ্‌রোগ থাকতে পারে, এমনকি হতে পারে হার্ট অ্যাটাকও।হার্টের একটা ইলেকট্রিক সার্কিট আছে, যার মাধ্যমে হার্ট নির্দিষ্ট হারে সর্বদা স্পন্দিত হয়। একটা হৃৎস্পন্দন মানে হার্টের একবার সংকোচন ও একবার প্রসারণ। এ স্পন্দনের একটা গ্রাফিক্যাল চিত্র যখন যন্ত্রের সাহায্যে ধারণ করা হয়, সেটিই ইসিজি। ইসিজি দিয়ে হৃৎস্পন্দনের হার, ছন্দ, হার্টের চেম্বারগুলোর স্বাভাবিক আকার, ইলেকট্রিক সার্কিটে কোনো ব্লক বা বাধা আছে কি না ইত্যাদি ভালো বোঝা যায়।হার্ট অ্যাটাক হলে হৃৎপিণ্ডের সংকোচন দুর্বল হয়ে পড়ে। ৭০ শতাংশের বেশি হার্ট অ্যাটাক ইসিজি দেখেই শনাক্ত করা যায়।মুখ্য বিবেচ্য বিষয় উপসর্গহার্ট অ্যাটাকে উপসর্গ হলো মুখ্য বিবেচ্য বিষয়। এ ক্ষেত্রে বুকের মাঝখানে হঠাৎ ব্যথা, কখনো তীব্র ব্যথা,...
    অনেক সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন হাড়ে অতিরিক্ত হাড় গজায়। এর মধ্যে ক্যালকেনিয়াম (পায়ের হাড়) অন্যতম। এ বাড়তি হাড় গোড়ালির নিচে ও পেছনে গজায়। একে ক্যালকেনিয়াম স্পার বলে। গোড়ালির সবচেয়ে বড় হাড় ক্যালকেনিয়াম, যা দাঁড়ালে বা হাঁটলে প্রথম মাটির সংস্পর্শে আসে ও শরীরের পূর্ণ ওজন বহন করে। এর যেকোনো ক্ষুদ্র অসংগতিতেও বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যায় না ও খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়। গোড়ালির হাড় বাড়ে কেনবলা হয়, অসংগতিপূর্ণ জুতা পরলে ক্যালকেনিয়াম স্পার হয়।পায়ের পেশি দুর্বল হলে পায়ের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে স্পার তৈরি হয়।দীর্ঘদিন ধরে প্লান্টার ফাসা ও টেনডনের প্রদাহ হলে গোড়ালিতে অতিরিক্ত হাড় গজায়।শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকলে স্পার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিসে হিল স্পার হতে পারে।অনেকের এ সমস্যা বংশানুক্রমিকভাবে হতে পারে।লক্ষণপ্রধান উপসর্গ হলো ব্যথা। সকালে ঘুম...
    মাথাব্যথা হয় না, এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় মাথাব্যথার জন্য কেউ বিশ্রাম নেন বা একটু চা পানে নিরাময় খোঁজেন। আবার কেউ কেউ প্যারাসিটামল–জাতীয় বড়ি সেবন করেন। যদি এমন হয়, পড়তে বসলেই মাথাব্যথা, প্রতিদিন মাথাব্যথা অথবা মাথাব্যথা সহজে সারছে না অথবা মাথাব্যথার সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ আছে—তবে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন পড়ে।আমাদের দেশে যেহেতু রেফারেল সিস্টেম নেই, তাই সবাই চান প্রথমেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে বলে তা নিয়ে একজন রোগী কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন, এ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে মাথাব্যথার গতিপ্রকৃতি খেয়াল করলে অনেক সময় বোঝা যায় এর কারণ কী? সে ক্ষেত্রে কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে, তা নির্ধারণ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।প্রথমেই মাইগ্রেনের কথায় আসি। মাইগ্রেনের মাথাব্যথায় বমির ভাব, ক্ষুধামান্দ্য, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা ইত্যাদি...
    নানা কারণে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমতে পারে। মানবদেহের টিস্যু বা কলায় অতিরিক্ত পানি জমে ফুলে যাওয়ার নাম ‘ইডেমা’। শরীরের যে কোনো স্থানে পানি জমতে পারে। তবে পা, পেট, হাত ও মুখ– এসব স্থানে ইডেমা বা পানি বেশি দেখা যায়। যেসব কারণে ইডেমা হয় তা হলো খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ, হার্ট ফেইলিউর, কিডনি রোগ, লিভার সিরোসিস, গর্ভকাল, লিম্ফ বা লসিকা চলাচলে বাধা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা, কিছু ওষুধ ক্যালসিয়াম ব্লকার, ব্যথানাশক, স্টেরয়েড ইত্যাদি। কোনো কোনো সময় ইডেমা হার্ট ফেইলিউর, কিডনি রোগ বা লিভার সিরোসিসের মতো জটিল রোগের উপসর্গ বা চিহ্ন হিসেবে দেখা দেয়। হার্ট ফেইলিউর হলে হৃদযন্ত্র সংকোচনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রক্ত বের করতে পারে না। ফলে ফুসফুস, পা, পেটে পানি জমে যায়। কিডনি অসুস্থ হলে প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের অপ্রয়োজনীয় পানি...
    রোগটির সংক্ষিপ্ত নাম লুপাস। পুরো নাম সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস (এসএলই)। এটি একটি অটোইমিউন রোগ। এই রোগে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে কিডনির লুপাস বা লুপাস নেফ্রাইটিস অন্যতম। শতকরা ২০ থেকে ৭৫ শতাংশ লুপাস রোগীর কিডনি আক্রান্ত হতে পারে। বড়দের (৩৪%-৬৭%) ক্ষেত্রে এর প্রচলন বেশি। কিডনির পাশাপাশি শিশুর স্নায়ুতন্ত্র, রক্তরোগ, চামড়ার ক্ষত, গিড়া, মাংসপেশি, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র এমনকি চুল পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। রোগের প্রভাব এমন যে মানবদেহে যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। কাদের বেশি হয় লুপাস সাধারণত ১১/১২ বছর বয়সে হতে পারে, ৫ বছরের নিচে এই রোগ কম হতে দেখা যায়। এতে নবজাতক শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগে ছেলে বা মেয়ে শিশু উভয়ই আক্রান্ত হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই রোগের হার বেশি। রোগের কারণ এই রোগের কোনো...
    টিউমার শব্দটি শুনলেই আতঙ্ক হয়, মনে হয় ক্যানসার হয়েছে। কিন্তু টিউমার আর ক্যানসার এক নয়। সব টিউমার ক্যানসার না-ও হতে পারে। আবার ক্যানসার টিউমার ছাড়াও কখনো ক্ষত, আলসার ইত্যাদি হিসেবে দেখা দিতে পারে, যেমন ব্রেস্ট টিউমার ও ব্রেস্ট ক্যানসার দুটো একই নয়।টিউমার হলো কিছু অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ, যেখানে কোষের সংখ্যা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বৃদ্ধি পায়। টিস্যু মানে একই ধরনের কিছু কোষ। যখন শরীরে অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক কোষগুলো কোথাও জমে একটি লাম্প বা গোটা বা চাকতির মতো প্রকাশ পায়, তখন একে টিউমার বলে।টিউমারের ধরনটিউমার দুই ধরনের হয়। একধরনের টিউমার শুধু এক জায়গায় বৃদ্ধি পেয়ে সেখানেই স্থির থাকে। এদের বলে বিনাইন টিউমার বা নিরীহ টিউমার। আরেক ধরনের টিউমারের ভেতর থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্ত কিংবা লসিকা দিয়ে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে সেই অংশেরও স্বাভাবিক...
    কোনো উপসর্গ না থাকলেও ৪০ বছর বয়স পেরোনোর পর প্রত্যেক ব্যক্তিরই প্রতিবছর একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। আবার চল্লিশের আগে যে ডায়াবেটিস হবে না, এমনটাও কিন্তু নয়। তাই ৪০ বছরকে মোটামুটিভাবে একটা সীমা ধরে নিলেও সাধারণ কোনো উপসর্গ, যা বারবার দেখা দেয়, সেসবের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত সব বয়সীদেরই। এমনটাই বলছিলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. তাসনোভা মাহিন।কিছু উপসর্গবারবার ক্ষুধা পাওয়া, বারবার প্রস্রাব লাগা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ যে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে, তা অনেকে জানেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রায়ই চুলকানি হতে পারে। ত্বকের যেকোনো জায়গাই চুলকাতে পারে। এমনকি মূত্রনালির আশপাশেও হতে পারে এই অস্বস্তিকর অনুভূতি।আরও পড়ুনডায়াবেটিস হঠাৎ বেড়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, কীভাবে...
    ‘আমাদের দেশে প্রতিবছর দেড় লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাই শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী ক্যানসার–সচেতনতা নিয়ে কাজ করা হয়। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগনির্ণয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ছিল বিশ্ব ক্যানসার দিবস। এ উপলক্ষে এসকেএফ অনকোলজি আয়োজন করে ‘বিশ্বমানের ক্যানসার-চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের ক্যানসার রোগের এমন পরিসংখ্যান দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।নাসিহা তাহসিনের উপস্থাপনায় বাংলাদেশে ক্যানসারের বর্তমান অবস্থা, ডায়াগনোসিস, রোগনির্ণয়, প্রতিরোধব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে পরামর্শ দেন ডা. স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।উপস্থাপক নাসিহা তাহসিন এই দিবস প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশ্ব ক্যানসার দিবসের সূচনা ১৯৯৯ সালে প্যারিসে...
    ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ আছে, যেটি মানুষ নিজের অজান্তেই এড়িয়ে যায়। অথচ রোগবালাই শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। একেবারে শুরুর দিকে শনাক্ত করা গেলে সব ক্যান্সারই সারিয়ে তোলা সম্ভব। যদি অনেক পরে ধরা পড়ে, তখন আর সারানো সম্ভব হয় না। উপসর্গগুলোর ব্যাপারে সবাই একটু সচেতন হলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায়, একজন ব্যক্তি সুস্থ জীবনযাপন করছেন। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। পরে পরীক্ষা করে দেখা গেল তাঁর ক্যান্সার হয়েছে। এর মধ্যে তার কিছু লক্ষণও শরীরে দেখা দিয়েছিল। সেগুলো তিনি বুঝতে পারেননি, অথবা গুরুত্ব দেননি। পরে দেখা গেল বিলম্ব করার কারণে ক্যান্সার ইতোমধ্যে তাঁর শরীরে অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তখন চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁকে সারিয়ে তোলা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নিচের ১০টি...
    ঘন ঘন ভুলে যাচ্ছেন? ডিমেনশিয়ার উপসর্গ মনে হলেও আদতে ভিটামিনের ঘাটতি নয় তো? ভিটামিন বি১২ শরীরের অতি প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। মানবদেহ সরাসরি এই ভিটামিন উৎপাদন করতে না পারায় এর ঘাটতি দেখা যায়। মানবদেহের একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভিটামিন বি১২। রক্তের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন হয়।  মানবদেহ এই ভিটামিন সরাসরি উৎপাদন করতে পারে না। এর জন্য আমাদের শরীরকে নির্ভর করতে হয় যথাযথ খাবার ও ফুড সাপ্লিমেন্টের ওপর। বিশেষ করে নিরামিশাষীদের মধ্যে এ ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। কারণ, এটি ‘প্লান্টবেসড ভিটামিন’ নয়। ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি বুঝতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। কারণ, এর উপসর্গগুলো অনেকটা ডিমেনশিয়ার উপসর্গের মতো। lকোনো বিষয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে? এর কারণ ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। এই ভিটামিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ...
    হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) প্রতিরোধে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।গতকাল সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ নির্দেশনা জারি করে। বেবিচক বলছে, সাধারণ যাত্রী, বিমানবন্দরে কর্তব্যরত কর্মীসহ উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো ক্রুদের এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।আরও পড়ুনহিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস কী১০ জানুয়ারি ২০২৫নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাত্রী কিংবা কর্মীদের কারও জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে তা অবিলম্বে বিমানবন্দর হেলথ সার্ভিস টিমকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জন্য জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে এইচএমপিভি ছড়িয়েছে, এমন দেশগুলো থেকে আসা ফ্লাইটের ক্ষেত্রে যাত্রার স্থানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফ্লাইটে কোনো যাত্রী বা ক্রুর মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে, তা অবিলম্বে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য ইউনিটকে জানাতে হবে।...
    প্রস্টেট ক্যান্সার পুরুষকে ভীষণ সমস্যায় ফেলে দেয়। বয়সকালে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন শরীরে জায়গা করে নিয়েছে এ অসুখ?  বারবার প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালা থাকলে সতর্ক হোন। প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্যান্সারকে বলা হয় প্রস্টেট ক্যান্সার। এ অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে এ রোগ থেকে অনায়াসে বাঁচা সম্ভব। প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় বহু ক্ষেত্রেই রোগ রয়ে যাচ্ছে অন্তরালে। প্রস্টেট থাকে পুরুষের পেনিসের ঠিক গোড়ায়। এ গ্রন্থিটি অনেকটা ওয়ালনাটের আকৃতির হয়। এ গ্রন্থিতে তৈরি হয় সেমিলাল ফ্লুইড, যা স্পার্মকে রক্ষা করে, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। এ গ্রন্থিতে প্রথমে একটি, তারপর দুটি– এভাবে সংখ্যা বাড়াতে থাকে ক্যান্সার কোষ। তৈরি হয় টিউমার। এই টিউমার অবশ্যই ক্যান্সারাস। মনে রাখবেন,...
    অ্যাজমা বা হাঁপানি তীব্র হলে দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি হয়। হাঁপানির লক্ষণগুলোর আকস্মিক তীব্রতার ক্ষেত্রে সংকুচিত শ্বাসনালি শক্ত ও সরু হয়ে যায়, শ্বাসনালির আস্তরণ ফুলে যায় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শ্লেষ্মা তৈরি হয়। ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, কাশি, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, বুকে চাপ, একটা পুরো বাক্য একনিশ্বাসে বলতে না পারা ও শ্বাসের সঙ্গে শোঁ শোঁ শব্দ হয়। এ সময় দ্রুত চিকিৎসা হিসেবে নেবুলাইজেশন, অক্সিজেন, স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। হঠাৎ শ্বাসকষ্টের আরও ৯টি কারণ তুলে ধরা হলো—সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ: ফুসফুসের প্রদাহজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ। ধূমপায়ীদের এটি বেশি হয়। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, ধুলাবালু, অস্বাস্থ্যকর জীবন ও পরিবেশ এর জন্য দায়ী। কোনো সংক্রমণের কারণে এ রোগে হঠাৎ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে, অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বা কফ তৈরি হয়, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা...
    ভাইরাস দ্বারা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সংক্রমণ কখনো কখনো সব বয়সের মানুষের জন্য গুরুতর অসুস্থতার উৎস এমনকি মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে ওঠে। ভাইরাল আরটিআইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং ব্যাপক বিস্তার লাভ করতে পারে, যা এর প্রতিরোধকে কিছুটা কঠিন করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য প্রধানত কয়েকটি নির্দিষ্ট ভাইরাস দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি), ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং বি, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, করোনাভাইরাস, রাইনোভাইরাস এবং মানব অ্যাডেনোভাইরাস। এই ভাইরাসগুলোর প্রভাব শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এদের কারণে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে ভাইরাল আরটিআই প্রতিরোধ এবং এর দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ।হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস...
۱