মিরসরাইয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে মো. মুন্না (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসেন এবং পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান পক্ষের মধ্যে এ  সংঘর্ষ হয়। পৌর শহরের মিরসরাই স্টেডিয়াম এবং মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। 

নিহত মুন্না মিরসরাই পৌরসভার উত্তর গোভানিয়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী হলেও বিএনপি নেতা জাহিদের অনুসারী ছিলেন। এ ঘটনায় মুন্নার ভগ্নিপতি আরাফাত হোসেন আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান, নাজমুল সাকিব মারুফ, শাহ আলম ও আরমান নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে। 

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহতরা জানান, মিরসরাই স্টেডিয়ামে শিল্প-বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুবদল নেতা কামরুল ও বিএনপি নেতা জাহিদের অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে মেলার ফটকে টোল আদায়সহ শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা জাহিদ অনুসারীদের ওপর কামরুলের ১৫ থেকে ২০ সমর্থকের একটি দল হামলা চালায়। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে জাহিদের অনুসারীরা মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। রাত ১১টার দিকে কামরুল অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে জাহিদ অনুসারীদের ওপর চড়াও হয়। ওই সময় জাহিদের অনুসারী মুন্নাকে সামনে পেয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বিএনপি নেতা জাহিদ বলেন, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। 

মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, নিহতের পরিবার মামলা করলে রাতেই এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ব এনপ ম রসর ই য বদল র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে ১৪ জন গ্রেপ্তার

মাদক, দস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শাকিব বাবু (২২), খোরশেদ (৩৫), মনির হোসেন (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৯), সুলতান (২৮), আল মামুন (২৫), সোহাগ (২৩), হৃদয় তালুকদার (২৩), মুরাদ (২৮), আজমল (৩৫), মাহফুজ (২২), রাশেদ (২৬), কাল্লু ওরফে বিজয় (২০) ও রাকিবুল (২৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪ জনের মধ্যে মাদক মামলায় একজন, দস্যুতায় একজন, চাঁদাবাজিতে একজন, পরোয়ানাভুক্ত আসামি পাঁচজন ও ডিএমপি অধ্যাদেশ আইনে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ৭ কারণে প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়
  • মাদক একটা ওয়ানওয়ে জার্নি, এটা দিয়ে ঢোকা যায়, বের হওয়া যায় না: উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন
  • জাবরা গ্রাম থেকে কম্পিউটার অধ্যাপনায় ড. কায়কোবাদ
  • ধামরাইয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে মারধর 
  • ধানের শীষের ভোট চেয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন প্রধান শিক্ষক
  • একীভূত ৫ ব্যাংকের গ্রাহকেরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন
  • দুটি ডিমের খাঁচা উন্মোচন করল ২৪ বছর আগে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের রহস্য
  • অধরা খান ‘ঋতুকামিনী’র অপেক্ষায়!
  • মাগুরায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভূমি ও রেজিস্ট্রি অফিসে আগুন
  • রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে ১৪ জন গ্রেপ্তার