বিএনপি-যুবদলের সংঘর্ষে একজন নিহত, গ্রেপ্তার ৪
Published: 15th, January 2025 GMT
মিরসরাইয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে মো. মুন্না (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসেন এবং পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পৌর শহরের মিরসরাই স্টেডিয়াম এবং মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
নিহত মুন্না মিরসরাই পৌরসভার উত্তর গোভানিয়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী হলেও বিএনপি নেতা জাহিদের অনুসারী ছিলেন। এ ঘটনায় মুন্নার ভগ্নিপতি আরাফাত হোসেন আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান, নাজমুল সাকিব মারুফ, শাহ আলম ও আরমান নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহতরা জানান, মিরসরাই স্টেডিয়ামে শিল্প-বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুবদল নেতা কামরুল ও বিএনপি নেতা জাহিদের অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে মেলার ফটকে টোল আদায়সহ শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা জাহিদ অনুসারীদের ওপর কামরুলের ১৫ থেকে ২০ সমর্থকের একটি দল হামলা চালায়। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে জাহিদের অনুসারীরা মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। রাত ১১টার দিকে কামরুল অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে জাহিদ অনুসারীদের ওপর চড়াও হয়। ওই সময় জাহিদের অনুসারী মুন্নাকে সামনে পেয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপি নেতা জাহিদ বলেন, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, নিহতের পরিবার মামলা করলে রাতেই এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ব এনপ ম রসর ই য বদল র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬
প্রতারণা, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারণার অভিযোগে একজন, চুরির অভিযোগে দুজন ও দস্যুতার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া পরোয়ানাভুক্ত আসামি তিনজন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একজন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অধ্যাদেশ আইনে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ আইনে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুমন (২৩), নাঈম (২০), আনোয়ার (৫৭), মাসুদ মোল্লা (৩৩), রাসেল (৩০), রবিউল (১৯), সাগর (২৭), ইমন (২৪), লালচান বাদশা (২৪), আরাফাত হোসেন (২১), জোবায়ের (২০), আনোয়ারুল ইসলাম (৪৪), এ কে এম সাঈদ (৪৮), রবিন (২৫), ইমরান (৩২) ও হাসান (২৮)।