কুষ্টিয়ায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আবুল কাশেম শান্ত (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন তার বন্ধু সিয়াম (২১)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিআরবি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত শান্ত দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় শান্ত ও তার বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘুরতে যাওয়ার পথে কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল এলাকায় বিপরীত দিকে আসা কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শান্ত নিহত হন এবং তার বন্ধু সিয়ামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শান্তর মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশে দেয়। 

দুর্ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত শান্তর মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরি, কালিগঞ্জে গ্রেপ্তার ১

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ তৈরির অভিযোগে মাহিদুল আলম (২৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতের অভিযানে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের তেতুইতলা এলাকার একটি কম্পিউটার দোকান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

প্রতারণা মামলায় অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল কারাগারে

বগুড়ার সমন্বয়ক সাকিব খান গ্রেপ্তার

পরে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার মাহিদুল আলম কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দড়িবাঘুন গ্রামের মো. আবুল বাশার খানের ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডেই গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অভিযান চলাকালে পুলিশ দোকান থেকে একটি কালো রঙের কম্পিউটার, মনিটর, কিবোর্ড, মাউসসহ মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের নামে মোট ছয়টি অফিসিয়াল সিল জব্দ করে। এছাড়া নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের ছয়টি রঙিন কপি, অনলাইনে করা আবেদনপত্রের তিনটি কপি, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড বই জব্দ করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে মাহিদুলকে নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ তৈরি করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, অজ্ঞাতনামা আরো ২–৩ জন সহযোগীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এ জালিয়াতি করে আসছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, উদ্ধার হওয়া নকল সনদগুলোতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন ও গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যাললের (গোয়েন্দা বিভাগ) নামে জাল সিল ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া বহু মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় পেনাল কোডের ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭২ ও ৪৭৪ ধারায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাহিদুলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ