কুষ্টিয়ায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আবুল কাশেম শান্ত (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন তার বন্ধু সিয়াম (২১)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিআরবি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত শান্ত দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় শান্ত ও তার বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘুরতে যাওয়ার পথে কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল এলাকায় বিপরীত দিকে আসা কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শান্ত নিহত হন এবং তার বন্ধু সিয়ামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শান্তর মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশে দেয়। 

দুর্ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত শান্তর মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রুনো-নেভেজের হ্যাটট্রিকে আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলে ভাসিয়ে বিশ্বকাপে

রবিবার রাতে আর্মেনিয়াকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল পর্তুগাল। স্কোরলাইন বলছে সব; ৯-১! আর এই দাপুটে জয়ের নায়ক পর্তুগালের দুই মিডফিল্ড জাদুকর ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও হোয়াও নেভেজ। দুজনই করেছেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক।

আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর পর্তুগাল ছিল চাপে। সেই ম্যাচে লাল কার্ড দেখে ছিটকে যান অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাই আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক। আর জিতে তারা জানিয়ে দিল- চাপ তাদের আরো ভয়ঙ্কর করে তোলে।

ম্যাচের শুরুতেই মানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেজের ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন রেনাতো ভেইগা। তবে ১৮ মিনিটেই দারুণ এক সুযোগে গোল করে আর্মেনিয়াকে সমতায় ফেরান এদুয়ার্দ স্পারৎসিয়ান।

এরপরই যেন ঘুম থেকে জেগে ওঠে পর্তুগাল। ২৮ মিনিটে গোল করে দলকে আবার এগিয়ে নেন গনসালো রামোস। এর কিছুক্ষণ পর বক্সের সামনে থেকে নিখুঁত শটে স্কোরশিটে নাম তোলেন হোয়াও নেভেজ। পরে তার ফ্রি-কিকও পর্তুগালকে আরও এগিয়ে নেয় (৪-১)।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বক্সে ফাউলের শিকার হন ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস। পেনাল্টি থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজ শান্তভাবে বল জালে পাঠিয়ে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন ৫-১।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেন ব্রুনো। নীচু শটে তার আরেকটি গোল হয়। এরপর কার্লোস ফর্বস ফাউল করায় পাওয়া পেনাল্টিতেও নিখুঁত সংযোজন। এর মধ্যেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।

নেভেজও থামার পাত্র নন। বক্সের মাঝখানে সুযোগ তৈরি করে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন এই তরুণ। ব্যবধান তখন ৮-১। আর ম্যাচ তখন একতরফা। শেষদিকে ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও দারুণ এক শটে গোল করে ব্যবধান দাঁড় করান ৯-১ এ। পর্তুগালের গোল উৎসব শেষ হয় তাতেই।

এই দাপুটে জয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে স্বাভাবিকভাবেই পর্তুগালের নিশ্চিত হয়ে গেল আগামী বছরের বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লাল কার্ডের কারণে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে রোনালদোকে মাঠে নাও দেখা যেতে পারে। আপাতত এটাই এখন একমাত্র দুঃসংবাদ পর্তুগীজদের জন্য।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ