গাজীপুরের শ্রীপুরে এক পোশাকশ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের সিআরসি গার্মেন্টসের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সৈকত (১৯) বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাওরাখালি গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের ইব্রাহিমের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় এমএচইসি এ্যাপারেলস কারখানায় কোয়ালিটি পদে চাকরি করতেন।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘‘সৈকতের সঙ্গে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়ের সাবেক প্রেমিক সৈকতকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।’’

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর হত্যা: আরো ৩ জন গ্রেপ্তার 

চুরি করতে দেখে ফেলায় ওহাব মাতুব্বরকে হত্যা: পুলিশ

তিনি আরো বলেন, ‘‘মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’’

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.

সাঈয়িদা ইমরোজ ইমা বলেন, ‘‘মৃত অবস্থায় স্বজনেরা সৈকতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় হত্যা মামলার পলাতক আসামি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কৃষক জহিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আলোচিত পলাতক আসামি মো. ডালিম বাবার নাম পরিবর্তন করেও রক্ষা পাননি। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় ডালিমের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে বিমানবন্দর থানা–পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ বিষয়টি তিতাস থানাকে জানায়।

গ্রেপ্তার ডালিম কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কৃষক জহিরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই ডালিম পলাতক।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ডালিমকে আজ রোববার সকালে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। বাবার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় যাচাই–বাছাই করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ