ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, “আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর ওকে পাব না।”

ছেলের মৃত্যুর জন্য গর্ত খনন করা ব্যক্তির অবহেলাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যারা হাউজিং করেছে, এটা তাদেরই কাজ। গর্তের মুখে তারা অন্য কিছু দিত, তারা যদি একটা নিশানা দিত- তাহলে এ রকমটি ঘটত না। তারা কিচ্ছু দেয়নি।’

আরো পড়ুন:

গর্তে সাজিদ যত নড়াচড়া করেছে, তত নিচে নেমেছে: ফায়ার সার্ভিস

মাটির ৪২ ফুট নিচেও সাজিদের খোঁজ মেলেনি 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। 

রাকিবুল ইসলাম বলেন, “কীভাবে ঘটনা ঘটেছে তা সবাই দেখেছে। আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে আমি তাতেই সন্তুষ্ট। সঠিক যেটা সেটা আমাকে দিবে।”

“এখন আমার কিছু করণীয় নাই। এখন শুধু দোয়া করা লাগবে। যেহেতু, আল্লাহই দিয়েছে, আল্লাহর জিনিস আল্লাহ নিয়ে গেছে। কিন্তু অবহেলা হয়েছে, এটা একমাত্র অবহেলা। এছাড়া আর কিছু না”, যোগ করেন এই বাবা।

গত বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসাধের পরিত্যক্ত এক গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ৩২ ঘণ্টা পর মাটির প্রায় ৫০ ফুট নিচ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবহ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত

বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। মঙ্গোলিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ট তামবাযাও। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘‘আমাদের উচিত এই কূটনৈতিক সদিচ্ছাকে ব্যবসা-বাণিজ্যিক যোগাযোগে রূপান্তর করা যেন আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়।”

মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, “কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের অনুকূলে ভিসা অব্যাহতি চুক্তির পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্যও ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা যেতে পারে।”

মঙ্গোলিয়ার প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ট তামবাযাও ও মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুল জেনারেল, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। 

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়সল আহমেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত উইং) মোহাম্মদ নুরে আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তিতে মোট ১১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এটি স্বাক্ষর হওয়ার ফলে উভয় দেশের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী নাগরিক অপর পক্ষের ভূখণ্ডে প্রবেশ, বহির্গমন ও ট্রানজিটের ক্ষেত্রে অনধিক ৩০ দিনের জন্য ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারবেন। এ চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য বলবৎ থাকবে। চুক্তিবদ্ধ যে কোনো পক্ষ ৯০ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে এ চুক্তির অবসান ঘটাতে পারবে।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৪ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ