ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেনসহ ১৯ জনকে সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

রফিকুল আমীন ও মো. হোসেন সাজার অতিরিক্ত সময় ধরে কারাগারে আছেন। এজন্য তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো.

রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করে। 

আজই তারা দুইজন কারামুক্ত হবেন এমন আশা করছেন তাদের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী।

তিনি বলেন, “রফিকুল আমীন ও হোসেন ১২ বছর ৩ মাস জেলে আসেন। আর তাদের সাজা হয়েছে ১২ বছর। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আদালত তাদের কারামুক্ত করতে কারাকর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন। কাজেই আশা করছি, আজই তারা কারামুক্ত হচ্ছেন।”

এদিকে, আসামিদের মানিলন্ডারিংয়ের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকার দ্বিগুণ ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড তাদের কারামুক্তিতে বাঁধা হবে কি না জানতে চাইলে এহেসানুল হক সমাজী বলেন, “অর্থদণ্ডের টাকা আগামী ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আর অর্থদণ্ড তাদের কারামুক্তিতে বাধা হবে না মর্মে আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কোনো প্রতিবন্ধকতা না হলে তারা আজই কারামুক্ত হবেন, এমনটাই আশা করছি।”

রফিকুল আমীনের সাজা নয়, মুক্তিকেই বড় দেখছেন এই আইনজীবী। মুক্তি পেতে যাওয়ায় শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

এদিকে, রায়ে শুনতে আদালতে হাজির হন ডেসটিনির গ্রাহকেরা। রফিকুল আমীনের মুক্তির খবর শুনে তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় সাক্ষ্য শেষ, আত্মপক্ষ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সাহেদুর রহমান জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন—প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক আছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনজীবী তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য উশৈসিংয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
  • না`গঞ্জে ডিসি-এসপি অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
  • রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় লাগবে বোর্ডের সুপারিশ
  • জাভেদের মামলায় কঙ্গনাকে শেষ সুযোগ দিলেন আদালত
  • জাভেদের করা মামলায় কঙ্গনাকে শেষ সুযোগ দিলো আদালত
  • জাভেদ আখতারের মামলায় কঙ্গনাকে শেষ সুযোগ দিলো আদালত
  • দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থী খুন: ৬ জন রিমান্ডে
  • সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হামলায় সাংবাদিক আহত
  • সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে হামলায় সাংবাদিক আহত
  • খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় সাক্ষ্য শেষ, আত্মপক্ষ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি