আজই কারামুক্ত হবেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন-হোসেন, আশা আইনজীবীর
Published: 15th, January 2025 GMT
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেনসহ ১৯ জনকে সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রফিকুল আমীন ও মো. হোসেন সাজার অতিরিক্ত সময় ধরে কারাগারে আছেন। এজন্য তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো.
আজই তারা দুইজন কারামুক্ত হবেন এমন আশা করছেন তাদের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, “রফিকুল আমীন ও হোসেন ১২ বছর ৩ মাস জেলে আসেন। আর তাদের সাজা হয়েছে ১২ বছর। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আদালত তাদের কারামুক্ত করতে কারাকর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন। কাজেই আশা করছি, আজই তারা কারামুক্ত হচ্ছেন।”
এদিকে, আসামিদের মানিলন্ডারিংয়ের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকার দ্বিগুণ ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড তাদের কারামুক্তিতে বাঁধা হবে কি না জানতে চাইলে এহেসানুল হক সমাজী বলেন, “অর্থদণ্ডের টাকা আগামী ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আর অর্থদণ্ড তাদের কারামুক্তিতে বাধা হবে না মর্মে আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কোনো প্রতিবন্ধকতা না হলে তারা আজই কারামুক্ত হবেন, এমনটাই আশা করছি।”
রফিকুল আমীনের সাজা নয়, মুক্তিকেই বড় দেখছেন এই আইনজীবী। মুক্তি পেতে যাওয়ায় শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।
এদিকে, রায়ে শুনতে আদালতে হাজির হন ডেসটিনির গ্রাহকেরা। রফিকুল আমীনের মুক্তির খবর শুনে তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
ঢাকা/মামুন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রেফারেন্স ও মতামতপ্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি ১৬ জুলাই
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামতপ্রক্রিয়া নিয়ে রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর শুনানির জন্য ১৬ জুলাই দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মঙ্গলবার শুনানির জন্য এই দিন রাখেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চান। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামতের প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ গত ডিসেম্বরে রিট করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৩ জানুয়ারি রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। এই লিভ টু আপিলে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি) মঞ্জুর করার প্রার্থনা রয়েছে। লিভ টু আপিলটি গত ১১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। লিভ টু আপিলটি মঙ্গলবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৯৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
লিভ টু আপিলের বিষয়টি সকালে আদালতে উত্থাপন করেন বলে জানান লিভ টু আপিলকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালত ১৬ জুলাই কার্যতালিকার শীর্ষ বিষয়টি থাকবে বলে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে ‘সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ারের’ বিষয়ে বলা আছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যদি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।’
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথের আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান। রাষ্ট্রপতির বিশেষ রেফারেন্সের (১/২৪) পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ গত বছরের ৮ আগস্ট মতামত দেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শোনা হয়। মতামতে বলা হয়, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করাতে পারবেন।