বগুড়ার শেরপুরে খাসি বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির সময় দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের ধর্মকাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধড়মোকাম এলাকার মৃত সৈয়দ আহমেদের ছেলে তৌহিদ আহমেদ (৩০) ও ফুলতলা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সালমান হোসেন (২৪)। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের তৌহিদ আহমেদের বাড়িতে কাটাকাটির শব্দ পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় ঘোড়া জবাই করে মাংস কাটছে। এ সময় চিৎকার দিয়ে এলাকাবাসীকে ডাকলে ৪-৫ জন পালিয়ে গেলেও সালমান ও তৌহিদকে ধরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জবাই করা ঘোড়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

ঢাকা/এনাম/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই মুহূর্তে কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ নেই।

সোমবার থেকে কমপক্ষে তিনজন থাই সেনা এবং সাতজন কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দুই দেশই সহিংসতা শুরু করার জন্য একে অপরকে
দোষারোপ করেছে।

সোমবার সীমান্তে থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালিয়েছে। জুলাই মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছিল।

মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘর্ষ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের পক্ষের তিনজন সেনা নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার সিনেটের প্রেসিডেন্ট হুন সেন দাবি করেছেন,  সেনাবাহিনী আগের দিন থাই বাহিনীর উপর গুলি চালানো থেকে বিরত ছিল, কিন্তু রাত থেকে পাল্টা গুলি চালানো শুরু করেছে।

তিনি বলেন, “থাই বাহিনী যে সমস্ত এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে সেখানে লক্ষ্যবস্তু স্থাপন করলে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে শত্রু বাহিনীকে দুর্বল এবং ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।”

মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা উপকূলীয় প্রদেশ ত্রাত থেকে কম্বোডিয়ান বাহিনীকে বহিষ্কার করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেখানে কম্বোডিয়ান বাহিনী তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে, স্নাইপার এবং ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে, সুরক্ষিত অবস্থান তৈরি করছে এবং পরিখা খনন করছে। এটি ‘থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের জন্য প্রত্যক্ষ এবং গুরুতর হুমকি।’

আল জাজিরাকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকিও বলেছেন, কম্বোডিয়া শান্তি আলোচনার জন্য ‘প্রস্তুত নয়।’

তিনি বলেছেন, “একদিকে তারা বলে যে তারা প্রস্তুত, কিন্তু বাস্তবে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে। পরিস্থিতি যখন কূটনীতির জন্য সুযোগ তৈরি করবে তখন কূটনীতি কাজ করবে। আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই যে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে সেই সুযোগ নেই।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ