বগুড়ায় বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘোড়া জবাই, গ্রেপ্তার ২
Published: 15th, January 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুরে খাসি বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির সময় দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের ধর্মকাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধড়মোকাম এলাকার মৃত সৈয়দ আহমেদের ছেলে তৌহিদ আহমেদ (৩০) ও ফুলতলা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সালমান হোসেন (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের তৌহিদ আহমেদের বাড়িতে কাটাকাটির শব্দ পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় ঘোড়া জবাই করে মাংস কাটছে। এ সময় চিৎকার দিয়ে এলাকাবাসীকে ডাকলে ৪-৫ জন পালিয়ে গেলেও সালমান ও তৌহিদকে ধরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জবাই করা ঘোড়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ঢাকা/এনাম/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক কারবারি নাদিম গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০৫ পুড়িয়া হেরোইনসহ নাদিম (২২) নামে এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সুমিল পাড়া বিহারী ক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নাদিম সিদ্ধিরগঞ্জের বিহারী কলোনী এলাকার মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহতাব উদ্দিন জানান, বিশেষ অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, আদমজী বিহারী ক্যাম্পের পানির ট্যাংকির নিচে পাঁকা রাস্তার উপর এক ব্যক্তি মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। পরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে সে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। আটকের পর নাদিমের দেহ তল্লাশি চালিয়ে তার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১০৫ পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এই হেরোইনের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নাদিম দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় হেরোইন সরবরাহ করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে আগেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে পুলিশ সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে আছে।
তিনি নিশ্চিত করেন যে, আটক নাদিমের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।