রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আগামী রোববার (১৮ জানুয়ারি) জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে বলে তারা আশা করছে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ সব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড.

কেরামত আলী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে সকাল ৯টায় কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর তাতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

কর্মী সম্মেলন ছাড়াও এ দিন আরো কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুপুরে চিকিৎসক সমাবেশ এবং বিকাল ৩টায় মহিলা সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন বাদ মাগরিব ব্যবসায়ীদের নিয়ে রাজশাহী চেম্বার ভবনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর জামায়াতের আমির ড. কেরামত আলী বলেন, ‘‘সম্মেলন সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা করা হয়েছে। তারা আমাদের সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। সম্মেলনটি রাজশাহী জেলা নিয়ে হবে। সম্মেলনে যারা অংশ নিতে আসবেন, তাদের যানবাহনগুলো শহরের বাইরে রাখা হবে। এতে করে শহরে কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হবে না।’’ 

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম মর্তুজাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন মহানগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করা হবে। এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রেস উইং বলেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবিসহ অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রেস উইং। তারা আরও বলে, সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

প্রেস উইং বলেছে, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তবে বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ইতিমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে বলে উল্লেখ করে প্রেস উইং। প্রেস উইং বলেছে, এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে প্রেস উইং।

সম্পর্কিত নিবন্ধ