গণমাধ্যম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় নতুন প্রতিভা খুঁজে পেতে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ১০ দিনব্যাপী ‘মিডিয়া ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা ২০২৫’ আয়োজন করা হয়েছে।

জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে। চলবে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। 

প্রতিযোগিতায় যারা সর্বোচ্চ মেধা ও দক্ষতার প্রদর্শন করতে পারবেন, তাদেরকে স্টেট ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে চার বছরব্যাপী অনার্স কোর্সে শতভাগ স্কলারশিপে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেই মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ওয়েভারে ভর্তির সুযোগ থাকবে।

প্রতিযোগিতাটি সম্পূর্ণ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে প্রতিযোগীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হলো- এইচএসসি পাশ হতে হবে। এছাড়া গণমাধ্যম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে আগ্রহী কিংবা মূল ধারার গণমাধ্যমে সাংবাদিক/মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত হতে হবে।

নিউজ রিপোর্টিং, ডিজিটাল মিডিয়া, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ভিডিও প্রোডাকশন, ফটোগ্রাফি এবং সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল ইত্যাদি বিষয়ের ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে প্রতিযোগিদের স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। তবে যারা এ বিশেষ অফারে ভর্তি হবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ওয়েভার পাবেন না।

এ বিষয়ে বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান মো.

সামসুল ইসলাম বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপ্লবের কারণে গণমাধ্যমের গতি ও প্রকৃতি প্রতিনিয়ত বদলে হচ্ছে, যার সর্বশেষ সংযোজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আমাদের লক্ষ্য তরুণদের মধ্যে মিডিয়া ও কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়ানো, যা তাদের পেশাগত জীবনে সাহায্য করবে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের তরুণদের প্রতিভা তুলে ধরতে ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সাহায্য করবে।”

বিস্তারিত তথ্য স্টেট ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে পাওয়া যাবে। এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের এ লিংকে প্রবেশ করতে হবে।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ট ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ