রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
শুধু সংসদ সদস্য নয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচক মণ্ডলী’ এর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। এ সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশন প্রস্তাব করেছে, আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট এবং প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে।
আইনসভার মেয়াদ পূরণের আগে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্যের সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয়কক্ষ ভেঙে দেবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউরোপজুড়ে অভিবাসনবিরোধী বক্তব্য ও নীতি জোরালো হচ্ছে
ইউরোপজুড়ে অভিবাসনবিরোধী মনোভাব তীব্র হয়ে উঠছে। গত বছরে অভিবাসনবিরোধী মনোভাব পোষণকারী হাজারো মানুষ ‘ওদের দেশে ফেরত পাঠাও!’ স্লোগান দিয়ে লন্ডনের রাস্তায় মিছিল করেছে। যুক্তরাজ্যের এক আইনপ্রণেতা অভিযোগ করেছেন, তিনি এখন টেলিভিশনে অশ্বেতাঙ্গ মুখ দেখছেন বেশি। দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদেরাও অভিবাসীদের দেশছাড়া করার পক্ষে কথা বলছেন।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপজুড়ে অভিবাসী ও অভিবাসী–বংশোদ্ভূতদের প্রকাশ্যভাবে দানব হিসেবে উপস্থাপনের প্রবণতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে অভিবাসন উঠে আসছে। এ বিষয় নিয়ে প্রচারে থাকা ডানপন্থী দলগুলোর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
ইউরোপের কয়েকটি দেশে অভিবাসনকে জাতীয় পরিচয়ের জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরা রাজনৈতিক দলগুলো জনমত জরিপে শীর্ষে বা শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এসব দলের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের রিফর্ম ইউকে, জার্মানির অলায়েন্স ফর জার্মানি ও ফ্রান্সের ন্যাশনাল র্যালি।
ইউরোপে বাড়ছে বিভাজনের অনুভূতিগত এক দশকে ইউরোপের কয়েকটি দেশে অভিবাসন নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। এর পেছনে আংশিকভাবে রয়েছে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ আশ্রয়প্রার্থীর ইউরোপে আসার বিষয়টি। তবে মোট অভিবাসনের তুলনায় আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈচিত্র্য ও অভিবাসনের প্রতি বিরূপ মনোভাবের পেছনে একাধিক কারণ কাজ করছে। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর থেকে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, ক্যারিশম্যাটিক জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকদের উত্থান এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভাজনমূলক প্রভাব—সবকিছুই এতে ভূমিকা রেখেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিভাজনের মনোভাবকে আরও উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে এক্স (সাবেক টুইটার), যেখানে অ্যালগরিদম বিভাজনমূলক কনটেন্টকে প্রাধান্য দেয় এবং যার মালিক ইলন মাস্ক কট্টর ডানপন্থী পোস্ট সমর্থনসূচকভাবে রিটুইট করেন।
ইউরোপজুড়ে ডানপন্থী দলগুলোর মধ্যে জার্মানির অলায়েন্স ফর জার্মানি, ফ্রান্সের ন্যাশনাল র্যালি এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের ফিদেজ পার্টি জাতিগত জাতীয়তাবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে। এখন তা ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থনও পাচ্ছে। এই শত্রুতাপূর্ণ ভাষা বহু ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের মনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বর্ণবাদী বক্তব্য বাড়ছেযেসব নীতি একসময় চরমপন্থী বলে বিবেচিত হতো, সেগুলোই এখন দৃঢ়ভাবে রাজনৈতিক এজেন্ডায় জায়গা করে নিয়েছে। জনমত জরিপে নিয়মিত শীর্ষে থাকা কট্টর ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকে বলছে, ক্ষমতায় এলে তারা অভিবাসীদের স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা কেড়ে নেবে—এমনকি তারা যদি দশকের পর দশক যুক্তরাজ্যে থেকেও থাকে। বিরোধী দল কনজারভেটিভরা বলছে, যেসব দ্বৈত নাগরিকত্বধারী ব্রিটিশ নাগরিক অপরাধ করবে, তাদের দেশছাড়া করা হবে।