শুধু সংসদ সদস্য নয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচক মণ্ডলী’ এর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। এ সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। 

কমিশন প্রস্তাব করেছে, আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট এবং  প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে। 

আইনসভার মেয়াদ পূরণের আগে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্যের সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয়কক্ষ ভেঙে দেবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত

এছাড়াও পড়ুন:

চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো শুরু ২৭ নভেম্বর

রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আগামী ২৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) শুরু হবে চার দিনব্যাপী ‘সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫’। উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। 

এক্সপোতে বিশ্বের ২৫টি দেশের ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানসহ ৩০০টি ব্র্যান্ড অংশ নেবে। এতে দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। 

রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) প্রেসিডেন্ট মইনুল ইসলাম। মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিসিএমইএর জেনারেল সেক্রেটারি ইরফান উদ্দীন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশীদ ও আব্দুল হাকিম সুমন, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশীদ মাইমুনুল ইসলাম এবং পরিচালক মো. জিয়াউল হক জিকু।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিরামিক পণ্যের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বমানের এই প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন ৫০০ জন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ক্রেতা। এক্সপোতে থাকছে তিনটি সেমিনার, জব ফেয়ার, বিটুবি এবং বিটুসি মিটিং, র‌্যাফেল ড্র, আকর্ষণীয় গিফট, লাইভ ডেমোনস্ট্রেশন, স্পট অর্ডার এবং নতুন পণ্যের মোড়ক উন্মোচনের সুযোগ।

বিসিএমইএর প্রেসিডেন্ট মইনুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যারের ৭০টির বেশি কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। গত দশ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন ও বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ। ৫০টির বেশি দেশে সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে বছরে আয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এ খাতে রপ্তানি আয় বাড়ছে। বাড়ছে বিনিয়োগও। এই শিল্পে বড় উৎপাদনকারী দেশ চীন ও ভারতসহ অনেক দেশ বিনেয়োগে আগ্রহী। এ শিল্পে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার অধিক বিনিয়োগ হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

বিসিএমইএর জেনারেল সেক্রেটারি ইরফান উদ্দীন বলেছেন, উন্নত মান ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক পণ্যের কদর বাড়ছে। শুধু তাই নয়, নতুন নতুন বাজারও সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। সিরামিক প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক এবং সরবরাহকারীরা এ এক্সপোতে তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। এই এক্সপোর মাধ্যমে দেশীয় সিরামিক পণ্য বাজারজাত করার পাশাপাশি তা ব্যবহারেও সচেতনতা বাড়বে।

ইরফান উদ্দীন বলেন, সিরামিক শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার ভবিষ্যতকে পুরোপুরি বদলে দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। অটোমেশন, উন্নত ডিজিটাল প্রিন্টিং, রোবোটিক হ্যান্ডলিং এবং উন্নত মানের প্রোডাকশন লাইনের মাধ্যমে উৎপাদন আরো দ্রুত, নির্ভুল এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী স্মার্ট টাইলস এবং সেন্সর ইন্টিগ্রেটেড পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। এক্সপোতে সেই প্রযুক্তিগুলোর সাথে আমাদের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগসূত্র স্থাপন হবে বলে আমরা মনে করি।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ