রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
শুধু সংসদ সদস্য নয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচক মণ্ডলী’ এর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। এ সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশন প্রস্তাব করেছে, আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট এবং প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে।
আইনসভার মেয়াদ পূরণের আগে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্যের সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয়কক্ষ ভেঙে দেবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলে তদন্ত কর্মকর্তাকে তাগিদ আদালতের
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোপত্র দ্রুত দাখিলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তাগিদ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্ধারিত তারিখে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১১–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক চন্দ্র মজুমদারকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ লিখিতভাবে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য সময় চেয়েছিল।
আদালতে হাজিরা দেন জামিনে থাকা আসামি আজমেরী ওসমানের সহযোগী তায়েব উদ্দিন, মামুন মিয়া, ইয়ার মোহাম্মদ পারভেজ, রিফাত বিন ওসমান, শাফায়েত হোসেন, কাজল হাওলাদার, আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ চৌধুরী। তবে ইউসুফ হোসেন আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করলে আদালতে তা মঞ্জুর হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ত্বকী হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগপত্র দাখিল হয়নি। আমরা বিশেষভাবে অভিযোগত্র দাখিলের দাবি জানালে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দ্রত অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে জানান, আদালতে আসামিরা হাজিরা দিয়েছেন। আদালত আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের নভেম্বরে আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
২০১৪ সালের ৫ মার্চ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ওসমান পরিবারের নির্দেশে টর্চার সেলে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। সে সময় বলা হয়েছিল, অচিরেই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র এখনো আদালতে পেশ করা হয়নি। বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ ধারাবাহিকভাবে মোমশিখা প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।