রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
শুধু সংসদ সদস্য নয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচক মণ্ডলী’ এর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। এ সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশন প্রস্তাব করেছে, আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট এবং প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে।
আইনসভার মেয়াদ পূরণের আগে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্যের সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয়কক্ষ ভেঙে দেবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত, চোখ বাঁধা অবস্থায় ভ্যানচালক উদ্ধার
ফরিদপুরের সালথায় দুর্বৃত্তদের হামলায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর সঙ্গে থাকা ভ্যানচালককে চোখ বেঁধে একটি সেতুর সঙ্গে বেঁধে রাখে। আজ শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা সেতুসংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সকাল নয়টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
নিহত উৎপল সরকার ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে।
সালথা থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্লাকে। তাঁর চোখ বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে ভোররাতে কী ঘটেছিল, তা খুলে বলেন ভ্যানচালক ফিরোজ।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা কাজী শাহীন বলেন, নিহত উৎপল সরকার মাছ ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো তিনি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় তিন–চারজন ডাকাত দেশি অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। পরে উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম মারুফ হাসান বলেন, দু–তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটিকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।