রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
শুধু সংসদ সদস্য নয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচক মণ্ডলী’ এর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। এ সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশন প্রস্তাব করেছে, আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট এবং প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে।
আইনসভার মেয়াদ পূরণের আগে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্যের সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয়কক্ষ ভেঙে দেবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় পার্টির দুই অংশের নেতৃত্বে ১৮ দল নিয়ে নতুন জোট
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আরেকটি জোট হলো। কয়েক ভাগে বিভক্ত জাতীয় পার্টির দুটি অংশের নেতৃত্বে এই জোটের নাম হয়েছে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ)। জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন অংশ দুটিসহ মোট ১৮টি দল থাকছে এই জোটে।
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নতুন জোট গড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরদিনই এনডিএফ জোটের ঘোষণা এল। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর এলাকার একটি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে জোটের আত্মপ্রকাশ হয়। এই জোটের ১৮টি দলের মধ্যে ৬টির নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন রয়েছে।
নতুন জোটের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে। সভাপতি হয়েছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটের প্রধান মুখপাত্র হয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। এ ছাড়া ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে গড়া নতুন দল জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ারকে জোটের প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে।
নতুন জোটের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটের প্রধান মুখপাত্র করা হয়েছে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে।এনডিএফের শরিক দলগুলো হলো জাতীয় পার্টির (জাপা) আনিসুল ইসলামী নেতৃত্বাধীন অংশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি), জনতা পার্টি বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মহসিন রশিদ), জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় সংস্কার জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি (সেকান্দার আলী)।
এই জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রুনেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন জোটের নেতারা যা বললেনসংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নতুন রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগের প্রশংসার পাশাপাশি শঙ্কাও প্রকাশ করেন, এ নিয়ে যে অতীত অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন, এ ধরনের চেষ্টা অনেক সময় ব্যর্থ হয়।
১৮টি দল নিয়ে গঠিত এনডিএফ জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রুনেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের এক সময়ের এই মন্ত্রী বলেন, ৫৪ বছরে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও মৌলিক অধিকার ও নিরাপদ নাগরিক জীবন নিশ্চিত হয়নি। সরকারগুলো ভয় দেখিয়ে দেশ চালিয়েছে। স্বাধীনতার মূল চেতনাও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। প্রকৃত স্বাধীনতা হলো নির্ভয়ে কথা বলা ও নিঃশঙ্ক জীবনযাপন—যা এখনো নিশ্চিত নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রশমিত করে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু বাস্তবে তারা প্রশাসনিক কাঠামোতে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছে এবং মাঠপর্যায়ে আস্থার সংকট কাটাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের বদলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই আস্থাহীনতা আরও বেড়ে গেছে।
নতুন জোট ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’–এর (এনডিএফ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। আজ সোমবার ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠান হয়