রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের সুপারিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
শুধু সংসদ সদস্য নয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচক মণ্ডলী’ এর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। এ সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশন প্রস্তাব করেছে, আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট এবং প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে।
আইনসভার মেয়াদ পূরণের আগে যদি প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্যের সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয়কক্ষ ভেঙে দেবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠি পাক হানাদার মুক্ত দিবস আজ
আজ ৮ ডিসেম্বর, ঝালকাঠি পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা ঝালকাঠি শহর থেকে পালিয়ে যায়। বিজয়ীর বেশে মুক্তিযোদ্ধারা ঝালকাঠি শহরে প্রবেশ করেন। সর্বত্র আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন স্বাধীনতাকামী জনতা। পাশাপাশি শুরু হয় বিভিন্ন গণকবর আর বধ্যভূমিতে হারানো স্বজনের লাশ খোঁজার পালা।
১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল ভারী কামান আর মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ করে পাকিস্তানি বাহিনী ঝালকাঠি শহর দখলে নেয়। পাক বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামসের সহায়তায় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা জুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ নারকীয় নির্যাতন চালায়।
আরো পড়ুন:
আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস
আজ শত্রুমুক্ত ফেনীতে প্রথম উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ বাঙালিদের ধরে এনে পালবাড়ী টর্চার সেলে আটকে রেখে নির্যাতন চালাতো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা। পরে সুগন্ধা তীরবর্তী পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করতো তাদের। জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও বাঙালিদের হত্যা করে মাটি চাপা দেয় পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে ৭ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি শহরে কারফিউ জারি করে পাকবাহিনী। পরে তারা ঝালকাঠি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ৮ ডিসেম্বর স্থানীয়রা ঝালকাঠিকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে।
একইদিন পাক হানাদার মুক্ত হয় ঝালকাঠির বর্তমান নলছিটি উপজেলা। নলছিটি থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী মিয়ার কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে, ঝালকাঠির রাজাপুর পহানাদার মুক্ত হয়। বরিশাল অঞ্চলে সর্বপ্রথম হানাদার মুক্ত হয় রাজাপুর থানা। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৩ নভেম্বর বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় রাজাপুরে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা বলেন, “এ অঞ্চলে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামে দুই মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন । ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমন চালায়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি গুলি। রাতভর যুদ্ধের পরে হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেন বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে ৯ নম্বর সাব সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। রাজাপুর থানায় সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হলে তিনিও এ যুদ্ধে অংশ নেন এবং সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমর বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ