মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৩০ শিশুসহ ৩৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়ার নোয়াখালীপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহ বলেন, “টেকনাফ সমুদ্র উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৩০ শিশুসহ ৩৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।”

আটকদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আটক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ উপকূলের মুন্ডারডেইল ঘাটে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি তাদের আটক করেছিল।

ঢাকা/তারেকুর/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমা করলে দেশ ছাড়তে রাজি ছিলেন মাদুরো

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তায় নিরাপদে দেশ ছেড়ে পালানোর সব সুযোগ হারিয়েছেন। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাদুরোর একটি সংক্ষিপ্ত ফোনালাপ হয়। এ সময় মাদুরোর একাধিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপ সম্পর্কে অবগত চারটি সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলার ওপর কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের মধ্যে গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পের সঙ্গে মাদুরোর ফোনালাপ হয়। এর আগে মার্কিন সেনারা গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকে ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় অন্তত ২১টি হামলা চালান। এসব হামলায় ৮৩ জনের মতো নিহত হন। নিকোলা মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপের অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এসব অভিযান পরিচালনা করছে।

মাদুরো ও তাঁর সরকার এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, তেলসহ ভেনেজুয়েলার বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সরকার পরিবর্তনের’ চেষ্টা করছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ফোনালাপে মাদুরো ট্রাম্পকে বলেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলায় ক্ষমা পেলে তিনি ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে প্রস্তুত। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলেন মাদুরো।

ওই তিনটি সূত্রের ভাষ্য, এ সময় ভেনেজুয়েলার শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন মাদুরো। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

অপর দিকে দুটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নির্বাচনের আগে একটি অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার দায়িত্ব ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলসি রদ্রিগেজকে দিতে চান বলেও অনুরোধ করেন মাদুরো।

১৫ মিনিটের কম সময়ের ওই ফোনালাপে মাদুরোর অধিকাংশ অনুরোধই প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তবে তিনি মাদুরোকে জানান, পরিবারের সদস্যসহ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পছন্দের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তিনি। দুটি সূত্রের মতে, সে সুযোগ শুক্রবার শেষ হয়ে যায়।

এদিকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলার উপকূল ঘিরে বড় ধরনের সামরিক সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌকায় বেশ কিছুদিন ধরে হামলা চালানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ