মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার নিজের বাসায় দুর্বৃত্বের ছুরিকাঘাতে বলিউড তারকা সাইফ আলী খান আহত হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষে সাইফ আলী খানের টিম জানায়, তিনি এখন বিপদমুক্ত। 

এ ঘটনায় সাইফ আলী খানের জনসংযোগ কর্মকর্তা আগেই বিবৃতি দিয়েছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখলেন স্ত্রী কারিনা কাপুর।

বিবৃতিতে কারিনা বলেন, ‘সাইফ হাতে আঘাত পেয়েছেন। আর তাই হাসপাতালে ওর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা মিডিয়া আর ভক্তদের ধৈর্য রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। অনুগ্রহ করে এ নিয়ে কেউ কোনো গুজব ছড়াবেন না। এ ঘটনায় আপনারা সবাই যে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ও দুশ্চিন্তায় আছেন, এ কারণে আপনাদের ধন্যবাদ।’

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গতকাল রাতে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কারিনা। তিনি তার বোন কারিশমা কাপুর, অভিনেত্রী সোনম কাপুর, রিয়া কাপুরসহ অন্য বন্ধুদের সঙ্গে একটি আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢোকেন। তার পর অভিনেতার সঙ্গে ওই ব্যক্তির হাতাহাতি হয়। আহত অভিনেতার চিকিৎসা চলছে। তদন্ত চলছে।’ সূত্র: পিংকভিলা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ