বিধিমালা সংশোধন এক দিনেই করা যায়
Published: 17th, November 2025 GMT
গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বড় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদে মনোনয়ন দেওয়া হতো। এ কারণে নির্বাচন হতো না। পরিচালক পদে অনেক সময় নির্বাচন হতো। ওই কারণে বাণিজ্য সংগঠনগুলো সত্যিকার অর্থে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। যেহেতু সংগঠনের প্রধান ব্যক্তি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মনোনীত হতো, সে কারণে তাঁর পক্ষে ব্যবসায়ীদের হয়ে শক্ত কোনো অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এতে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। তবে আইনিভাবে তা করতেই পারে মন্ত্রণালয়। সমস্যা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা করা হয়েছে বাণিজ্য সংগঠন বা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা না করেই। এটি মূল আইন কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নির্বাচনের পথে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে কষ্ট হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাত তথা ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ, কথাবার্তা, আলাপ–আলোচনা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় খুবই কমে গেছে। সেটি না হলে অর্থনীততে গতি কিছু হলেও বেশি থাকত। এই যে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের যোগাযোগ কমে গেছে, তার একটি বড় কারণ বাণিজ্য সংগঠনে সঠিক ব্যবসায়ী নেতৃত্ব না থাকা।
বাণিজ্য সংগঠন যদি কার্যকর থাকে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা নেতৃত্বে আসেন, তাহলে সরকারের জন্য তা সহায়ক হয়। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা সংশোধনে এত সময় নেওয়া উচিত নয়। এক দিনেই কাজটি করা যায়। তার কারণ বিধি সংশোধন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেই করতে পারে। এ কাজ করা গেলে বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাচন করার পথের বাধা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
মাহবুবুর রহমান, সভাপতি, আইসিসি বাংলাদেশ ও সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য স গঠন ব যবস য় দ র সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
বিধিমালা সংশোধন এক দিনেই করা যায়
গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বড় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদে মনোনয়ন দেওয়া হতো। এ কারণে নির্বাচন হতো না। পরিচালক পদে অনেক সময় নির্বাচন হতো। ওই কারণে বাণিজ্য সংগঠনগুলো সত্যিকার অর্থে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। যেহেতু সংগঠনের প্রধান ব্যক্তি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মনোনীত হতো, সে কারণে তাঁর পক্ষে ব্যবসায়ীদের হয়ে শক্ত কোনো অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এতে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। তবে আইনিভাবে তা করতেই পারে মন্ত্রণালয়। সমস্যা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা করা হয়েছে বাণিজ্য সংগঠন বা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা না করেই। এটি মূল আইন কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নির্বাচনের পথে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে কষ্ট হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাত তথা ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ, কথাবার্তা, আলাপ–আলোচনা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় খুবই কমে গেছে। সেটি না হলে অর্থনীততে গতি কিছু হলেও বেশি থাকত। এই যে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের যোগাযোগ কমে গেছে, তার একটি বড় কারণ বাণিজ্য সংগঠনে সঠিক ব্যবসায়ী নেতৃত্ব না থাকা।
বাণিজ্য সংগঠন যদি কার্যকর থাকে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা নেতৃত্বে আসেন, তাহলে সরকারের জন্য তা সহায়ক হয়। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা সংশোধনে এত সময় নেওয়া উচিত নয়। এক দিনেই কাজটি করা যায়। তার কারণ বিধি সংশোধন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেই করতে পারে। এ কাজ করা গেলে বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাচন করার পথের বাধা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
মাহবুবুর রহমান, সভাপতি, আইসিসি বাংলাদেশ ও সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই