রক্তে যখন শরীর ভেসে যাচ্ছিল, তখন সিংহের মতো হাঁটছিলেন সাইফ: চিকিৎসক
Published: 17th, January 2025 GMT
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে ছুরিকাঘাতে আহত বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। শুধু তাই নয়, সাইফকে ‘সত্যিকারের নায়ক’ বলে মন্তব্য করেছেন লীলাবতী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ডা. নীরাজ উত্তমণি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাইফকে সত্যিকারের ‘নায়ক’ বলার ব্যাখ্যা দিয়ে ডা.
সাইফ আলী খানের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করে ডা. নীরাজ উত্তমণি বলেন, “সাইফ আলী খান এখন ভালো আছেন। আইসিইউ থেকে তাকে একটি সাধারণ কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত আমরা ভিজিটিরদের অনুমতি দেব না। কারণ তার বিশ্রাম প্রয়োজন।”
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপরে হামলা, মুখ খুললেন কারিনা
সাইফ-কারিনার আলোচিত বাড়ির মূল্য কত, কী আছে ভেতরে?
আজ সকালে হাসপাতালে গিয়েছেন সাইফ আলী খানের স্ত্রী কারিনা কাপুর খান। হাসপাতালে সাইফের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। আজ সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু
ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।
শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস