ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে আলোচনা করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর এক‌টি ভি‌ডিও সামা‌জিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হ‌য়েছে। বিভিন্ন মঞ্চে হাসনাতকে কথা বলতে দেখা গেলেও এই প্রথম কোনো মাহফিলে বয়ান দিতে দেখা গেলো তাকে।

ইতোমধ্যেই নে‌টিজেনদের নজর কেড়েছে ভিডিওটি। ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি ও টুপি পরে মাহফিলে আলোচনা করছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তার নিজগ্রাম দেবিদ্বার উপ‌জেলার গোপালনগরে আয়োজিত ওয়াজ মাহ‌ফিলে তি‌নি সুদের বিরুদ্ধে ওই আলোচনা করেন।

ভিডিওর শুরুতেই তাকে বলতে শোনা যায়, কার কাছে অপ্রিয় হলাম, কার পছন্দ হলো না, সেটা মুখ্য না। মুখ্য হচ্ছে আমার ইসলাম আমাকে কী বলে। আমার দ্বীন আমাকে কী শিক্ষা দেয়। সেটা যদি অপছন্দেরও হয় সেটাই আমাদের বলতে হবে।

হাসনাত আরও বলেন, আমি যেহেতু এই গ্রামে ছিলাম, এই গ্রামের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই গ্রামে এক ধরনের অর্থনৈতিক বিনিময় প্রচলিত রয়েছে। যেটাকে আপনারা নাম দেন পত্তন। এটাকে যে নামেই ডাকেন না কেন, এটা সরাসরি সুদ। আমার পরিবারসহ আশপাশে অনেকেই আছেন, এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু আমরা যখন বুঝেছি, যখন পড়াশোনা করে জেনেছি, আলেমদের থেকে পরামর্শ নিয়েছি, বিশ্বাস করেন সেই দিন থেকে আমরা এই পথ থেকে ফিরে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, এই যে আমরা দেখি- টাকা থেকে টাকা বৃদ্ধি পায়, এটা অসংখ্য পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। আপনি আমাকে অপছন্দ করেন, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু সুদকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা সুদকে বন্ধ করে দেন। আপনারা যদি আমাদের সহায়তা করেন, আমরা চেষ্টা করব সামাজিক ঋণকে সহজলভ্য করার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ইসলাম তো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম দুনিয়া নিয়েও কথা বলে, দুনিয়া পরবর্তী বিষয় নিয়েও কথা বলে। আমাদের দুইটারই সমন্বয় ঘটাতে হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ