বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় দিল আদানি
Published: 20th, January 2025 GMT
বকেয়া পরিশোধে আগামী জুন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সময় দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। রোববার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে এ-সংক্রান্ত একটা চিঠি পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ১০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা।
চিঠিতে জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে বিলম্ব ফি মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে আদানি। এর আগে ৯ জানুয়ারি আদানি ও পিডিবির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দিনে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে এ কেন্দ্রটি। পাওনা নিয়ে গত আগস্টের পর থেকে আদানির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের টানাপোড়েন চলছে। গত অক্টোবরে বকেয়া শোধে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকিও দেয় আদানি। নভেম্বরে একটি ইউনিটের উৎপাদন আদানি বন্ধও রাখে। পরে আংশিক বকেয়া পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৭ সালে টেন্ডার ছাড়াই বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধে শেখ হাসিনা বিশেষ বিবেচনায় এ চুক্তি হয়। চুক্তিতে আদানিকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হয়, যা নিয়ে সমালোচনা হয়ে আসছে। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি পানির লাইনে পোকা, শামুক, দুর্গন্ধ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যাত্রা সাত বছর আগে শুরু হলেও এখনো সুপেয় পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকেরা। প্রায় দেড় লাখ নিম্নআয়ের মানুষের চাহিদা থাকলেও সংযোগ আছে মাত্র সাত হাজার পরিবারের। বিকল্প উপায়ে বাসিন্দারা সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানি তুলছেন, যা ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ বলেন, ‘পৌরসভা থাকার সময় যে সব পানির গ্রাহক ছিলেন, এখনো তাঁরাই আছেন। পানির সংযোগ ও পাম্পহাউসগুলো পৌরসভার সময়ের পুরোনো। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জনগণ বেড়েছে, কিন্তু পানি সরবরাহের সক্ষমতা বাড়েনি। আমাদের রাজস্ব আয় খুব সামান্য, সরকার থেকে বিশেষ প্রকল্প দেওয়া না হলে বড় কোনো প্রকল্প নেওয়ার সক্ষমতা নেই।’
টাকায় কেনা দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানিনগরের বাসিন্দাদের প্রতি মাসে পানি সংযোগের জন্য ১৫০ টাকা বিল দিতে হয়। এর সঙ্গে হোল্ডিং ট্যাক্সে যোগ হয় পানির রেইট খাতে মোট বিলের ৩ শতাংশ চার্জ। তবু সরকারি লাইনে আসে দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। এই পানি ব্যবহারে শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
ময়মনসিংহ নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে প্রায় তিন হাজার নিম্নআয়ের পরিবারের বসবাস। সেখানে আছে সিটি করপোরেশনের পানির সংযোগ। প্রতিদিন সকাল ৭টা, দুপুর ১২টা ও বিকেল ৪টায় লাইনে পানি আসে। পানি পেতে বাসিন্দারা আগেভাগেই বালতি-বোল পেতে রাখেন। ময়লা পানি আসায় পাইপ ও কলের মুখে কাপড় বা টিস্যু ব্যাগ বেঁধে রাখেন, যাতে কিছুটা ছেঁকে নেওয়া যায়।
ময়না বেগম নামের এক বাসিন্দা বলেন, পানিতে পোকা ও শামুক পর্যন্ত আসে। এ থেকে ভয়ানক দুর্গন্ধ বের হয়। এই পানি ব্যবহার করলে শরীরে চুলকানি হয়।
আম্বিয়া খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেড় শ টাকা বিল দিই, আবার পচা পানি পাই—এইডা আমরা চাই না। আমরা ভালা পানি চাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমানে সিটি করপোরেশন বিষয়টিকে একেবারে অবহেলা করছে। দূষিত পানি ঘরে ঘরে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হোক।’
তুলনামূলক পরিষ্কার পানি পেতে পাইপের মুখে কাপড় বাঁধছেন এক নারী। সম্প্রতি নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে