জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তিন ভাগে মোতায়েনের পরিকল্পনা
Published: 27th, November 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিন ভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচনের সময় তাঁরা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, একটি ভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে ‘স্ট্যাটিক’ দায়িত্ব পালন করবেন। আরেকটি ভাগে থাকবে মোবাইল ফোর্স। তারা ভ্রাম্যমাণ বা স্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বে পালন করবে। আরেকটি ভাগে থাকবে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স। ইসি থেকে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ‘লিড মিনিস্ট্রি’ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, ইসি সার্বিকভাবে মনিটরিং ও সমন্বয়ের বিষয়টা দেখবে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটরিং সেল করবে।
সেনাবাহিনীর বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল পাওয়ার (ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা) আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। তারা সেটা পালন করবে।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ১১ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম য জ স ট র ট র ক ষমত র ২৮ ফ ব র য় র সমপদমর য দ র কর মকর ত দ র রক ষ ক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও ইনজুরিতে নেইমার, ফিরতে পারবেন ২০২৬ সালে
দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছেই না নেইমারের। আবারও তিনি চোটে পড়েছেন। এবার হাঁটুতে সমস্যা। এ চোট তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছে।
এর ফলে চলতি মৌসুমে সান্তোসের হয়ে বাকি তিন ম্যাচেও দেখা যাবে না ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে। লিগ টেবিলে ১৭তম স্থানে থাকা সান্তোস রেলিগেশনের শঙ্কায় টিকে থাকার লড়াইয়ে আছে। আর এমন সময়ে নেইমারের অনুপস্থিতি দলটির জন্য বড় দুঃসংবাদ।
আরো পড়ুন:
এস্তেভাওয়ের পেনাল্টিতে বাঁচল ব্রাজিল
কাসেমিরোর গোলে সেনেগালকে হারালো ব্রাজিল
গত এক সপ্তাহ ধরে নেইমার বাম হাঁটুতে অস্বস্তি টের পাচ্ছিলেন। মঙ্গলবারের (২৫ নভেম্বর) পরীক্ষায় ধরা পড়ে মেনিসকাসে সমস্যা। এ নিয়ে চলতি বছরেই চতুর্থবারের মতো শারীরিক সমস্যায় পড়লেন তিনি। এই নতুন ধাক্কা নেইমারের ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নকেই আরো ক্ষীণ করে দিল।
সান্তোসের জন্য সামনে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। খেলা ছিল ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে। কিন্তু মিরাসলের বিপক্ষে আগের ম্যাচে হাঁটুর ব্যথা অনুভব করায় সেই ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি নেইমার। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোএসপোর্তে জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে তার মেনিসকাসে আঘাত রয়েছে।
এর মানে, সান্তোসের বাকি তিন লিগ ম্যাচেও তাকে পাওয়া যাবে না। যে তিন ম্যাচ দলটির লিগে টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে নেইমারের মাঠে ফেরা কার্যত ২০২৬ সালেই গড়াবে।
দুই বছর আগে ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকেই ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন না তিনি। এ বছরও একের পর এক চোটে ভুগতে হয়েছে তাতে। সব মিলিয়ে মোটে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন। গোল ৭টি। জানুয়ারিতে সান্তোসে ফেরাটা ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই। কিন্তু নিয়তি যেন অন্য পরিকল্পনা করেছিল।
এ অবস্থায় ভিলা বেলমিরোতে তার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাঠের পারফরম্যান্স ও গোলের সংখ্যা তার বিশাল বেতনকে ন্যায্যতা দিচ্ছে না। আর যদি দলটি রেলিগেট হয় তাহলে নতুন করে চুক্তি করতে পারা প্রায় অসম্ভবই হয়ে যাবে।
নেইমারের জন্য সামনে পথ তাই আরও কঠিন। চোট, অনিশ্চয়তা ও সময়ের বিরুদ্ধে এক লড়াই।
ঢাকা/আমিনুল