চীনা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাবিতে যৌথ অপেরা প্রদর্শনী
Published: 22nd, January 2025 GMT
চীনা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে যৌথ অপেরা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং চীনের ‘ঝেজিয়াং উ অপেরা রিসার্চ সেন্টার’ এর শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এবং চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি মি. ঝুইয়ং। এছাড়া বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। শিক্ষা-গবেষণা ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশ একযোগে কাজ করছে। জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে দুই দেশের বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশা করছি।
চীনা নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ‘স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল’ এ অংশ নিতে চীনের ‘ঝেজিয়াং উ অপেরা রিসার্চ সেন্টার’ এর একটি নাট্যদল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অপেরা নাটক প্রদর্শন করছে। সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
অনুষ্ঠানে ‘ঝেজিয়াং উ অপেরা রিসার্চ সেন্টার’ এর শিল্পীরা অপেরা সঙ্গীত, অ্যাক্রোবেটিক, দলীয় নৃত্য, সর্পনৃত্যসহ নানা ধরনের নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে তাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন। নাট্যিক পরিবেশনার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশজ নাট্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।