পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।

জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সহস্রাধিক বিচারককে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিভিন্ন ক্যাটাগরির সহস্রাধিক বিচারককে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার ওপর হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ আসামি খালাস

‘যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’: দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এখন থেকে আলাদা

সভা সূত্রে জানা যায়, ফুলকোর্ট সভায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যেমন-জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভা সূত্রে আরো জানা যায়, আগামী বছর সুপ্রিম কোর্টের ছুটির ক্যালেন্ডার সময় নির্ধারণ এবং বিচার বিভাগের শৃঙ্খলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সভায় পৃথক সচিবালয় নিয়ে আলোচনা হয়। ফুলকোর্ট সভায় আলোচিত রেইনট্রি মামলায় আপিল বিভাগের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় বিচারিক ক্ষমতা হারানো জেলা জজ কামরুন্নাহার বিচারিক ক্ষমতা ফিরে পাবেন কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জিএ কমিটিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০টির অধিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সময় স্বল্পতার কারণে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক ক্যালেন্ডার অনুমোদনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি ফুলকোর্ট সভায়। সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ