পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।

জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণচেষ্টার সন্দেহে গ্রেপ্তার ইংল্যান্ড দলের সাবেক খেলোয়াড়

ইংল্যান্ড ও প্রিমিয়ার লিগের সাবেক এক ফুটবলারকে ধর্ষণচেষ্টার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন এই খেলোয়াড় ২০১০-এর দশকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁকে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার করার খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান।

আইনি কারণে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে গ্রেপ্তার হওয়া খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ইএসপিএন জানিয়েছে, তারা খেলোয়াড়ের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে নাম প্রকাশ করতে পারছে না।

এসেক্স পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলাকালে তাকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিক পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন১৪ মাস পর জামিন পেলেন ধর্ষণ মামলায় দণ্ডিত আলভেজ২০ মার্চ ২০২৪

সানকে সূত্র জানিয়েছে, গত রোববার সাবেক এই ফুটবলার একটি ফ্লাইটে ওঠার আগে পাসপোর্ট কন্ট্রোল পয়েন্টে সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেন। সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী তিনি একটি পুরোনো ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।

যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তারকৃত কারও নাম সাধারণত পুলিশ প্রকাশ বা নিশ্চিত করে না। ২০১২ সালে লেভেসন তদন্তের পর এই নীতি চালু হয়, যেখানে সুপারিশ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজনের নাম শুধু ‘বিশেষ ও স্পষ্টভাবে চিহ্নিত পরিস্থিতি’তে প্রকাশ করা উচিত। সাধারণত কোনো সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে তার নাম প্রকাশ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ