পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনিদের আটকের পর গুলি করে মারছে ইসরায়েলি সেনারা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের আটকের পরই গুলি করে হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনারা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে শুক্রবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সেনারা কয়েক সেকেন্ড আগে আটক করা দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সাংবাদিকরাও প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এই ঘটনাকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, “সন্ত্রাসীদের মৃত্যুবরণ করতে হবে।”
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেনিনের আশেপাশে ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশ ও আইডিএফের যৌথ অভিযানের সময় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ দাবি করেছে, নিহত দুই ব্যক্তি তাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধা ছিলেন।
ইসরায়েলি এবং আরব মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত এই ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনারা শহুরে এলাকার একটি গুদামঘর ঘিরে রেখেছে। সেনারা গ্যারেজের মতো দরজাটি ভাঙতে খননকারী যন্ত্র ব্যবহার করে। কিছুক্ষণ পরে দুই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত দরজার নিচ থেকে বেরিয়ে আসে এবং হাত ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে আত্মসমর্পণ করে, তাদের শার্ট তুলে ধরে দেখায় যে তারা নিরস্ত্র। ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের অফিসার হিসেবে চিহ্নিত ইউনিফর্ম পরা পুরুষরা তাদের কাছে আসে। হেলমেট পরা না থাকা এবং টাক মাথা এবং দাড়িওয়ালা একজন অফিসারকে বন্দিদের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়। তিনি মাটিতে থাকা লোকদের লাথি মারেন এবং তারপর আটক ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্ত দরজার নিচ থেকে ভবনে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। কয়েক সেকেন্ড পরে দুই বন্দি ভবনের দ্বারপ্রান্তে আসলে পাঁচজন সীমান্ত পুলিশ অফিসার তাদের অ্যাসল্ট রাইফেল তুলে ধরেন এবং দুই বন্দি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, “অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে গতকাল ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের হাতে দুই ফিলিস্তিনি পুরুষের নির্লজ্জ হত্যাকাণ্ডে আমরা হতবাক, যা আরো একটি স্পষ্ট সংক্ষিপ্ত মৃত্যুদণ্ড।”
ঢাকা/শাহেদ