পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ বিশ্বকাপে কি মৃত্যুকূপ বলে কিছু আছে
যেকোনো বড় টুর্নামেন্টের পরই প্রশ্নটি ওঠে। বিশ্বকাপ ফুটবল হলে তো কথাই নেই। গতকাল যেমন ওয়াশিংটন ডিসিতে ড্রয়ের পরপরই শুরু হয় হিসাব-নিকাশ আর চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার বিশ্বকাপে কোনটি ‘মৃত্যুকূপ’?
মোট ১২টি গ্রুপ ভালোভাবে খেয়াল করলে আসলে সরাসরি কোনো গ্রুপকেই ‘মৃত্যুকূপ’ বলা যায় না। প্রতিটি গ্রুপে আছে চারটি করে দল। এর মধ্যে কোনো গ্রুপেই চারটি দলকে প্রায় সমান শক্তিশালী বলার উপায় নেই। তবে শক্তিতে একটু কম-বেশি হলেও দুটি গ্রুপে অন্তত তিনটি করে দল আছে, যারা যে কাউকে হারানোর সামর্থ্য রাখে। সেই গ্রুপ দুটি হলো ‘আই’ এবং ‘এল’।
তবে এটাও মনে করিয়ে দিতে হয়, প্রতিটি গ্রুপ থেকে পরবর্তী ধাপে উঠবে শীর্ষ দুই দল। তৃতীয় স্থানীয় দলেরও আশা থাকবে। ৪৮ দলের এই বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা ৮টি দল যোগ দেবে শেষ ৩২ দলের রাউন্ডে। সে কারণে একটি গ্রুপে তিনটি দল সমান শক্তিশালী হলেও সরাসরি সেটাকে মৃত্যুকূপ বলা যাচ্ছে না।
তাতে অবশ্য গ্রুপ পর্বে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ভাটা পড়বে না। কারণ, টুর্নামেন্টটি বিশ্বকাপ—যেখানে সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই এবং সামান্যতম ভুলেও যে কেউ বাদ পড়তে পারেন।
ইংল্যান্ডের কোচ টমাস টুখেল। গতকাল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে