পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গুমের মামলায় ১০ সেনা কর্মকর্তার ভার্চ্যুয়ালি হাজিরার আবেদন খারিজ
গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার আসামি ১০ সেনা কর্মকর্তার ভার্চ্যুয়ালি হাজিরার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বুধবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
যে ১০ আসামির পক্ষে ভার্চ্যুয়াল হাজিরার আবেদন করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম ও কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে) ; লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম। তাঁরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন।
শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ এ মামলার ৭ আসামি পলাতক।