পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগারগাঁও-এ মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর আগারগাঁও-এ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মূলত তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। এনইআইআর চালু হলে অননুমোদিত মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। এর প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছেন।
এ সময় তারা অন্যান্য দাবির মধ্যে এনইআইআর ব্যবস্থায় সংস্কার আনা, মোবাইল ফোন আমদানিতে একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ করা, মোবাইল ফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করা, অনুমোদনহীন হ্যান্ডসেট আমদানির উপর ৫৭ শতাংশ কর প্রত্যাহার, এনইআইআর কার্যকরের আগে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার দাবি জানান।
বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির (এমবিসিবি) সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীম মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিটিআরসি ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে বিটিআরসি ভবনে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসছেন। তবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা না হলে আলোচনায় সমাধান হবে না।
উল্লেখ্য, নানা দাবিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন এমবিসিবি।
এর আগেও দাবি আদায়ে গত ৩০ নভেম্বর সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখেন তারা।
মোবাইল ব্যবসায়ীরা সড়কে অবস্থান নেওয়ায় শিশুমেলা থেকে আগারগাঁওগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আরেকপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ঢাকা/এমআর//