পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে গণপিটুনিকে যুবক নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে মারধর করা হয়।
আরো পড়ুন:
নাফিউল হত্যায় জড়িতরা ঘুরছে প্রকাশ্যে, ধরছে না পুলিশ
সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের নতুন তারিখ ধার্য
নিহতের পরিবার দাবি, মঞ্জুকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল বারী জানান, নিহত যুবক একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
নিহত মঞ্জু চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব বলেন, “আজ সকালে আমার ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চৌমুহনী বাজারে যাচ্ছিল। মঞ্জু ও তার সহযোগিরা আমার ছেলেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে একত্রিত হয়ে মঞ্জুকে গণপিটুনি দিলে সে মারা যায়। তাৎক্ষণিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং নিহতের আড্ডায় হামলা চালায়।”
নিহতের বড় বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, “আজ ভোর ৭টার দিকে মঞ্জু আমার অসুস্থ মেয়ে টুম্পাকে দেখতে বাড়িতে আসে। নিজের বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ১৫-২০ জন মিলে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।” নিহতের পরিবারের দাবি, পূর্ব শক্রতার জেরে মঞ্জুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা গণপিটুনির সূত্রতা পেয়েছি। নিহতের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছে বলে জানা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ