পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দাদার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখল দেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিস আলমের পরিবারের সদস্যসহ এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।

জানাজায় দাদার সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণ করে সারজিস বলেন, দুনিয়াতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমরা ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করি। কিন্তু দিন শেষে আমাদের সেই ছোটখাট বিষয়ও আর থাকে না। কয়েক গজ কাপড় আর কয়েক হাত মাটির নিচেই যেতে হবে। তিনি জানাজা নামাজ থেকেও শিক্ষা নিতে আহ্বান জানান। দাদার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সারজিস আলমের দাদা মারা যান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটি-মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ৮৩ বছর বয়সী এক নারীর পরিবার গতকাল বৃহস্পতিবার ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি মৃত্যুর’ অভিযোগে একটি মামলা করেছে। তাদের অভিযোগ, চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাদের ছেলের মানসিক বিভ্রমকে আরও উসকে দিয়েছিল এবং এর ফলেই ওই নারী খুন হন।

সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচে নিজেদের বাড়িতে ৫৬ বছর বয়সী স্টেইন-এরিক সোলবার্গ তাঁর মা ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসকে পিটিয়ে এবং শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। এরপর সোলবার্গ নিজেই নিজেকে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা করেন। সোলবার্গ একসময় প্রযুক্তি খাতে কাজ করতেন।

কয়েক মাস ধরে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি মৃত্যুর’ অভিযোগে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

এর আগে গত আগস্টে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা–বাবা ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁদের দাবি, চ্যাটজিপিটি তাঁদের ছেলেকে আত্মহত্যার পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল।

গত নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের করা একাধিক মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের নির্ভরতা ও নিজেকে আঘাত করার জন্য প্ররোচিত করেছে, যার মধ্যে চারটি আত্মহত্যার ঘটনাও রয়েছে।

২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এনেকিংয়ের পরিবারের অভিযোগ, তিনি আত্মহত্যার কথা প্রকাশ করার পর চ্যাটবট তাঁকে বন্দুক সংগ্রহ করার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিল।

১৭ বছর বয়সী আমাউরি লেসির পরিবারের দাবি, ‘কীভাবে ফাঁসির ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে তিনি কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারবেন’—চ্যাটজিপিটি তাঁকে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিল।

সর্বশেষ এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কয়েক মাস ধরে কথোপকথনের ফলে সোলবার্গের বিভ্রমজনিত চিন্তাভাবনা আরও শক্তিশালী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর মাকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সোলবার্গ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো পোস্ট করেছিলেন। তাতে দেখা যায়, ‘চ্যাটজিপিটি তাঁকে বলেছিল, তিনি এআই চ্যাটবটটির বোধজ্ঞান “জাগিয়ে তুলেছেন”।’

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, কথোপকথনগুলোয় দেখা যায় ‘স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তার প্রতিটি সূত্রকে চ্যাটজিপিটি আগ্রহের সঙ্গে গ্রহণ করেছে এবং সেগুলোকে এমন এক জগতে পরিণত করেছে, যা স্টেইন-এরিকের ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছিল।’

মা সুজানের সঙ্গে ছেলে স্টেইন-এরিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ