বিপিএলের পরদিনই শান্তদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যাম্প
Published: 4th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানিয়েছেন এই তথ্য।
আগামীকাল খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যকার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার মাঠে গড়াবে। ৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনাল হবে। পরদিনই অনুশীলন ক্যাম্প করবেন ক্রিকেটাররা। ছুটিতে থাকা জাতীয় দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স থাকবেন ক্যাম্পে।
বিসিবি জানিয়েছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদেরও ক্যাম্পে ডেকেছেন কোচ। যাতে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ পরবর্তী প্রজন্ম দেখে নিতে পারেন কোচ।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে বিমান ধরনের ক্রিকেটাররা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত ছাড়াও আছে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ খেলবে। দুই গ্রুপ থেকে সেরা চার দল খেলবে আসরের সেমিফাইনালে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন
সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ব্যাবসায়ী ও সাধারণ বাসিন্দারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী জবরদখলকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন।
এসব সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগসহ ধরনা দিয়েও ব্যবসায়ীরা কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সোনারগাঁ পরিবেশক সমিতি, ব্যবসায়ীবৃন্দ ও সোনারগাঁয়ের সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে সোনারগাঁয়ের চৌরাস্তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সোনারগাঁ পরিবেশক সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম রাজা বলেন, আমি দীর্ঘ ২০ বছর যাবত পরিবেশক সমিতির সভাপতি কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় আজকে আমাদের ঘরে বসে আমাদের গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ডাকাতি হয়, আমাদের কর্মীদের মারধর করে।
আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সেই সাথে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, আর যদি কোন ছিনতাই হয়, আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়। আমরা সকলে মিলে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আর কাউকে ক্ষমা করব না।
সোনারগাঁ থানা অফিসার্স ইনচার্জ মফিজুর রহমানের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, তিনি শুধু আমাদের আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু কার্যত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। গড়িমসি করে সময় পার করছেন।
পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ছিনতাইকারীদের হামলার ভয়ে আমরা ব্যবসা করতে পারছি না। তারা আমাদের কর্মীদের উপর চাপাতি, ছুরি, পিস্তল ইত্যাদি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আমাদের আর কোন উপায় নাই, তাই আমরা এই মানববন্ধন করছি। সরকারের কাছে আবেদন জানাই আমাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি দেন। এরপর মানববন্ধনটি বিক্ষোভ মিছিল করে সোনারগাঁ থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ পরিবেশক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজুল হক প্রমুখসহ সোনারগাঁয়ের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।