বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানিয়েছেন এই তথ্য। 

আগামীকাল খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যকার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার মাঠে গড়াবে। ৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনাল হবে। পরদিনই অনুশীলন ক্যাম্প করবেন ক্রিকেটাররা। ছুটিতে থাকা জাতীয় দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স থাকবেন ক্যাম্পে। 

বিসিবি জানিয়েছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদেরও ক্যাম্পে ডেকেছেন কোচ। যাতে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ পরবর্তী প্রজন্ম দেখে নিতে পারেন কোচ। 

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে বিমান ধরনের ক্রিকেটাররা। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত ছাড়াও আছে  স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ খেলবে। দুই গ্রুপ থেকে সেরা চার দল খেলবে আসরের সেমিফাইনালে।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

অরক্ষিত বেলতলী বধ্যভূমি, চলে মাদকের আড্ডা

মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনের বেলতলী বধ্যভূমি স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। রাত নামলেই সেখানে বসছে মাদকসেবীদের আড্ডা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, এটি শহীদদের অবমাননা। অবিলম্বে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে লাকসাম রেলওয়ে জংশন ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক নিরীহ বাঙালি নারী-পুরুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনে করে এখানে আনা হতো। নির্মম নির্যাতনের পর তাদের হত্যা করে বেলতলী এলাকায় গণকবর দিয়ে মাটি চাপা দিত পাকিস্তানি বাহিনী।

আরো পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের লাল চিঠি পাঠাতাম

কক্সবাজার হানাদারমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর

লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশে প্রায় ২ হাজার ফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই বধ্যভূমিতে মাটি খুঁড়লে আজও বেরিয়ে আসে মানুষের হাড়গোড় ও কঙ্কাল। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্যমতে, ১৯৭১ সালে পাক সেনারা এখানে প্রায় ১০ হাজার বাঙালি নারী-পুরুষকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়।

১৯৯৯ সালে ঢাকার একদল সাংবাদিকের অনুরোধে ডোম শ্রীধাম দাস বেলতলী বধ্যভূমিতে খনন কাজ চালিয়ে মাটিচাপা দেওয়া মানুষের কয়েকটি কঙ্কাল, মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করেন। সেসময় উদ্ধারকৃত কিছু নিদর্শন বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।

লাকসামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের বলেন, ‍“১৯৭১ সালে নিজের চোখে দেখেছি, কীভাবে ট্রেন থেকে নামিয়ে মানুষকে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হতো। আজ সেই জায়গায় কোনো সাইনবোর্ড নেই, কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই—এটা আমাদের জন্য লজ্জার। নতুন প্রজন্ম জানবেই বা কীভাবে আমাদের ইতিহাস?”

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান বলেন, “বেলতলী বধ্যভূমিতে মাটি খুঁড়লেই মানুষের হাড়গোড় বেরিয়ে আসে। এই জায়গা অরক্ষিত থাকায় মাদকসেবী আর অপরাধীরা আড্ডা দেয়। আমরা বেঁচে থাকতে থাকতে চাই, রাষ্ট্র যেন এই বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করে, শহীদদের সম্মান দেয়।”

লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জরিপ অনুযায়ী দেশের চিহ্নিত ১০টি বধ্যভূমির মধ্যে লাকসাম বেলতলী একটি। অথচ আজও এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার।”

তিনি আরো বলেন, “বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের অভাবে সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসছে, যা শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননার শামিল।”

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নার্গিস সুলতানা বলেন, “আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ