রাজশাহীতে অটোরিকশাকে একটি বাস চাপা দেওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় মারা যান দুইজন। ওই ঘটনায় হাসপাতালে আরো তিনজন চিকিৎসাধীন। 

রাতে হাসপাতালে মারা যাওয়া দুইজন হলেন- তানভীর ফেরদৌস ও সাব্বির রহমান। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তাদের বাড়ি। 

আরো পড়ুন: রাজশাহীতে অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে গেল বাস, নিহত ২

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩

গুলিতে আহত অন্তঃস্বত্ত্বা জন্ম দিলেন ছেলে সন্তান

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‍‍“নিহত আটোরিকশা চালক ইবরাহিমের ভাই ইসরাফিল বাদী হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে নাম না জানা বাস চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক।”

পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস গ্রামীণ ট্রাভেলস পবা উপজেলার নতুন কসবা এলাকার মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশা উল্টে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা সাতজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মধ্যরাতে আরো দুইজন মারা যান। মধ্যরাতে মারা যাওয়া দুইজন নির্মাণ শ্রমিক। তারা রাজশাহীতে কাজ শেষে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন দ ইজন র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদোর জোড়া গোলেও জয়হীন পর্তুগাল

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সময়কে হার মানিয়েই খেলছেন। ৪০ বছর বয়সেও গোলের পর গোল করে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে হাঙ্গেরির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার জোড়া গোলেও জয়ের দেখা পেল না পর্তুগাল। ম্যাচটি শেষ হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ ২-২ ড্রয়ে।

ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের জন্য। মাত্র অষ্টম মিনিটেই দুর্দান্ত এক পাসে দোমিনিক সোবোসলাইয়ের তৈরি করা সুযোগে আতিলা সালাই গোল করে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে দেন। কিন্তু বেশি সময় লাগেনি রোনালদোর জবাব দিতে। ২২তম মিনিটে নেলসন সেমেদোর নিখুঁত পাস থেকে জালের দেখা পান পর্তুগিজ অধিনায়ক।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে আবারও আলো ছড়ান সিআরসেভেন। প্রথমার্ধের যোগ করা (৪৫+৩) সময়ে নুনো মেন্ডেসের বাঁ দিক থেকে তোলা ক্রস ধরে প্রথম ছোঁয়াতেই গোলটি করেন রোনালদো। নিখুঁত সময়জ্ঞান আর অসাধারণ ফিনিশিংয়ে যেন আবারও প্রমাণ করলেন, বয়স তাকে ছুঁতে পারেনি। স্টেডিয়ামজুড়ে তখন শুধুই এক নাম- “রোনালদো! রোনালদো!”

বিরতির পরেও ম্যাচের গতি একটুও কমেনি। জোয়াও ফেলিক্স ও ব্রুনো ফার্নান্দেজের আক্রমণে বাড়তি গোলের খোঁজে ছিল পর্তুগাল, কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি তারা। অন্যদিকে, হাঙ্গেরি ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে।

অবশেষে যোগ করা সময়ে (৯০+১ মিনিটে) সোবোসলাইয়ের দুর্দান্ত শটে সমতা ফেরায় হাঙ্গেরি। ২–২ স্কোরলাইনে শেষ হয় নাটকীয় লড়াই।

৭৮তম মিনিটে গনসালো রামোসকে নামিয়ে রোনালদোকে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ফল বদলায়নি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাঙ্গেরি চাপ ধরে রাখে। পুরো ম্যাচ জুড়ে কার্ড, ট্যাকল আর লড়াইয়ে ভরপুর ছিল মিডফিল্ড। যা গ্রুপ 'এফে' এর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও তীব্র করেছে।


ড্র হলেও ম্যাচে রোনালদো লিখে গেছেন নতুন অধ্যায়। এই জোড়া গোলের সঙ্গে তার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৪১, আর পেশাদার ক্যারিয়ারের গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ৯৪৮। দুটিই বিশ্বরেকর্ড।

তবে ম্যাচটি আবারও দেখিয়ে দিল, পর্তুগাল এখনো তাদের অধিনায়কের ওপর নির্ভরশীল। ডিফেন্সে ভুলভ্রান্তি না থাকলে হয়তো তিন পয়েন্টটাই পেত সেলেসাওরা।

এই ড্রয়ের পরও পর্তুগাল আছে গ্রুপের শীর্ষে। তবে রক্ষণভাগের দুর্বলতা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে। রোনালদো যেমন নেতৃত্ব ও পারফরম্যান্সে অটুট, তেমনি দলটিকে এখন আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের সরাসরি টিকিট নিশ্চিত করতে।

পর্তুগালের পরবর্তী লক্ষ্য এখন গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখা এবং ডিফেন্সের ঘাটতি পূরণ করা। আর রোনালদো? তিনি তো ইতিহাস লিখেই চলেছেন- মাঠে যেমন, মাঠের বাইরেও তেমনি কিংবদন্তি হয়ে উঠছেন প্রতিদিন।

ঢাকা/আমিনুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ