পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান সাইদ আসিম মুনিরকে চিঠি লিখেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চিঠিতে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান সোমবার আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চিঠিতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের প্রশংসাও করেছেন। সেনাপ্রধানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, বরং দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ইমরানের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক ব্যক্তি বা কোনো নির্দিষ্ট দলের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পরিচালিত হয়। ডন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আরও একবার নাকভিকে ট্রফি ফেরত দিতে বলল ভারত, দিল সতর্কবার্তাও
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভির সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) চলমান টানাপোড়েন নতুন মোড় নিয়েছে। এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে বিসিসিআই নতুন করে নাকভিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
অবশ্য এটিকে সতর্কবার্তা না বলে প্রচ্ছন্ন হুমকিও বলা যায়। কারণ, নাকভিকে ই–মেইলে পাঠানো সর্বশেষ চিঠিতে বিসিসিআই লিখেছে, ভারতীয় দলকে ট্রফি না দিলে তাঁকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভি এবং বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুবাইয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সূর্যকুমার যাদবের দল নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ, নাকভি শুধু এসিসির সভাপতিই নন; পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান।
ভারত মনে করে, এপ্রিলে পেহেলগামে যে হামলাকে কেন্দ্র করে মে মাসে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়েছিল, তাতে মদদ ছিল নাকভির। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নেননি সূর্যকুমার–বুমরা–কুলদীপ–অভিষেকরা।
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি ছাড়াই উদ্যাপন করেছে ভারত