পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান সাইদ আসিম মুনিরকে চিঠি লিখেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চিঠিতে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান সোমবার আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চিঠিতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের প্রশংসাও করেছেন। সেনাপ্রধানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, বরং দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ইমরানের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক ব্যক্তি বা কোনো নির্দিষ্ট দলের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পরিচালিত হয়। ডন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান ইসলামী ফ্রন্টের
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা ও সাংবিধানিক অগ্রযাত্রাকে সুসংহত করার জন্য এই তফসিল ঘোষণার কোনো বিকল্প ছিল না। নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হওয়া রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, অর্থনীতির গতি ও জনগণের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত করে।
আরো পড়ুন:
বাম দলগুলোর প্রতিক্রিয়া: ‘তফসিল হয়েছে, তবে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ’
অসত্য তথ্য ছড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ: সিইসি
আমরা মনে করি, এ তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে জাতি আগামী দিনের নেতৃত্ব গঠনের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করল।
ইসিকে উদ্দেশ্য করে দলটির নেতারা বিবৃতিতে বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশের মানুষের দাবি— এটিই জাতীয় স্বার্থ। তাই নির্বাচন কমিশনকে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে কঠোর ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনো প্রকার সহিংসতা, নাশকতা, রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতা বা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা বরদাস্ত করা যাবে না।”
“জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি অন্তবর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, যেখানে প্রতিটি প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন এবং জনগণ নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, বিবৃতিতে বলেন তারা।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচনি মাঠে শৃঙ্খলা, সৌজন্য, রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং ইসলামী মূল্যবোধ অনুসরণ করতে হবে। জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে শান্তি, উন্নয়ন, ন্যায় ও নৈতিকতার রাজনীতির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। কোনো উস্কানি, সংঘাত বা অসাংবিধানিক আচরণ যেন ইসলামী ফ্রন্টের কর্মীদের কাজে না আসে— এ বিষয়ে আমরা কঠোরভাবে সতর্ক করছি।”
“এই দেশ আমাদের, ভবিষ্যৎ আমাদের সন্তানের। সুতরাং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সবাইকে ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ ইংরেজি একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন উপহার দিয়ে জাতিকে নতুন প্রত্যয়ের পথে এগিয়ে নিতে চাই", প্রত্যাশা রাখেন দলটির দুই শীর্ষনেতা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল