নানা অনিয়মের কারণে নন লাইফ বিমা খাতের কোম্পানি তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে জরিমানা দিতে হবে ১০ লাখ টাকা। আগে এই জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানির রিভিউ আবেদনের ফলে ৪ লাখ টাকা মওকুফ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

জানা গেছে, ২০২২ সালের বিশেষ নিরীক্ষায় তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের নানা অনিয়ম উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে শুনানি করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। 

শুনানির পর নানা অনিয়মের কারণে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে জরিমানা করে ১৪ লাখ টাকা। জরিমানার এই টাকা কমাতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে। 

কোম্পানির আবেদন পেয়ে জরিমানার বিষয়টি রিভিউ করে আইডিআরএ। রিভিউয়ের মাধ্যমে জরিমানা অর্থ ৪ লাখ টাকা কমানো হয়। ফলে জরিমানা ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সকে।

আগেও নানা অনিয়মের কারণে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও তাদের পরিচালকরা জরিমানার কবলে পড়ে।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ক ফ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় উচ্ছ্বাসের মধ্যেই স্থানীয় নেতার মৃত্যু

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ কক্সবাজার–২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ খবর জানার পরপরই তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা ফরিদুল আলম (৫৫) হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মারা যাওয়া ফরিদুল আলম মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা এলাকায়।

স্থানীয় বিএনপি নেতা–কর্মীরা জানান, ফরিদুল আলম সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদের অনুসারী ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি সারা দেশের ২৭৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও মহেশখালী–কুতুবদিয়া আসনটি ফাঁকা রাখা হয়। আজ বিকেল চারটার দিকে দ্বিতীয় দফায় আলমগীর ফরিদের নাম ঘোষণার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনি।

দলীয় নেতা–কর্মী ও বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এক পর্যায়ে তিনি হঠাৎ করে ঢলে পড়েন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফরিদুলের ভাতিজা ছৈয়দ মোহাম্মদ নিশান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাচা আলমগীর ফরিদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে খুব আনন্দিত হন। বাড়িতে কয়েকজন নেতা–কর্মী এলে তাঁদের সঙ্গেও খুব হাসিখুশি ছিলেন। হঠাৎ বুকে হাত দিয়ে পড়ে যান।’

ফরিদুল আলমের ভাই আনছারুল করিম বলেন, ‘আমার ভাই অনেক দিন ধরে কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। হার্টে দুটি রিং বসানো ছিল। দুদিন আগে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। আজ আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে স্ট্রোক করেছেন।’

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরিদুল ছিলেন দলের নিবেদিত প্রাণ নেতা। তাঁর মৃত্যু শুধু পরিবারের নয়, আমাদের দলেরও বড় ক্ষতি। দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন।’

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাঁচ আসনে বিএনপির নতুন প্রার্থী কারা৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ