নানা অনিয়মের কারণে নন লাইফ বিমা খাতের কোম্পানি তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে জরিমানা দিতে হবে ১০ লাখ টাকা। আগে এই জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানির রিভিউ আবেদনের ফলে ৪ লাখ টাকা মওকুফ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

জানা গেছে, ২০২২ সালের বিশেষ নিরীক্ষায় তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের নানা অনিয়ম উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে শুনানি করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। 

শুনানির পর নানা অনিয়মের কারণে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে জরিমানা করে ১৪ লাখ টাকা। জরিমানার এই টাকা কমাতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে। 

কোম্পানির আবেদন পেয়ে জরিমানার বিষয়টি রিভিউ করে আইডিআরএ। রিভিউয়ের মাধ্যমে জরিমানা অর্থ ৪ লাখ টাকা কমানো হয়। ফলে জরিমানা ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সকে।

আগেও নানা অনিয়মের কারণে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও তাদের পরিচালকরা জরিমানার কবলে পড়ে।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ক ফ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানি হামলায় তিন আফগান ক্রিকেটার নিহত, সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াল

পাকিস্তানের হামলায় তিন স্থানীয় ক্রিকেটারের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। নিহতদের নাম প্রকাশ করেছে বোর্ড। তারা হলেন- কবির, সিবঘাতুল্লাহ ও হারুন। এই ঘটনায় আরও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানানো হয়।

ঘটনার পর গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এসিবি। বোর্ড জানায়, নিহত ক্রিকেটাররা পূর্ব পাকতিকা প্রদেশের উরগুন থেকে প্রতিবেশী শহর শারানায় এক প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন। খেলা শেষে নিজ শহরে ফিরে আসার পর স্থানীয় এক সমাবেশে তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসিবির ভাষায়, এটি ছিল “পাকিস্তান কর্তৃক পরিচালিত একটি কাপুরুষোচিত আক্রমণ।”

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের সংঘাতে জড়াল পাকিস্তান-আফগানিস্তান

আফগান সীমান্তে ৩০ জনেরও বেশি ‘অনুপ্রবেশকারীকে’ হত্যার দাবি পাকিস্তানের

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আফগানিস্তান আগামী মাসে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে নির্ধারিত ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে। বোর্ড জানিয়েছে, “নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এসিবি এক বিবৃতিতে বলে, “এটি আফগানিস্তানের ক্রীড়া সমাজ, ক্রীড়াবিদ ও ক্রিকেট পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সংহতি জানাচ্ছি।”

এদিকে আফগান দলের পেসার ফজলহক ফারুকি সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “নিরীহ নাগরিক ও আমাদের দেশীয় ক্রিকেটারদের ওপর এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ একটি জঘন্য ও অমার্জনীয় অপরাধ।”

আরেক তারকা মোহাম্মদ নবী বলেন, “এটি শুধু পাকতিকার নয়, পুরো আফগান ক্রিকেট পরিবার ও জাতির জন্য এক বিশাল শোকের দিন।”

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখন পর্যন্ত হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জানিয়েছে যে তারা এ ঘটনাকে “জাতীয় শোক” হিসেবে দেখছে এবং নিহত খেলোয়াড়দের স্মরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ