SunBD 24:
2025-12-04@08:58:46 GMT

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Published: 4th, February 2025 GMT

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতারআগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা সেবা চালু হচ্ছে কালফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিতরমজানে দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করবে পাকিস্তানরিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানজেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করেই নির্বাচন হতে হবে: গোলাম পরওয়াররমজানে কম লাভ করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারগুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.

৯৪ শতাংশ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে তালা ভেঙে পরীক্ষার আয়োজন করলেন অভিভাবকেরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে অভিভাবকেরা হাতুড়ি ও ইলেকট্রিক যন্ত্র দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে তাঁরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। শিক্ষকেরা অনুপস্থিত। অভিভাবকেরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও রহমতপুর কেজিএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাদুরতলী কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসন্তী মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রাজেন্দ্র প্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা পরীক্ষার আয়োজন করেছেন। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক কর্মবিরতিতে থাকায় তাঁরা অনুপস্থিত।

মঙ্গলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যারেন্টস-টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিটিএ) সভাপতি ও অভিভাবক নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকেরাও আসলে অভিভাবক। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনাসহ আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সব দায়িত্ব শিক্ষকদের ওপরই আমরা ছেড়ে দিই। অথচ শিক্ষকেরা আজ আমাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করলেন না। শিক্ষকেরা তাঁদের দাবির কথা বলতেই পারে, তারও একটা সময় আছে। দুঃখজনক হলো, বার্ষিক পরীক্ষার এমন সময়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা ঠিক হয়নি।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে মোট ৭০২ জন শিক্ষার্থী। আজ সকালের শিফটে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ১১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিকেলের শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে আছেন। আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। আমার সঙ্গে আরও একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আছেন। ১৩ জন শিক্ষক অনুপস্থিত আছেন।’

ইউএনও কাউছার হামিদ বলেন, ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষার এ সময় শিক্ষকেরা পরীক্ষা নেবেন—অভিভাবকেরা এ আশায় ছিলেন। অথচ শিক্ষকেরা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। যাঁরা বিদ্যালয়ে না এসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ