বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতারআগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভিসা সেবা চালু হচ্ছে কালফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিতরমজানে দুর্নীতিমুক্ত ত্রাণ প্যাকেজ চালু করবে পাকিস্তানরিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানজেনিথ ইসলামী লাইফের সব সূচকেই প্রবৃদ্ধি১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করেই নির্বাচন হতে হবে: গোলাম পরওয়াররমজানে কম লাভ করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারগুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম স্থায়ী কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের ৪৩ বছর
১৯৮২ সালের ২ ডিসেম্বর চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল। এই দিনে চিকিৎসকেরা প্রথমবারের মতো এক রোগীর দেহে একটি স্থায়ী কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড স্থাপন করেন। এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে প্রযুক্তির এক কঠিন লড়াই, যা হৃদ্রোগে আক্রান্ত লাখ লাখ মানুষের জন্য আশার আলো নিয়ে আসে। আজ থেকে ৪৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উটাহ হেলথ কেয়ারে সম্পন্ন হওয়া সেই ঐতিহাসিক সার্জারি আজও চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন ডেন্টাল সার্জন বার্নি ক্লার্ক। জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় এই ৬১ বছর বয়সী রোগী স্বেচ্ছায় পরীক্ষামূলকভাবে জারভিক-৭ নামের সেই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।তাঁর অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন চিকিৎসক উইলিয়াম ডিভ্রিস ও তাঁর দল। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার দীর্ঘ ও জটিল অস্ত্রোপচারের পর কৃত্রিমভাবে তৈরি এই অঙ্গ বার্নি ক্লার্কের অকেজো হৃৎপিণ্ডের স্থানে বসানো হয়। জারভিক-৭ হৃৎপিণ্ডটি ছিল বায়ুচালিত, যা কাজ করার জন্য একটি বাহ্যিক কম্প্রেসরইউনিটের সঙ্গে টিউবের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকত। এই অস্ত্রোপচারসফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে মানুষ একটি যান্ত্রিক হৃৎপিণ্ড নিয়েও বেঁচে থাকতে পারে।
কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডটির নাম ছিল এর অন্যতম উদ্ভাবক বিজ্ঞানী রবার্ট জারভিকের নামানুসারে জারভিক-৭। এটি ছিল অ্যালুমিনিয়াম ও পলিউরেথেন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি একটি দুই প্রকোষ্ঠের ভেন্ট্রিকুলার পাম্প। বার্নি ক্লার্ক এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে ১১২ দিন বেঁচে ছিলেন।
বার্নি ক্লার্কের ওপর চালানো সেই পরীক্ষা ছিল এক সাহসী বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপ। প্রথম প্রতিস্থাপনের পরবর্তী চার দশকে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড-প্রযুক্তিতে আমূল পরিবর্তন দেখা গেছে। জারভিক-৭-এর মতো বায়ুচালিত যন্ত্রের অসুবিধা কাটিয়ে ওঠার জন্য গবেষকেরা ক্রমাগত কাজ করেছেন।
সূত্র: উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়